img

শীতে কোভিড-১৯ কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে বাঁচার ঘরোয়া উপায়

প্রকাশিত :  ১০:২৫, ২৮ নভেম্বর ২০২০

শীতে কোভিড-১৯ কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে বাঁচার ঘরোয়া উপায়

জনমত ডেস্ক : উত্তরের হাওয়ায় শীতের হালকা আমেজ ফিরে এসেছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই। হঠাৎ করেই দিনের সর্বনিম্ম তাপমাত্রা কমে গিয়েছে। অথচ সূর্যের তেজে দিনের বেলায় বেশ গরম। ঋতু বদলের এই সময়তে জ্বর, সর্দি-কাশি লেগেই থাকে।

করোনা আবহে কোভিড-১৯ কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে বাঁচতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই সহজেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে থাকা সুস্থ থাকার কিছু ঘরোয়া উপায়-

*দেহকে আর্দ্র রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চট করে কোনো ভাইরাসই আক্রমণ করতে পারবে না। এর জন্য জলীয়ভাগ বেশি রয়েছে এমন খাবার এবং জল খেতে হবে প্রচুর। মনে রাখবেন শীত কালে জল খাওয়ার তৃষ্ণা কমলেও শরীরে জলের চাহিদা কিন্তু বেড়ে যায়। এছাড়া সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে জলের পাশাপাশি স্যুপ, ডাব, হারবাল চা খেতে পারেন।

*রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। এটি শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে যেটি জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। করোনা আবহে তাই জিংক উপাদান সমৃদ্ধ খাওয়ার খান। দেখা গিয়েছে এই উপাদান ফ্লু ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং এর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। দুগ্ধজাত খাবার, ছোলা, বাদাম, মুসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে জিংক উপাদান রয়েছে।

>>রসুন, আদা, হলুদ এগুলোতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এছাড়া চিনি ছাড়া লিকার চা কিংবা গ্রিন টিও খেতে পারেন। অথবা আদা ও হলুদ দেওয়া চা-ও এই সময় খুব উপকারী।

চিনির বদলে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। মধু দেহে তাপসঞ্চয়ে অনেকটা সাহায্য করে। এছাড়াও তুলসি পাতা ও লেবু দিয়েও চা বানিয়ে খেতে পারেন। তুলসি পাতা ও মধু একসঙ্গে খেলেও সর্দি-কাশির নিরাময় হয়।

>>সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে মুক্তি পেতে নুন জলে গার্গল কিংবা ভাপও নিতে পারেন। উষ্ণ বাতাস সর্দি কমাতে এবং ফুসফুস সচল রাখতে সহায়তা করে।

>>ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং দ্রুত ফ্লু থেকে আরোগ্য লাভ করতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি।

img

গরমে বাইক চালাতে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩০, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে এই প্রচণ্ড রোদে অনেককে বাইরে বের হতে হচ্ছে । অনেকের ক্ষেত্রে চলাচলের জন্য মাধ্যম হলো বাইক বা মোটর সাইকেল। সূর্যের কড়া তাপে তাদের বাইক চালাতে হয়। কেবল রোদই নয়, সেইসঙ্গে থাকে গরম বাতাসও। যারা প্রতিদিন তীব্র রোদে বাইক চালাচ্ছেন, তাদের কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে।

হেলমেট ব্যবহার করুন

বাইক চালানোর সময় নিরাপত্তার জন্য তো বটেই, এছাড়া রোদ থেকে বাঁচার জন্যও হেলমেট ব্যবহার করুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলোতে কালার চেঞ্জিং গ্লাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যে কারণে তীব্র রোদে চোখও আরাম পায়। সেইসঙ্গে ফুলহাতা ও সুতির পোশাক পরলে রোদের তাপ থেকেও বাঁচতে পারবেন।

ফুয়েল ট্যাঙ্ক

গরমের সময়ে বাইকের ফুয়েল ট্যাঙ্ক পুরোপুরি ভরবেন না। কারণ তাপ সৃষ্টি হলে ডিজেল কিংবা পেট্রল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তেল লিক করলে তা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই গরমের সময়ে ফুয়েল ট্যাঙ্কের অর্ধেক বা চার ভাগের তিন ভাগ তেল নিন।

হাইড্রেটেড থাকুন

মোটরসাইকেল হোক বা সাইকেল, গিয়ারের চাপে গরম অসহ্য হবেই। এজন্য সঙ্গে পানি রাখুন। তীব্র রোদে গাড়ি চালালে ত্বকের ক্ষতি হয়। সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন সানস্ক্রিন। গরমে দীর্ঘসময় বাইরে থাকলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই হিট স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন। 

বাইকের কুল্যান্ট নিয়ে ভাবুন

গরমের সময় বাইকের কুল্যান্ট ঠিক আছে কী না দেখা জরুরি। এই কুল্যান্ট আসলে কী। কুল্যান্ট এক ধরনের তরল যা বাইকের ইঞ্জিনের মধ্যে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সোজা ভাষায় এটি বাইকে কুলিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিফ্রিজ ও পানির মিশ্রণে তৈরি এই তরল গরমে বাইক সুরক্ষিত রাখে। এ কুল্যান্টের অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখুন। কুল্যান্ট খারাপ হলে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ইলেকট্রিক পার্টস

তাপদাহে বাইকের ইলেকট্রিক পার্টস ক্ষতি হতে পারে। কমিউটার মোটরসাইকেল হোক অথবা স্পোর্টস বাইক সব রকম টু হুইলারে থাকে একাধিক ইলেকট্রিক পার্টস। তাই রাইড করার সময় অতিরিক্ত ফিউজ সঙ্গে রাখতে পারেন। ব্যাটারির বিষয়টিও মনে রাখবেন।

টায়ারের ক্ষতি হতে সাবধান

গরমে টায়ার প্রেশার সাধারণ সময়ের থেকে একটু কম রাখা ভালো। চাকায় যদি বাতাসের বেগ বেশি থাকে তাহলে গরমকালে চাকা ফেটে যেতে পারে। যারা হাই স্পিডে বাইক চালান তাদের চাকা সরাসরি রাস্তার সংস্পর্শে আসলে অত্যধিক হিট তৈরি হয়। তাই সাবধান না থাকলে টায়ারের ক্ষতি হতে পারে।

ফুয়েল ট্যাংক

গরমে ফুয়েল ট্যাংকের দিকে বাড়তি নজর দিন। গরমের সময় ফুয়েল ট্যাংক সম্পূর্ণ পূর্ণ করা উচিত নয়। কারণ তাপ সৃষ্টি হলে পেট্রল কিংবা ডিজেল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গ্রীষ্মকালে ফুয়েল ট্যাংক ভরা থাকলে জ্বালানি উপচে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই গরমকালে ফুয়েল ট্যাংক অর্ধেক অথবা চার ভাগের তিন ভাগ পূর্ণ করার চেষ্টা করুন।

চেইন লুব্রিকেট

গরমের সময় বাতাসে ধুলাবালি একটু বেশি থাকে। তাই কিছুদিন পর পর বাইকের চেইন পরিষ্কার ও লুব্রিকেট করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটি করার ফলে বাইক আরও মসৃণভাবে চালানো যায়। লুব্রিকেটিং করার আগে বাইকের সব মোটরপার্টস অবশ্যই পরিষ্কার করে নিতে হবে।