img

১০ মাস বেতন-ভাতা না পেয়ে আন্দোলনে সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক

প্রকাশিত :  ০৭:২১, ১৩ অক্টোবর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:২৯, ১৩ অক্টোবর ২০১৮

১০ মাস বেতন-ভাতা না পেয়ে আন্দোলনে সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক
জনমত ডেস্ক ।। প্রত্যন্ত এলাকায় স্কুলগুলোতে নিয়মিত ক্লাস নিয়েছেন; কিন্তু টানা ১০ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এমন সাড়ে ৫ হাজার অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) এখন আন্দোলনমুখী।  এমপিওভুক্তি হবে এমন আশ্বাস দেওয়া হলেও তাতে তেমন অগ্রগতি দেখছেন না তারা। এ কারণে আন্দোলনের বিকল্প দেখছেন না শিক্ষকরা।
 
দুর্গম ৬৪টি উপজেলার দুই হাজার ১১টি স্কুলে গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভীতি দূর করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকায়েপ নামের একটি প্রকল্প থেকে ছয় হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে তারা স্কুলে পাঠদান শুরু করেন। যাচাই-বাছাই করে সর্বোচ্চ যোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হয় পাঠদানের জন্য। এর ফলে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলো সাফল্যও পেয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটি গত ডিসেম্বর মাসে শেষ হওয়ায়, এরপর থেকে এই শিক্ষকরা বেতন-ভাতা বঞ্চিত। বেতন না পেয়ে অনেক মেধাবী শিক্ষক হতাশ হয়ে স্কুলে যাচ্ছেন না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
 
এসব শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি অথবা পরবর্তী প্রকল্পে স্থানান্তরের দাবিতে গত সোম ও মঙ্গলবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন তারা। পরে তারা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করে দাবিগুলো তুলে ধরেন।
 
সেকায়েপ এবং সেসিপের আওতায় নিয়োগকৃত অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে গত জুলাইয়ে উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
 
বাংলাদেশ এসিটি অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মণ জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর সেকায়েপ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে ওই শিক্ষকদের নতুন প্রকল্পে স্থায়ী করার জন্য নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালিয়ে যাওয়ার কথা বলে সরকার। মন্ত্রণালয় থেকে এমপিওভুক্তির উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে বলে আমরা শুনেছি, কিন্তু সে বিষয়ে কোনো অগ্রগতি দেখছি না। তাই বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নামছি।
 
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সেকায়েপ প্রকল্পের মেয়াদ শেষে এসিটিদের এমপিওভুক্ত করা হবে তা এসিটি ম্যানুয়ালের ৩৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রোগ্রাম প্ল্যান ২৬ পৃষ্ঠায় সরকারি বিশেষ আদেশের মাধ্যমে নতুন প্রকল্পে স্থানান্তরের কথা স্পষ্ট উল্লেখ ছিল। কিন্তু গত ১০ মাসেও আমাদের বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলে এসব শিক্ষক বেতন না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
 
অপরদিকে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) প্রকল্পে রিসোর্স টিচারসহ (আরটি) দেড় হাজার শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। শিক্ষক হিসেবে এবং শিক্ষা প্রশাসনে এদের অভিজ্ঞতা সর্বোচ্চ ১৬ বছর পর্যন্ত। এই শিক্ষক-কর্মকর্তারা পরবর্তী প্রকল্পে সরাসরি এবং তাদের পদগুলো রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার দাবি জানান।

শিক্ষা এর আরও খবর

img

প্রয়োজনে শুক্রবারও স্কুল খোলা রাখা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১২:১৬, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

কারিকুলামের নির্দিষ্ট দিনগুলো সম্পন্ন করতে প্রয়োজনে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শ্রুক্রবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হবে—বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল ইসলাম চৌধুরী নওফেল। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একেক অঞ্চলের তাপমাত্রা একেক রকম। এখন উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও হাওড় এলাকার তাপমাত্রা কম। তবে অতি বৃষ্টিতে কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে বন্যার কারণে পাঠদান বন্ধ রাখতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ বিভিন্ন ছুটির কারণে লার্নিং গ্যাপ কমাতে প্রয়োজনে ছুটির দিন শুক্রবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না বন্ধ থাকবে এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আদেশের কপি পেয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আদেশ জানানো হবে। তবে আমরা আদালতের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আর এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।

তিনি বলেন, নির্বাহী বিভাগ বিভিন্ন এলাকার পাঠদান বিষয়ে আবহাওয়া দফতর এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্দেশনা দিয়ে আসছে। তবে স্বতঃপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত এলে আমাদের কাজের ব্যঘাত ঘটে।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ছুটি, কারিকুলাম, টেক্সটবুক এসব সব বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে একটি সমন্বিত পরিকল্পনার আলোকে সিদ্ধান্ত হয়। রাজধানীকেন্দ্রিক প্রভাবশালী মানুষের আর সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনা দেখে রাষ্ট্রপরিচালনা হয় না।

রাজধানীর পরিস্থিতি অন্য জেলার সঙ্গে এক নয়। তাই ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এ কারণেই সুনির্দিষ্ট কিছু জেলায় পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখেই স্কুল বন্ধের বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।