img

শৈত্যপ্রবাহ: সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি

প্রকাশিত :  ০৮:০৭, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

শৈত্যপ্রবাহ: সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি

জনমত ডেস্ক : সারাদেশে মৃদু থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। মাঘের মাঝে এসে শীতে কাঁপছে দেশ। শীতের দাপট এ সপ্তাহজুড়ে চলবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এদিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আবহাওয়াবিদ আনিসুর রহমান জানান, মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আরও কয়েকদিন শীত থাকবে এবং শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে কনকনে ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন রয়েছে পুরো জেলা। তীব্র শীতের কারণে ছিন্নমূল মানুষরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। সাধারণ হাওরপাড় ও চা বাগান এলাকাসহ শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট সীমাহীন।  বিশেষ করে এই অঞ্চলের বয়স্ক ও শিশুদের দুর্ভোগ বলার মতো নয়।

আজ সকালে শহর ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম। গাড়িগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে। ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে মানুষজনের ও চলাফেরা কম লক্ষ্য করা গেছে।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, এই শীতে মৌলভীবাজারের সাত উপজেলার একটি মানুষও শীতে কষ্ট পাবে না। শীতার্ত মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে কম্বল বরাদ্দ রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সেগুলো বিভিন্ন ইউনিয়নে পাঠানো হয়েছে, যা এর মধ্যেই বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

এদিকে সোমবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে– নীলফামারী, চুয়াডাঙ্গা ও মৌলভীবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে এখন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও বরিশাল, রংপুর, খুলনা, সীতাকুণ্ডু, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, সন্দ্বীপ, হাতিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।

সারা দেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা বিরাজ করবে। হিমেল হাওয়ায় শীতের অনুভূতি তুলনামূলক বেশি অনুভূত হবে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সৈয়দপুরে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজারহাটে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বগুড়ায় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও শীতের দাপট এ সপ্তাহজুড়ে চলবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। 

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, সারাদেশে এখন শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টানা কয়েক দিন বয়ে যাওয়া এ শীত আরও তিন-চার দিন অব্যাহত থাকবে। তীব্র ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ কেটে যেতে সময় লাগবে। তবে আজ রাত থেকে তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা দেখা যাবে।


img

কার দৌড় কতটুকু জানা আছে: আনোয়ারুজ্জামান

প্রকাশিত :  ১৯:১৯, ১৮ মে ২০২৪

সম্প্রতি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খানের দেওয়া একটি বক্তব্য নিয়ে রাজনীতিতে তুমুল আলোচনার মধ্যেই  শনিবার একটি অনুষ্ঠানে সিলেট সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেন, নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে নিজেদের নবাব ভাববেন না। কার দৌড় কতটুকু জানা আছে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে বলতে চাই না। নিজের বক্তব্যে কারো নাম উল্লেখ করেননি মেয়র।

এ সময় মেয়র আরও বলেন, কে কী বলল, তা দেখার বা শোনার সময় নেই। সবাই ঠান্ডা মাথায় মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। আপনারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ কর্মী। তাই সকলে মানবতার কল্যাণে কাজ করবেন। আপনারা সকলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ রহমানের উদ্যোগে শনিবার দুপুরে আয়োজিত শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সভায় এসব কথা বলেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান।

নিজের বক্তব্যে মেয়র কারো নাম উল্লেখ না করলেও তার এই বক্তব্যের সাথে সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খানের দেওয়া একটি বক্তব্যের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী।

গত মঙ্গলবার রাতে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের সময় সিলেটে আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মীকে কারা নির্যাতনের ১৭ বছর উপলক্ষে আলোচনায় নাসির উদ্দিন খান বলেন, ‘অনেকে বিদেশে বসে মাল কামিয়েছেন। অনেক আন্দোলন করেছি। আজ মনে হয়, আমরা পরগাছা। সুবিধাভোগীরা অনেকে জনপ্রতিনিধি হয়ে গেছেন। এখন কেউ কেউ মনে করেন, তাঁর বাবার সম্পত্তি হয়ে গেছে সিলেট। আমরা টাকা খরচ করে অনেককে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছি। সেটা ‍ভুললে চলবে না। আমার পাওয়ার আছে, আমার অমুক আছে-তমুক আছে, সেটা থাকবে না। জনগণ যদি না থাকে, সংগঠন যদি না থাকে কারও অস্তিত্ব থাকবে না। রাজনীতিতে দুঃসময় এলে তারা থাকবে না, আমাদের দেশে থাকতে হবে– আমাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই। আমি বললাম, তারা চলে যাবে।’

নাসির উদ্দিন খানের এমন বক্তব্যে নিয়ে সিলেটের রাজনীতিতে তুমুল আণোচনার মধ্যেই ‘কার দৌড় কতটুকু জানা আছে’ বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করলেন আনোয়ারুজ্জামান।

উল্লেখ্য, শনিবার যার নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি আয়োজিত হয়, সেই এমদাদ হোসেন রাজনীতিতে নাসির অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি আনোয়ারুজ্জামান বলয়ে যুক্ত হয়েছেন। নাসিরের সাবেক কর্মীকে নিয়েই আজ আনোয়ারুজ্জামান নগরে শোডাউন করে এমন বক্তব্য রাখেন।

শনিবার (১৮ মে) বেলা ২টার দিকে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সমবেত হয়।

 এ উপলক্ষে সকাল থেকে ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠ প্রাঙ্গনে খন্ড খন্ড মিছিল আসতে থাকে। শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতিলীগসহ বিভিন্ন অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

 এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই আজ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হয়েছে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কনিষ্ট কন্যা শেখ রেহানা বিদেশে ছিলেন বলেই প্রাণে বেঁচে যান। নয়তো আজ বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হতো। দেশে যখন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ঘাঁটি শক্ত করে বসে, দেশে পাকিস্তানি শাসন কায়েম হওয়ার ষড়যন্ত্র চলছিল, তখন্‌ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শক্তহাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন। তার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে।    

 এসময় জেলা্ স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ রহমান বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে কোনো আপোষ নেই। দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে কাজ করবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এছাড়া আওয়ামী লীগের ম্যাজিকম্যান মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের নেতৃত্বে সিলেটের নেতাকর্মীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। কেননা, অনেকে কর্মীদের জিম্মি করে নির্যাতন করে নিজেদের রাজা ভাবেন। সেসব নেতাদের দিন ফুরিয়ে আসছে।

 এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও নব নির্বাচিত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. খলিলুর রহমান খলিল, সিলেট জেলা তাতি লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেবনাথ, জেলা কৃষক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সালাহ উদ্দিন পারভেজ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রুমেল সিরাজ, জেলা যুবলীগ নেতা তানভীর আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক নীলয় কিশোর ধর জয়, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আহমদ চৌধুরী নয়ন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ফজলে রাব্বি, শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক, আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন শিপলু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য সাব্বির আহমদ বকশী।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামসুল ইসলাম, কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ ছাড়াও অংগসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী শোভাযাত্রা উপস্থিত ছিলেন।