img

সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও গ্রাহক সেবা নিশ্চিত এটাব এর প্রধান লক্ষ্য

প্রকাশিত :  ০৬:৫৬, ০৬ আগষ্ট ২০২০

সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও গ্রাহক সেবা নিশ্চিত এটাব এর প্রধান লক্ষ্য

জনমত ডেস্ক : সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও গ্রাহক সেবা নিশ্চিত আমেরিকান ট্রাভেল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- (এটাব অঞঅঅই) এর প্রধান লক্ষ্য। সারা বিশ্বে করোনা মহামারীর কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িক অঙ্গণ ট্রাভেল ইন্ডাষ্ট্রি। নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশী ট্রাভেল এজেন্সিসমূহ বিশাল সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও নিউইয়র্কের আমরা ট্রাভেল এজেন্সীর মালিকগণ গ্রাহকদের কাছে টিকেট বিক্রয় ও বাতিলকৃত পুরোনো টিকেটের অর্থ ফেরত দেওয়া ও তারিখ পরিবর্তনসহ নানাবিধ সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

নিজেদের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও গ্রাহকদের আরো বেশী সুবিধা নিশ্চিত করতে আমাদের প্রিয় সংগঠণ অঞঅঅই কে সক্রিয় করার নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। আমেরিকান ট্রাভেল এজেন্ট এসোসিয়েশন অঞঅঅই ব্যানারে ২৯ই জুলাই বুধবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজার দোতালায় ফেডারেল নির্দেশনা সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে এক সাংবাদিক সম্মেলন এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কনভেনর মোহাম্মদ এম রহমান (মেঘনা ট্রাভেল), বক্তব্য রাখেন কো কনভেনর মোহাম্মদ কে রহমান (রহমানিয়া ট্রাভেল), বক্তব্য সহ বিভিন্ন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জাফর ফেরদৌস- বাংলাদেশ ট্রাভেল, বেলায়েত হোসেন বেলাল- ডিজিটাল ওয়ান ট্রাভেল, মোহাম্মদ সেলিম (হারুন)- কর্ণফুলী ট্রাভেল, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ- মা ট্রাভেল, মোহাম্মদ খালেক -শাফওয়ান ট্রাভেল, মোশারফ হোসেন-রূপালী ট্রাভেল, মোহাম্মদ হারুন রশীদ-রশিদ ট্রাভেল, শ্যামল তালুকদারসহ আরও অন্যান্যরা লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে অঞঅঅই এর মহাসচিব মোহাম্মদ হারুন (সেলিম) সংগঠনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। নিম্নে বক্তব্য:

সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুরা

আসসালামুআলাইকুম/শুভ সন্ধ্যা।

আপনারা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন কেন আজ আমরা আপনাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আপনারা জানেন যে, ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই নিউইয়র্কের বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর স্বার্থ রক্ষা, গ্রাহকসেবা নিশ্চিত ও কমিউনিটির সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনার লক্ষ্যে আমেরিকান ট্রাভেল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- এটাব প্রতিষ্ঠা হয়। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আমরা সব সময়ও পেয়ে আসছি। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চলমান করোনা প্যান্ডামিকের সময়ও আমাদের ডাকে সাড়া দেয়ায় আমরা আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি।

সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুরা

আপনার এইও জানেন যে, গত মার্চ মাসে নিউইয়র্কে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার বাস্তবতায় স্টেটের পক্ষ থেকে প্রথমে সার্টডাউন ও পরবর্তীতে লকডউন ঘোষণা করা হয়। বিশেষ করে নিউইয়র্কের মাননীয় গর্ভণর মি. এন্ড্রু কোমো ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণা করলে আমরাও প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হই। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক রুটে বিমানগুলো তাদের ফ্লাইট অপারেট বন্ধ রাখে। ফলে সব ব্যবসায়ীর মতো আমরাও দুশ্চিন্তায় পতিত হই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আমাদের অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু তারপরও আমাদের সংগঠনের সম্মানিত সদস্য বা ট্রাভেল এজেন্সিগুলো লকডাউনে থাকা অবস্থায় গ্রাহকদের চাহিদামতো সেবা দিতে সক্ষম হন। এমনকি অনেকেই দিন-রাত করে গ্রাহকদের টিকিট পরিবর্তন, বাতিলসহ নানা সেবা দিয়ে কমিউনিটির সুনাম অর্জন করেছেন।

সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুরা

নিউইয়র্কে গত ৬ জুন লকডাউনের প্রথম ধাপ উর্ঠিয়ে দেয়া হলে আমাদের সদস্যরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করে। বর্তমান সময়ে আমাদের সব সদস্য নিজেদের প্রতিষ্ঠানে বসেই টিকিট বিক্রিসহ রিফান্ড এবং তারিখ পরিবর্তনসহ নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। এরই মধ্যে তিনটি বিমানও আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। তাদের ফ্লাইটে ঢাকা- নিউইয়র্ক, নিউইয়র্ক-ঢাকার যাত্রীরা আসা যাওয়া করতে পারছেন। তাই আমরা মনে করেছি আমাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে আপনাদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। আপনারাই পারেন আমাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে অগ্রণী ভ‚মিকা রাখতে, যা আগেও রেখেছেন। আমরা আপনাদের মাধ্যমে গ্রাহকদের জানাতে চাই আমাদের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান আগের মতো সপ্তাহে সাত দিন খোলা থাকবে এবং গ্রাহকরা তাদের প্রত্যাশিত সেবা পাবেন। আমরা প্রতিটি ট্রাভেল এজেন্সির স্টোর পলিসি অনুযায়ী বাতিল টিকিটের অর্থ ফেরত দিয়ে গ্রাহকদের অব্যাহত সন্তুষ্টি অর্জন করে চলেছি, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। আমরা সব সদস্যদের এ বিষয়ে দায়িত্বশীল হওয়ার বিষয়ে আন্তরিক পরামর্শ দিয়েছি। তারপরও যদি কেউ নিয়ম বা রিফান্ড পলিসি অনুযায়ী টিকিটের অর্থ ফেরত না দেন তাহলে এটাবের সঙ্গে গ্রাহকদের যোগাযোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি আপনাদের মাধ্যমে।

সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুরা

আমার অত্যন্ত দু:খের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, এতো দিনের ট্রাভেল এজেন্সিগুলো সুনাম বিনষ্ট করতে কিছু গণমাধ্যম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু স্বনামধন্য ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মুখরোচক সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে সেসব গণমাধ্যগুলোর কাছে প্রতিবাদও পাঠিয়েছি। তারা যদি যথাসময়ে আমাদের প্রতিবাদটি যথাস্থানে প্রকাশ না করেন তাহলে সে বিষয়ে পরবর্তীতে আমরা আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো। যেহেতু গণমাধ্যমের নিয়ম এবং প্রক্রিয়া অনুস্মরণ করে আমরা তাদের কাছে প্রতিবাদ পাঠিয়েছি তাই বিষয়টির ওপর নজর রাখছি এবং এই সময়ে এ নিয়ে আর বিষদ কিছু বলতে চাইছি না। আপনারা মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমাদের সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন বিধায় আপনাদের আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে, আমরা যথাসাধ্য উত্তর দেয়া চেষ্টা করবো। তবে এর আগে আমি পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আমাদের সংগঠনের উপস্থিত কর্মকর্তাদের।

ধন্যবাদ।


নিবেদক

মোহাম্মদ সেলিম (হারুন)

মহাসচিব

আমেরিকান ট্রাভেল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- এটাব।


কমিউনিটি এর আরও খবর

img

বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা সহজ করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসী প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৩:২২, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

জনমত ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি যুক্তরাজ্যের হসপিটালিটি এবং ক্যাটারিং খাতে কাজ করতে চাওয়া বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ কর্মীদের জন্য ভিসার শর্ত সহজ করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।

২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ বিষয়ক অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) আয়োজিত বাংলাদেশ বিষয়ক হাই প্রোফাইল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এপিপিজি অন বাংলাদেশ চেয়ার রুশনারা আলী এমপির সভাপতিত্ব এ সংলাপে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, বব ব্ল্যাকম্যান এমপি এবং এপিপিজির ভাইস-চেয়ার লর্ড করণ বিলিমোরিয়া বক্তব্য রাখেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন,  \"বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ পরিণত করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ সারা বিশ্বে বসবাসরত বাংলাদেশিদের চলমান মঙ্গল এবং কল্যাণ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন।\"

তিনি আরও বলেন, \"বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা সরকারের প্রগতিশীল পররাষ্ট্রনীতির ফলে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।\" তিনি উল্লেখ করেন যে, \"বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত ও গভীর করার এখনও অনেক ক্ষেত্র অন্বেষণের সুযোগ রয়েছে।\"

তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, \"যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরের বাংলাদেশী রেস্তোরাঁগুলি বর্তমানে সুদক্ষ কর্মীদের অভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। যুক্তরাজ্য সরকার ন্যূনতম বার্ষিক বেতন  ৩৮০০ পাউন্ডে উন্নীত করায়, অনেক রেস্তোরাঁর মালিকদের পক্ষেই এই পরিমাণ বেতন দিয়ে কর্মি রাখা প্রায় অসম্ভব।\"


প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান হসপিটালিটি সেক্টরে কর্মরত ব্যক্তিদের ন্যূনতম বার্ষিক বেতনের শর্ত শিথিল করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। 

তিনি আরও বলেন, \"বাংলাদেশ দক্ষ নির্মাণ শ্রমিক এবং খামার শ্রমিক দিতে পারে যারা যুক্তরাজ্যে মৌসুমী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে পারবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য সরকার একযোগে বাংলাদেশী দক্ষ শ্রমিকদের জন্য রেস্তোরাঁ কর্মী, চিকিৎসক ও নার্সসহ আরও কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।\"

হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেছেন, \"বাংলাদেশ হাইকমিশন যুক্তরাজ্যে দক্ষ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আরও কাজের সুযোগ সৃষ্টির জন্য কাজ করছে।\"

তিনি উল্লেখ করেন যে, \"গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে অনেক কেয়ারগিভার যুক্তরাজ্যে নিয়োগ করা হয়েছে। উপরন্তু, বাংলাদেশ থেকে মৌসুমী খামার শ্রমিকদের নিয়োগও শুরু হয়েছে।\'

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রুশনারা আলী এমপি। অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের উচ্চপদস্থ সংসদীয় কর্মকর্তা এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট জনরা উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে ব্রিটিশ বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী।

একই দিনে মন্ত্রী শফিকুর পূর্ব লন্ডনে ইউকে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক সভায়ও যোগ দেন।

কমিউনিটি এর আরও খবর