সংসদ সদস্যদের পেছনে ফেলে গত পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে এগিয়ে রয়েছে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ, যেখানে একজন চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি।
সোমবার (৬ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থী মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। প্রার্থী হওয়ায় এগিয়ে ভাইয়েরা; এছাড়া চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, জামাতা, ভাইয়ের ছেলেও আছেন তালিকায়।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ জানিয়েছে, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৬৯.৮৬ শতাংশ ব্যবসায়ী। ১৬.৬৩ শতাংশ প্রার্থী মামলার আসামি। এ ছাড়া ঋণ আছে ২৩ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রার্থীর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা পেছনে ফেলেছেন সংসদ সদস্যদের।
এ ক্ষেত্রে অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে কোটিপতি প্রার্থীদের শীর্ষ ২০ জনের তালিকা করেছে টিআইবি।
তালিকার শীর্ষে আছেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূইয়া। তার মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৫ দশমিক ২৪ কোটি টাকা। তারপরের অবস্থান রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলামের।
তার মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২০ দশমিক ৩০ কোটি টাকা। শীর্ষ তিনে থাকা নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাহার ইশরাক শাহাব চৌধুরীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১৮ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা।