img

এমপি কয়েসের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত :  ১৪:১৫, ০৩ অক্টোবর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:১৯, ০৩ অক্টোবর ২০১৮

এমপি কয়েসের বিরুদ্ধে মামলা

জনমত রিপোর্ট।। সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী এক যুবলীগ নেতা মা।
বুধবার দুপুরে সিলেটের মুখ্য জেলা হাকিম ৫ম আদালতে ওই নারী মামলাটি করেন। আদালতের বিচারক ফারজানা শাকিলা মুমু চৌধুরী মামলার শুনানি শেষে আদেশ না দিয়ে অপেক্ষায় রেখেছেন।

মামলা দায়েরকারী মনোয়ারা বেগম ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কে এস টিল্লা এলাকার মৃত আফাজুল ইসলামের স্ত্রী। বাদী অভিযোগে এমপি কয়েসকেই একমাত্র আসামি করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহসিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার বাদী মনোয়ারা বেগম মামলার আবেদনে আদালতের কাছে তার প্রবাসী ছেলে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে যুক্তরাজ্য যুবলীগ নেতা আশফাকুল ইসলাম সাব্বিরকে হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগ এনেছেন এমপি মাহমুদ সামাদ চৌধুরী কয়েসের বিরুদ্ধে। তিনি আমার মক্কেলকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন প্রকাশ্যেই। আইনের ৫০০/৫০৬ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন তিনি। আমরা এ বিষয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছি।
মামলার বাদী মনোয়ারা বেগম বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জের পিটাইটিকর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আমার ছেলে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে যুক্তরাজ্য যুবলীগ নেতা আশফাকুল ইসলাম সাব্বিরকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন এমপি কয়েস। পাশাপাশি তিনি প্রকাশ্যে আমার ছেলেকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন। সেদিন প্রকাশ্যে তিনি বলেছিলেন- ‘আমি সংসদ সদস্য হয়ে ডাণ্ডাবেরি পড়ে আছি। যেদিন ডাণ্ডাবেরি থাকবে না সেদিন আমি ফেঞ্চুগঞ্জে প্রকাশ্যে দাঁড়াবো। সবকিছু চুরমার করে দেব।’

মনোয়ারা বেগমের দাবি, সেদিন এমপি কয়েস নিজেকে খুনীর স্বঘোষিত রক্ষক হিসেবে দাবি করেন। তিনি বলেন, একজন খুনিকে আমি পার করে দিয়ে কবিরা গুনাহ করেছি। এবার বিল জলমহালে আরও ৫টি খুন হবে।

ওইদিনের জনসভায় এমপি কয়েস আরও বলেছিলেন, ‘আমি খারাপ মানুষ ছিলাম। এমপি হয়ে ভালো হয়েছি। নির্বাচনে ফেল করিয়ে পুনরায় আমাকে খারাপ মানুষ হিসেবে জন্ম দিবেন না।’

মনোয়ারা বেগম মামলায় আবেদনে উল্লেখ করেছেন, সেদিন সভা মঞ্চ থেকে নেমে এমপি সামাদ তাকে ও তার স্বামীকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজও করেছেন।Hi 

img

বিশ্বনাথে মেয়র ও কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশিত :  ১৩:০০, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম ও মেয়র মুহিবুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পথচারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের সমর্থকেরা সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশা ও দোকানপাট ভাঙচুর করেছেন।


রোববার বেলা তিনটার দিকে পৌরসভার নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে উভয় পক্ষের লোকজন একই এলাকায় প্রায় ১০০ গজের ভেতরে পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ সভা ডাকেন। ওই সভা ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই জেরে সমাবেশ শুরুর আগে ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর রাসনা বেগম উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। তিনি ২৪ এপ্রিল মেয়র মুহিবুর রহমান, দুই কাউন্সিলরসহ আটজনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা করেন। এরপর মেয়র পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই পৌর শহরে উত্তেজনা চলছে।

বেলা তিনটায় নতুন বাজার এলাকায় মেয়র পক্ষের লোকজন ‘মিথ্যা মামলার’ প্রতিবাদে সভা ডাকেন। একই সময় প্রায় ১০০ গজ দূরে মেয়রকে গ্রেপ্তারের দাবিতে নারী কাউন্সিলরের পক্ষে আরেকটি সমাবেশ ডাকে পৌর আওয়ামী লীগ। সমাবেশ শুরুর আগে উভয় পক্ষের লোকজন জড়ো হলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে পথচারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরে উভয় পক্ষের কেউ কোনো সভা করেনি।

এ ব্যাপারে কথা বলতে মেয়র মুহিবুর রহমানের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি। অন্যদিকে রাসনা বেগম ফোন ধরলেও এ বিষয়ে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের লোকজনের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কেউই থানায় লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ করেননি।