img

নিজের বেতন ৪০ শতাংশ কমাতে চান অ্যাপলপ্রধান কুক

প্রকাশিত :  ১২:২০, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

নিজের বেতন ৪০ শতাংশ কমাতে চান অ্যাপলপ্রধান কুক

অ্যাপলের শেয়ারের দাম কমায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুকের এ বছর বার্ষিক বেতন–ভাতা ৪০ শতাংশ কমছে। তিনি সব মিলিয়ে এ বছর প্রায় ৫১১ কোটি টাকা পাবেন।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের সমালোচনার মুখে টিম কুক নিজেই বেতন কমানোর কথা বলেছেন। কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর নিজের বেতন কমানোর ঘটনা খুবই বিরল। ৪০ শতাংশ বেতন কমানোর প্রস্তাব দিয়ে টিম কুক সেই বিরল প্রধান নির্বাহীদের তালিকায় নাম লেখালেন।

অ্যাপল কর্মকর্তাদের বেতনসংক্রান্ত কমিটি চলতি বছর টিম কুকের জন্য ৪ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার বেতন নির্ধারণ করেছে।

সরবরাহে দেরি হওয়া ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গত বছর আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অনেক কমে যায়।

মার্কিন অর্থবিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা দেওয়া বিবৃতিতে অ্যাপল বলেছে, ‘শেয়ার হোল্ডারদের বক্তব্য, অ্যাপলের ব্যবসায়িক পরিস্থিতি ও টিম কুকের সুপারিশ অনুযায়ী প্রধান নির্বাহীর বেতন সমন্বয় করেছে বেতনসংক্রান্ত কমিটি।’

গত বছর টিম কুকের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। কিন্তু বছর শেষে তিনি মোট ৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার পেয়েছেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ ডলার তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাবদ ও ৭ লাখ ১২ হাজার ৫০০ ডলার ব্যক্তিগত জেট বিমানের খরচ বাবদ দেওয়া হয়।

এই সমন্বয়ে টিম কুকের বার্ষিক মূল বেতনে কোনো পরিবর্তন আসছে না। তিনি ৩০ লাখ ডলার মূল বেতনের পাশাপাশি ৬০ লাখ ডলার পর্যন্ত বোনাস পাবেন। তবে বেতন-ভাতার অংশ হিসেবে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ তাঁকে কী পরিমাণ শেয়ার দেবে, সে বিষয়ে বড় পরিবর্তন আসছে।

২০২২ সালে টিম কুককে ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের শেয়ার দেয় অ্যাপল। এর মধ্যে অর্ধেক পুঁজিবাজারে অ্যাপলের পারফর্মের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছিল।

চলতি বছর তাঁকে দেওয়া শেয়ারের পরিমাণ চার কোটি ডলার কমিয়ে আনা হয়েছে। এর ৭৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে অ্যাপলের পরিস্থিতি কেমন হবে তার ওপর নির্ভর করবে।

গত বছর টিম কুকের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। কিন্তু বছর শেষে তিনি মোট ৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার পেয়েছেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ ডলার তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাবদ ও ৭ লাখ ১২ হাজার ৫০০ ডলার ব্যক্তিগত জেট বিমানের খরচ বাবদ দেওয়া হয়।

অ্যাপল কর্মকর্তাদের বেতনসংক্রান্ত কমিটি চলতি বছর টিম কুকের জন্য ৪ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার বেতন নির্ধারণ করেছে।

টিম কুকের বেতন কমানোর পক্ষে ভোট দিতে গত বছর অ্যাপলের শেয়ার হোল্ডারদের আহ্বান জানিয়েছিল শীর্ষস্থানীয় একটি বিনিয়োগকারী উপদেষ্টা সংস্থা।

ইনস্টিটিউশনাল শেয়ারহোল্ডার সার্ভিসেস (আইএসএস) নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপলের শেয়ার হোল্ডারদের চিঠি দিয়ে বলেছে, টিম কুকের বেতন প্যাকেজ নিয়ে তারা ‘বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন’। প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ ছিল, কুকের বেতন অ্যাপলের একজন সাধারণ কর্মীর তুলনায় ১ হাজার ৪৪৭ গুণ বেশি।

২০১১ সালে অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পান টিম কুক। তাঁর নেতৃত্বে প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাপলের শেয়ারবাজারে মূল্য তিন ট্রিলিয়নে দাঁড়ায়। এর আগে প্রযুক্তিশিল্পের একটি অস্থির অবস্থার কারণে অ্যাপলের শেয়ারের মূল্য দুই দশমিক এক ট্রিলিয়নে নেমে এসেছিল।

ইনস্টিটিউশনাল শেয়ারহোল্ডার সার্ভিসেস (আইএসএস) নামের একটি প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপলের শেয়ার হোল্ডারদের চিঠি দিয়ে বলেছে, টিম কুকের বেতন প্যাকেজ নিয়ে তারা ‘বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন’। প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ ছিল, কুকের বেতন অ্যাপলের একজন সাধারণ কর্মীর তুলনায় ১ হাজার ৪৪৭ গুণ বেশি।

করোনা মহামারিতে চীনে কারখানায় লকডাউন, সরবরাহে দেরি হওয়া ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গত বছর অ্যাপলের শেয়ারের দাম ২০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।

ফোর্বস সাময়িকীর তথ্য অনুযায়ী, ৬২ বছর বয়সী টিম কুকের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৭০ কোটি ডলার। তিনি তাঁর পুরো সম্পদ দান করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


img

হ্যাক হতে পারে ওয়াইফাই রাউটার, নিরাপদ থাকতে ১০টি টিপস

প্রকাশিত :  ১২:৩০, ১৮ মে ২০২৪

আমরা একাধিক ডিভাইসে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগের জন্য ওয়াইফাই রাউটার ব্যবহার করি। তবে রাউটার নেটওয়ার্কও হ্যাক করে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা। তাই আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। 

প্রযুক্তিভিত্তিক সাইট সিনেটের প্রতিবেদন থেকে ওয়াইফাই রাউটার হ্যাক হওয়ার থেকে রক্ষা পেতে কিছু প্রয়োজনীয় কৌশল জানা গেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই কৌশলগুলো।

ওয়াইফাইয়ের জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করুন: ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড যত শক্তিশালী হবে তত হ্যাকারদের হ্যাক করা কঠিন হয়ে যাবে। কিছুদিন পরপর বা অন্তত ছয় মাসে একবার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তনও করা জরুরি। আর পাসওয়ার্ড হিসেবে জন্মদিনের তারিখ, ১২৩৪ সংখ্যা, ফোন নম্বর, জন্মস্থান ইত্যাদি ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ হ্যাকাররা খুব সহজেই এসব পাসওয়ার্ড অনুমান করতে পারে। ক্যাপিটাল বর্ণ, সংখ্যা, বিভিন্ন সংকেতের সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। 

গেস্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করুন: অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বাসায় আসা অতিথিদের জন্য আলাদাভাবে গেস্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করুন। অতিথিরা ওয়াইফাই দিয়ে নিজস্ব ডিভাইসে বিভিন্ন কনটেন্ট ডাউনলোড করার সময় ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার আপনার নেটওয়ার্ককে আক্রমণ করতে পারে। বিভিন্ন আইওটি ডিভাইসের জন্যও গেস্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করা ভালো। কারণ ওয়াইফাই ক্যামেরা, স্মার্ট স্পিকারের মতো আইওটি ডিভাইসের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেও হ্যাক করা যেতে পারে। 

রাউটারের লগইন ডেটা পরিবর্তন করুন: রাউটারের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ও অ্যাডমিনের নাম ব্যবহার করতে হয়। এই পাসওয়ার্ড ও ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড একই বিষয় নয়। রাউটারের সেটিংস থেকে অ্যাডমিন নাম ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা যায়। এ জন্য কোনো ব্রাউজারে রাউটারের আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে সার্চ করুন। আইপি অ্যাড্রেস রাউটারের গায়ে লেখা থাকে বা ম্যানুয়াল গাইডে লেখা থাকে। এরপর ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে রাউটারের সেটিংস প্রবেশ করতে হবে। সেটিংস থেকে পাসওয়ার্ড ও ইউজানর নেম পরিবর্তন করতে হবে। আগের ইজার নেম ও পাসওয়ার্ড না জানা থাকলে সংশ্লিষ্ট ওয়াইফাই সেবাদাতাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। 

রিমোট রাউটার অ্যাকসেস ফিচার বন্ধ রাখুন: ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে দূরবর্তী অবস্থান থেকে ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রিমোট রাউটার অ্যাকসেস ফিচারের মাধ্যমে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে প্রয়োজন না হলে ফিচারটি বন্ধ করে রাখাই ভালো। ফিচারটি বন্ধ করার জন্য রাউটারের অ্যাডমিন সেটিংস থেকে পরিবর্তন করতে হবে। 

ঘরের মাঝামাঝি জায়গায় রাউটার রাখুন: রাউটার নিরাপদে ব্যবহার করার জন্য ঘরের মাঝামাঝি জায়গায় রাউটার রাখুন। এর ফলে ঘরের সব জায়গায় নেটওয়ার্ক সমানভাবে পৌঁছাবে। ঘরের মধ্যেই ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সীমাবদ্ধ থাকবে, বাইরে যাবে না। ফলে হ্যাকাররা এটি সহজে হ্যাকও করতে পারবে না।

ফায়ারওয়াল ও ওয়াইফাই এনক্রিপশন চালু করুন: হ্যাকিং বন্ধে ও রাউটারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অনেক রাউটারেই ফায়ারওয়াল ও ওয়াইফাই এনক্রিপশন ফিচার রয়েছে। এগুলো সাধারণত ডিফল্টভাবে চালু থাকে। তবে ফিচারগুলো চালু রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য রাউটারের সেটিংসে লগ ইন করুন। এরপর ফায়ারওয়াল ও ওয়াই-ফাই এনক্রিপশন ফিচার চালু রয়েছে কি না, তা দেখে নিতে হবে। ফিচারগুলো বন্ধ থাকলে চালু করে নিতে হবে। 

ডাব্লুএপিএ ৩ রাউটার কিনুন: ডাব্লুএপিএ ৩ হলো রাউটারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উন্নত নিরাপত্তা প্রোটোকল। এটি ওয়াইফাইয়ের নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। নতুন রাউটার কেনার সময় ওয়াইপিএ ৩-এর সমর্থন রয়েছে কি না, তা দেখতে হবে। 

ডিভাইসের ভ্যারিফিকেশন: নিজের রাউটারের ওয়াফাইয়ের সঙ্গে কোন কোন ডিভাইস যুক্ত, তা মাঝে মাঝে লক্ষ করতে হবে। কোনো ডিভাইস নিয়ে সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে। 

ভিপিএন ব্যবহার করুন: ভালো মানের ভিপিএন ব্যবহার করলে এটি হ্যাকারদের কাছ থেকে রাউটারের আইপি অ্যাড্রেস লুকিয়ে রাখবে। এছাড়া ওয়াইফাই ব্যবহার করে আপনি কী কী করছেন তাও জানতে পারবে না। অনেকেই যাচাই-বাছাই না করেই বিনা মূল্যের ভিপিএন ব্যবহার করেন, তা করা উচিত হবে না। কারণ এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

রাউটার ও ডিভাইসের সফটওয়্যারের আপডেট রাখুন: রাউটার ও সংযুক্ত ডিভাইসকে সুরক্ষা দিতে এবং ত্রুটি দূর করতে কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সফটওয়্যারের আপডেট দেয়। এগুলো ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। সেটিংস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেটের ফিচারটি চালু করে রাখুন।

আপনার রাউটারটি ২০১৮ সালের আগে কেনা হলে এতে ওয়াইপিএ ২-প্রযুক্তি থাকারই সম্ভাবনা বেশি।