img

‘আই অ্যাম এ সোলজার অব শেখ হাসিনা’

প্রকাশিত :  ১২:০৩, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৫৪, ১৬ জানুয়ারী ২০২২

‘আই অ্যাম এ সোলজার অব শেখ হাসিনা’


নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আই অ্যাম এ সোলজার অব শেখ হাসিনা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অবশ্যই নৌকা জিতবে। যদি বলে কোনো শব্দ নেই। বিপুল ভোটে নৌকা জয়যুক্ত হবে।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে কোনো নির্বাচনে সামান্য ধাক্কাধাক্কিও হয়নি, এমনকি কারো মাথা ফাটেনি। নারায়ণগঞ্জ শান্তির শহর, একটা সুন্দর শহরে। এই শহরের চারপাশে যেমন নদী আছে, তেমনি নারায়ণগঞ্জের মানুষের মনে ভালবাসা আছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে। একজন জিতবেন আর একজন হারবেন।আজকে প্রথম ভোট দিলাম ইভিএমে। ভোট দিয়ে ভাল লাগলো। ভাবছিলাম আমার ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলবে না। কিন্তু তেমনটি হয়নি। আমি একটা কথা বলতে চাই- দেশ এগিয়ে যাচ্ছে একজনের নেতৃত্বে। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে। কিন্তু এই এগিয়ে যাওয়া বিঘ্ন করতে একটি মহল দেশে-বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে।
নৌকার বিজয়ের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি বলে কোনো শব্দ নেই। নারায়ণগঞ্জে অবশ্যই নৌকা জিতবে।

img

রাজধানীতে রড দিয়ে পিটিয়ে শিশু গৃহকর্মী খুন, দম্পতির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:১০, ১৪ মে ২০২৪

১৮ বছর আগে রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন এলাকায় রড দিয়ে পিটিয়ে শিল্পী বেগম নামে ১১ বছর বয়সি গৃহকর্মীকে খুনের দায়ে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাসের কারাভোগের আদেশ দেন।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম সাজার বিষয় নিশ্চিত করেন। 

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ভিকটিম শিল্পী বেগম উত্তর কমলাপুর কবি জসিম উদ্দিন রোডে মতিঝিল থানাধীন এলাকায় আসামি নজরুল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত। ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের মা অজ্ঞাত ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার মেয়ে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। 

পরে ভিকটিমের মা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান, তার মেয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, আসামিরা ভিকটিমকে ঘরের দরজা আটকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করেছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে ভিকটিমকে আঘাত করা হতো বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

ঘটনার তিনদিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিল্পী মারা যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা সিরাজুল ইসলাম মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে মতিঝিল থানার এসআই গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম একই বছরের ৩০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

পরের বছরের ২৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।