img

খালেদা জিয়ার লিভার-কিডনী অর্ধেক অকার্যকার: মেডিকেল বোর্ড

প্রকাশিত :  ১৬:৪০, ১২ জুন ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৪০, ১২ জুন ২০২১

খালেদা জিয়ার লিভার-কিডনী অর্ধেক অকার্যকার: মেডিকেল বোর্ড

জনমত ডেস্ক: হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল থাকলেও তার লিভার ও কিডনি প্রায় অর্ধেক কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। তার মেডিকেল বোর্ডের শেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, করোনা-পরবর্তী জটিলতায় ফুসফুস, হার্ট, লিভার ও কিডনি শরীরের এই চারটি অঙ্গই আক্রান্ত হয়েছে। এমন পিরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা প্রয়োজনে তার লিভার ট্রান্সপ্লানন্টেশনের (প্রতিস্থাপন) সুপারিশ করেছেন। এ ছাড়া তার ডাক্তারদের শঙ্কা হৃদরোগের কারণে খালেদা জিয়ার শরীরের যেকোনো একটি চেম্বার বা অংশের মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

সূত্র জানায়, এসব জটিল সমস্যার আগাম উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত হাসপাতালে স্থানান্তরের জোর সুপারিশ করেছে মেডিকেল বোর্ড। মেডিকেল প্রতিবেদনে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করলেও এ ধরনের উন্নত চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে। ভবিষ্যৎ চিকিৎসা পরিচালনার জন্য বোর্ড সুপারিশ করেছে যে, রোগীকে এমন একটি উচ্চতর কেন্দ্রে স্থানান্তর করা উচিত, যেখানে মাল্টিসিস্টেম ডিজিজ ম্যানেজমেন্টের জন্য অগ্রিম সুবিধা পাওয়া যায়।


নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যা চিহ্নিত করে পাঁচ দফা পরামর্শ বা সুপারিশ করেছে।

পাঁচ দফা সুপারিশে যা বলা হয়েছে- ১. ক্রনিক লিভার ডিজিজ (লিভার সিরোসিস) কোন পর্যায়ে রয়েছে তা পরীক্ষা করে খাদ্যনালির কোন জায়গা থেকে (ডিআই ব্লিডিং) হচ্ছে সেটি বের করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনও লাগতে পারে।

২. কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে খালেদার শরীর প্রোটিন ধরে রাখতে পারছে না। প্রস্র্রাবের সঙ্গে অনেক প্রোটিন বের হয়ে যায়। এ জন্য তাঁর আধুনিক উচ্চ চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ ক্রনিক লিভার ডিজিজ পরিস্থিতিকে আরো জটিল করেছে।

৩. হৃদরোগের জটিলতার কারণে যেকোনো সময় তার হৃদরোগের বেদনায় বিশেষ একটি চেম্বার বা অংশে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তার হার্টের স্পন্দন মাঝেমধ্যেই অনিয়মিত হয়ে পড়ে এবং এটি যেকোনো সময় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। 

৪. রিউমাটয়েড আথ্রাইটিসের কারণে খালেদা জিয়ার বিভিন্ন জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার কারণে অন্যের সাহায্য ছাড়া তিনি দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেন না। এটা ক্রনিক লিভার ডিজিজ ও ক্রনিক কিডনি ডিজিজের কারণে।

৫. সবশেষে খালেদা জিয়ার পারিবারিক রোগের ইতিহাস পর্যালোচনা করে চিকিৎসকরা তার রোগের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন চিকিৎসার ব্যবস্থা করা জরুরি বলে মনে করেন।

চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হার্টের জটিলতায় খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা সহ তাৎক্ষণিকভাবে তাকে রিং পরানোর প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের চিকিৎসকদের অনেকেই সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি নিতে চাইবেন না। তাঁর রক্ত যাতে জমাট না বাঁধে সে জন্য প্রচুর ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাকে চার ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে।

ডাক্তাররা জানান, কারাগারে এবং করোনায় বাসায় আটকে থাকার কারণে গত চার বছরে নিয়মিত চেকআপ না হওয়ার কারণে খালেদা জিয়ার লিভার ও কিডনি আগে থেকেই দুর্বল অবস্থায় ছিল, যা করোনা-পরবর্তী জটিলতায় প্রকট আকার ধারণ করেছে।

পর্যালোচনায় ডাক্তারা জানান, করোনা-পরবর্তী জটিলতার উপসর্গ হিসেবে তার খাদ্যনালির বিভিন্ন জায়গায় মাইক্রোহেমারিজ (ওবিটি) হয়েছে। এ জন্য স্টুলের সঙ্গে রক্ত গেলেও সেটি দেখা যায় না। ফলে তার শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে শরীরে আয়রন, প্রোটিন ও হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়ায় খালেদা জিয়া আরো বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছেন বলেও মনে করেন তারা। এ জন্য চার ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পাশাপাশি তার মুখে খাওয়া এবং অ্যালুমিনিয়াম ইনজেকশনের মাধ্যমে তাকে প্রোটিনও দেয়া হয়েছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার শরীর হিমোগ্লোবিন ও আয়রন তৈরি করতে পারছে না। তার অদৃশ্য রক্তক্ষরণ (ডিআই ব্লিডিং) হচ্ছে। এখন এটির কারণ বা উৎস খুঁজে পেতে হলে তার এন্ডোসকপি করতে হবে। আর এন্ডোসকপি করতে হলে খালেদা জিয়াকে অজ্ঞান করতে হবে। কিন্তু এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন রোগীকে বাংলাদেশের একজন চিকিৎসকের পক্ষে করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এ ধরনের পরীক্ষার জন্য অনেক সময় অন দ্য স্পট সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এ জন্য অত্যাধুনিক ও উন্নত কোনো কেন্দ্র নেই।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করেন, খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থার কারণে তার বিশেষায়িত চিকিৎসা দরকার। তিনি বলেন, ম্যাডামের মতো জটিল রোগীদের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা বিদেশেই রয়েছে। ফলে তাকে বিদেশে নেয়াই যুক্তিযুক্ত।

চিকিৎসকদলের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়া সুস্থ্য হয়ে কবে বাসায় ফিরবেন, সেটি মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে। কারণ এখনো তিনি করোনা-পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ২৮ এপ্রিল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় ৩ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত সিসিইউয়ে থাকার পর এখন তাকে কেবিনে দেয়া হয়েছে। তবে পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে কবে তিনি বাসায় যেতে পারবেন, সে বিষয়ে চিকিৎসকরা এখনই কিছু বলতে পারছেন না। কারণ এখনো তিনি করোনা-পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন।

জাতীয় এর আরও খবর

img

নাগরিকদের কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত :  ১৫:৫৫, ১৮ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:০৫, ১৮ মে ২০২৪

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, নাগরিকদের প্রতি যে কোনো ধরনের বৈষম্য আইনের শাসনের পরিপন্থি। কাজেই কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন সেদিকে সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রেখে উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এবং সর্বস্তরে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ঘাতক-দালালদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘এই লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তির ইস্পাত কঠিন ঐক্যের বিকল্প নেই। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর দর্শন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতার বোধকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ারও তাগিদ দেন।

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মাধ্যমকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করুন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ুন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও আদর্শ সম্পর্কে জানুন। মননে, বোধে, জীবনাচরণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে লালন করে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ২১ বছর পর ১৯৯২ সালে শহিদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে শুরু হয়ে এই আন্দোলনের প্রাজ্ঞ নেতারা প্রায় ৩৩ বছর ধরে নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এই সংগঠনকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, ‘কেবল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারই নয়, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এই মহাসংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস পৌঁছে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দীক্ষিত করার ক্ষেত্রেও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

তিনি আশা করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সহনশীল ও মানবিক সমাজ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আগামী দিনগুলোতেও ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও ঘাতক-দালাল চক্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাসহ আমাদের সাফল্যকে ম্লান করে দিতে অবিরাম অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন হলেও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কাজ কখনও শেষ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভূমিকা অতীতের মতো ভবিষ্যতে উজ্জ্বলভাবে কার্যকর থাকবে।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও প্রশংসা অর্জন করেছে।  বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক ও তথ্যপ্রযুক্তির নানা সূচকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করেছি আমরা। এই অগ্রযাত্রার পথে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মৌলবাদ ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্ব এবং জঙ্গিবাদের প্রতি তাঁর সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণেই জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ডিজিটাল বিপ্লবের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।

এ সময় রাষ্ট্রপ্রধান ধর্মীয় ও ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করার আহ্বান জানান।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলন-২০২৪ এর সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলিম, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানবাধিকার নেতা নির্মল রোজারিও, আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সভাপতি অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, ন্যায় অধিকার তৃতীয় লিঙ্গ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান সমাজকর্মী আনোয়ারা ইসলাম রাণী এবং ৮ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কাজী মুকুল বক্তব্য দেন।