img

আগামী মৌসুমেই আমরা একসঙ্গে খেলব, মেসিকে নেইমার

প্রকাশিত :  ১০:০৮, ০৩ ডিসেম্বর ২০২০

আগামী মৌসুমেই আমরা একসঙ্গে খেলব, মেসিকে নেইমার

জনমত ডেস্ক : বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার পর গত দুই মৌসুম চেষ্টা করছেন নেইমার, আবার বার্সায় ফেরার। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে সেটা হয়নি। আবার গত মৌসুমে মেসি চেষ্টা করেছিলেন, বার্সা ছেড়ে যাওয়ার। তখন তাকে কেনার দৌড়ে ছিল নেইমারের ক্লাব পিএসজিও।

আগামী জানুয়ারিতেই বার্সার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে মেসির। এরপর তিনি ফ্রি। চাইলে নতুন চুক্তি করে বার্সায় থাকতে পারবেন। আবার চাইলে অন্য কোথাও যেতে পারবেন।

মেসির সাবেক সতীর্থ, ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার ইএসপিএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে বলে দিলেন, আগামী মৌসুমেই আবার আমরা একসঙ্গে খেলতে নামবো।

বার্সায় মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ, বিখ্যাত এমএসএন জুটি গড়েছিলেন। চারবছরের সেই জুটি ছিল অপ্রতিরোধ্য। যে কারণে, ২০১৭ সালে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পিএসজিতে আসার পর নেইমার যখন বুঝলেন, তখন থেকে আবারও বার্সায় যাওয়ার জন্য নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।

ম্যানইউর বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ের পর ইএসপিএনকে নেইমার বলেন, ‘আমি সব সময়ই চাই মেসির সঙ্গে পূনরায় খেলার জন্য। আমার বিশ্বাস, অবশ্যই মাঠে তার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আবার খেলতে সক্ষম হবো।’

নেইমারের কথায় মনে হচ্ছে, আগামী মৌসুমে কি তাহলে মেসি পিএসজিতেই যোগ দেবেন! ব্রাজিলিয়ান এই তারকা পিএসজিতে নিজের জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি। নেইমার বলেন, ‘তিনি (মেসি) চাইলে আমার জায়গাতেই খেলতে পারে। তার জন্য আমি জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি আছি। এতে আমার কোনো সমস্যা হবে না। সুতরাং, যেভাবেই হোক আমি চাই, আগামী বছর আবার আমরা দু’জন একসঙ্গে খেলতে পারবো। এবং এটা নিশ্চিত। আমরা অবশ্যই আগামী মৌসুমে এটাকে বাস্তবায়ন করে ছাড়বো।’

নেইমারের এই বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ২০২১ সালে মেসি যোগ দিতে পারেন প্যারিসের ক্লাবটিতে। গত আগস্টে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলে হারের পর মেসি সরাসরি বার্সা ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু চুক্তি সম্পর্কিত ঝামেলার কারণে ক্লাব ছাড়তে চেয়েও পারেননি। ওই সময় বার্সা ছাড়তে পারলে ম্যানসিটিতে মেসির যোগ দেয়া প্রায় নিশ্চিত ছিল।

যদিও পিএসজি তখন থেকেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসছিল। দলটির কোচ টমাস টুখেল বলেছিলেন, মেসিকে অবশ্যই তারা প্যারিসে স্বাগত জানাতে চান। বার্সাও চায় মেসির সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে। কিন্তু বিষয়টা আটকে আছে বার্সার নতুন প্রেসিডেন্ট ইলেকশন পর্যন্ত। যেটা অনুষ্ঠিত হবে জানুয়ারির ২৪ তারিখে।

img

চেন্নাইয়ের জয়ে অনন্য মাইলফলকে ধোনি

প্রকাশিত :  ০৫:৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ভেল্কি দেখাচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। মাঠে নামতেই অনন্য এক মাইলফলক ছুঁলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচ মানেই ধোনির দিকে বাড়তি নজর। ব্যাট হাতে হোক বা উইকেটের পেছনে, হলুদ রঙের সাত নম্বর জার্সিতে ধোনিকে দেখতে পাওয়াই যেন সমর্থকদের কাছে বাড়তি উন্মাদনা। ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তিতুল্য এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মাঠে নামলেই গড়ছেন একের পর এক কীর্তি। এখনও চেন্নাইয়ের অলিখিত অধিনায়ক হয়ে থাকা ধোনি গতকালও সাক্ষী হলেন অনন্য মাইলফলকের। 

মহেন্দ্র সিং ধোনি একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে ১৫০টি ম্যাচ জয়ের সাক্ষী হলেন গতকালকের ম্যাচ শেষে। এদিন অবশ্য খুব বেশি করতে হয়নি তাকে। ব্যাট হাতে দুই বলে করেছেন ৫ রান। আর উইকেটের পেছনে নিয়েছেন ১ ক্যাচ। তবে দল খেলেছে দুর্দান্ত। হায়দরাবাদকে হারিয়েছে ৭৮ রানের ব্যবধানে। তাতেই ১৫০ ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেলেন ধোনি। 

২০০৮ সালের উদ্বোধনী আসর থেকে এখনও পর্যন্ত ধোনি সবমিলিয়ে ২৫৯টি আইপিএল ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। তাতে তার দল জয় পেয়েছে ১৫০ ম্যাচে। চেন্নাইয়ের বাইরে কেবল রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের জার্সিতে তিনি। 

সব থেকে বেশি আইপিএল ম্যাচ জয়ের হিসেবে ধোনির পিছনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তারই সিএসকে সতীর্থ রবীন্দ্র জাদেজা। ২০০৮ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ২৩৫টি আইপিএল ম্যাচে মাঠে নেমেছেন জাদেজা। যার মধ্যে দল জিতেছে ১৩৩টি ম্যাচে। 

রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে তালিকায় যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রোহিত শর্মা। যদিও তিনি জাদেজার থেকে বেশি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। রোহিত ২০০৮ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ২৫২টি আইপিএল ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে ১৩৩টি ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। 

তালিকায় এরপরেও যুগ্মভাবে আছেন দুজন। জয় পাওয়ার হিসেবে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সুরেশ রায়না ও দীনেশ কার্তিক। রায়না মোট ২০৫টি আইপিএল ম্যাচে মাঠে নেমে ১২৫টি ম্যাচ জয়ের সাক্ষী থেকেছেন। আর বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে থাকা দীনেশ কার্তিক ২৫২টি আইপিএল ম্যাচে মাঠে নেমে ১২৫টি ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়েন।

আইপিএলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড অবশ্য মহেন্দ্র সিং ধোনির দখলেই রয়েছে। সব থেকে বেশি জয়ের রেকর্ডও আগে থেকেই তার কাছে ছিল। এছাড়া, ধোনি ক্যাপ্টেন হিসেবে ১৩৩টি আইপিএল ম্যাচ জিতেছেন। আর কোনও ক্রিকেটার আইপিএলে নেতৃত্ব দিতে নেমে ১০০ ম্যাচ জয়ের গণ্ডিও স্পর্শ করতে পারেননি এখন পর্যন্ত।