img

উন্নয়নের জন্য শিক্ষার বিকল্প নেই : নৌ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১০:০৭, ১৬ অক্টোবর ২০২০

উন্নয়নের জন্য শিক্ষার বিকল্প নেই : নৌ প্রতিমন্ত্রী

জনমত ডেস্ক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বর্তমান সময় শিক্ষার সময়; এগিয়ে যাওয়ার সময়। এগিয়ে যেতে হলে শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার ৫০ বছর আমরা অতিক্রম করছি। ৫০ বছরে দেশ যে জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল সে জায়গায় যেতে পারেনি। বারবার আমাদেরকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে, টেনে ধরা হয়েছে।’  

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘প্রিমিয়ার ব্যাংক ইউকে কানাডা এডু এক্সপো ২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সানজেন এডু লিমিটেড দু’দিনব্যাপি এ মেলার আয়োজন করেছে। মেলায় যুক্তরাজ্য ও কানাডার ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। আজ সন্ধা ৭টা পর্যন্ত এবং আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা  বাংলাদেশ বান্ধব। তিনি একজন সাহসী, বিচক্ষণ ও দূরদর্শি নেত্রী। তাঁর মতো এত অভিঞ্জতাসম্পন্ন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে আছেন বলে আমার জানা নেই। তিনি চার চারবার  বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে দিনবদলের ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে দেশে দিনবদল হয়েছে। সকল ক্ষেত্রে দেশ উন্নয়নের অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ সালে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দেশে আইনের শাসন ছিলনা, অপরাধিরা অপরাধ করে পালিয়ে যেত। আইন করে অপরাধিদের বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও জেল খানায় জাতীয় চারনেতা হত্যার বিচার আইন করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। বিচারহীনতার রাজনীতি চালু করে অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১১ বছরে অপরাধিদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। দিনবদলের ইতিহাস সৃষ্টি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সঠিক ধারায় আছে। অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মাসেতু আমাদের গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এসব কিছু সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে কারণে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়াশুনার পাশাপাশি দেশের দূত হিসাবে কাজ করছে। তারা লেখাপড়ার পাশাপাশি বিদেশী শিক্ষার্থীদেরকে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা জানাতে পারছে। দেশের ১৬ কোটির ওপর জনসংখ্যাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে হবে নতুবা আমরা পিছিয়ে যাব। উন্নয়নের ধারাকে ধরে রাখতে শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফএসিডি-সিএবি’র প্রেসিডেন্ট কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি এবং সানজেন এডু লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল হক ।

সানজেন এডু লিমিটেড এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিদেশে পড়াশুনার বিষয়ে শিক্ষা সেবা দানকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটের কারণে ভিসা ব্যবস্থায় নতুন নিয়মের অর্ন্তভুক্তির ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ বেড়েছে বহুগুণে। অন্যদিকে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও যুক্তরাজ্য ও কানাডায় পড়তে আগ্রহি শিক্ষার্থীদের ভিসা উন্মুক্ত করেছে; সে সুযোগটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে সানজেন এডু লিমিটেড  আরো বেশি কাজ করারর সুযোগ পাবে। প্রতিমন্ত্রী পরে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।


img

এসএসসির ফল প্রকাশ ৯ থেকে ১১ মে

প্রকাশিত :  ১৫:১২, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:২০, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে। এরই মধ্যে ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। 

শনিবার বিকালে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তপন কুমার বলেন, ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৯, ১০ ও ১১ মে—এই তিনটি তারিখের মধ্যে যেকোনো এক দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।

সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সে হিসাবে, মে মাসের ১১ তারিখের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা।

এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ফলাফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে। কারণ এসব পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। ফলে তিনি যেদিন সময় দিতে পারেন, সেদিনই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষায় ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করে।