img

টেস্টে ভারতের লজ্জাজনক স্কোর

প্রকাশিত :  ০৬:০৬, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

টেস্টে ভারতের লজ্জাজনক স্কোর

স্পোর্টস ডেস্ক : টেস্ট ক্রিকেটে ১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ডের কাছে ৪২ রানে অলআউট হয়েছিল ভারত। আর ২০২০ সালে এসে বিরাট কোহলির ভারত অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৯ উইকেট হারিয়েছে ৩৬ রানে। যদিও শেষ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শামি ব্যথা পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ফলে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৯০ রান।

গতকাল শুক্রবার ৯ রানে আউট হয়েছিলেন ভারতের ওপেনার আগারওয়াল। আজ শনিবার খেলতে নেমেই হুড়মুড় করে উইকেট পড়তে থাকে ভারতের। কেউই দুই অংকের কোঠা পার হতে পারেনি। এর মধ্যে পৃথ্বি শ’ ৪, বুমরাহ ২, পুজারা ০, বিরাট কোহলি ৪, রাহানে ০, হানহুমা ভিহারী ৮, হৃদ্ধিমান শাহ ৪, অশ্বিন ০, উমেশ যাদব ৪ (অপরাজিত), মোহম্মদ শামি ১ (ব্যথা পেয়ে মাঠ ত্যাগ)।

হ্যাইজেলউড ও কামিন্স এই দুই অস্ট্রেলিয়ার পেসার ভারতীয় ব্যাটসম্যানদেরকে ডুবিয়েছে। হ্যাইজেলউডের শিকার ভারতের ৫ ব্যাটসম্যান, আর কামিন্সের ৪ জন।

এর আগে গতকাল দিবারাত্রির টেস্টে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে দুইশ’ রানের আগেই অলআউট হয়েছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। এদিন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, উমেশ যাদব ও যশপ্রীত বুমরাহর বোলিং তোপে শেষ পর্যন্ত ১৯১ রানে থামে তাদের ইনিংস। তাতে ৫৩ রানের লিড পেয়ে যায় ভারত। কিন্তু দিনের বাকি সময়ে ৯ রান তুলতেই ১ উইকেট হারিয়েছে কোহলিরা।

অ্যডিলেডে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ২৪৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ৬ উইকেটে ২৩৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা ভারত ইনিংস টেকে মাত্র ২৫ বল। শেষ ৪টি উইকেটে যোগ করে মাত্র ১১ রান। ঋদ্ধিমান সাহা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন এদিন কোনো রান যোগ করতে পারেননি। উমেশ যাদব (৬) আর বুমরাহ (৪) মিলে তুলেন ১০ রান। পরে মোহাম্মদ শামিকে বিদায় করে আড়াইশর আগে ভারতের প্রথম ইনিংস থামিয়ে দেন কামিন্স।

মিচেল স্টার্ক ৫৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার। আর কামিন্স ৩ উইকেট নেন ৪৮ রানে। হ্যাজলউড ও লেয়ন নেন ১টি করে উইকেট।

পরে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ফেরেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। ওয়েডকে এলবিডব্লিউ করে ১৬ রানের জুটি ভাঙেন জাসপ্রিত বুমরাহ। পরের ওভারে দারুণ ইয়র্কারে এলবিডব্লিউ করেন আরেক ওপেনার বার্নসকে। 

তিনে নেমে লাবুশানে ৪৭ রানের ইনিংস খেললেও স্টিভেন স্মিথ ফেরেন মাত্র ১ রানে। পরপর সাজঘরে ফেরেন ট্র্যাভিস হেড (৭) ও ক্যামেরুন গ্রিন (১১)। স্মিথসহ এই তিনজকেই ফেরান অশ্বিন।

তবে একাই লড়াই করেছিলেন অধিনায়ক টিম পেইন। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৭৩ রানে। কোনো সতীর্থের সাপোর্ট পেলে হয়তো তার ইনিংসটি আরো বড় হতে পারতো। শেষ দিকে মিচেল স্টার্ক ১৫ ও নাথান লিওন করেন ১০ রান। জশ হ্যাজলউডের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান। ৫৩ রানে পিছিয়ে থাকে প্রথম ইনিংস শেষ হলো অস্ট্রলিয়ার।

মাত্র ১৮ ওভার বোলিং করে ৫৫ রান দিয়ে চার উইকেট নেন অশ্বিন। এ ছাড়া উমেশ যাদব তিন উইকেট ও যশপ্রীত বুমরাহ নেন দুই উইকেট।

দিনের বাকি সময়ে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদে পড়ে ভারত। পৃথ্বি শকে প্যাট কামিন্স বোল্ড করে ফিরিয়ে দেওয়ার পর নাইটওয়াচম্যান জাসপ্রিত বুমরাহকে নিয়ে দিনের বাকি সময়টুকু কাটিয়ে দেন আগারওয়াল। ভারত ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৬২ রানে এগিয়ে ছিল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

ভারত ১ম ইনিংস : (আগের দিন শেষে ২৩৩/৬) ৯৩.১ ওভারে ২৪৪ (ঋদ্ধিমান ৯, অশ্বিন ১৫, উমেশ ৬, বুমরাহ ৪*, শামি ০; স্টার্ক ২১-৫-৫৩-৪, হেইজেলউড ২০-৬-৪৭-১, কামিন্স ২১.১-৭-৪৮-৩, গ্রিন ৯-২-১৫-০, লায়ন ২১-২-৬৮-১, লাবুশেন ১-০-৩-০)

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ৭২.১ ওভারে ১৯১ (ওয়েড ৮, বার্নস ৮, লাবুশেন ৪৭, স্মিথ ১, হেড ৭, গ্রিন ১১, পেইন ৭৩*, কামিন্স ০, স্টার্ক ১৫, লায়ন ১০, হেইজেলউড ৮; উমেশ ১৬.১-৫-৪০-৩, জাসপ্রিত ২১-৭-৫২-২, শামি ১৭-৪-৪১-০, অশ্বিন ১৮-৩-৫৫-৪)

img

চেন্নাইয়ের জয়ে অনন্য মাইলফলকে ধোনি

প্রকাশিত :  ০৫:৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ভেল্কি দেখাচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। মাঠে নামতেই অনন্য এক মাইলফলক ছুঁলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচ মানেই ধোনির দিকে বাড়তি নজর। ব্যাট হাতে হোক বা উইকেটের পেছনে, হলুদ রঙের সাত নম্বর জার্সিতে ধোনিকে দেখতে পাওয়াই যেন সমর্থকদের কাছে বাড়তি উন্মাদনা। ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তিতুল্য এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মাঠে নামলেই গড়ছেন একের পর এক কীর্তি। এখনও চেন্নাইয়ের অলিখিত অধিনায়ক হয়ে থাকা ধোনি গতকালও সাক্ষী হলেন অনন্য মাইলফলকের। 

মহেন্দ্র সিং ধোনি একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে ১৫০টি ম্যাচ জয়ের সাক্ষী হলেন গতকালকের ম্যাচ শেষে। এদিন অবশ্য খুব বেশি করতে হয়নি তাকে। ব্যাট হাতে দুই বলে করেছেন ৫ রান। আর উইকেটের পেছনে নিয়েছেন ১ ক্যাচ। তবে দল খেলেছে দুর্দান্ত। হায়দরাবাদকে হারিয়েছে ৭৮ রানের ব্যবধানে। তাতেই ১৫০ ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেলেন ধোনি। 

২০০৮ সালের উদ্বোধনী আসর থেকে এখনও পর্যন্ত ধোনি সবমিলিয়ে ২৫৯টি আইপিএল ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। তাতে তার দল জয় পেয়েছে ১৫০ ম্যাচে। চেন্নাইয়ের বাইরে কেবল রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের জার্সিতে তিনি। 

সব থেকে বেশি আইপিএল ম্যাচ জয়ের হিসেবে ধোনির পিছনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তারই সিএসকে সতীর্থ রবীন্দ্র জাদেজা। ২০০৮ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ২৩৫টি আইপিএল ম্যাচে মাঠে নেমেছেন জাদেজা। যার মধ্যে দল জিতেছে ১৩৩টি ম্যাচে। 

রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে তালিকায় যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রোহিত শর্মা। যদিও তিনি জাদেজার থেকে বেশি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। রোহিত ২০০৮ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ২৫২টি আইপিএল ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে ১৩৩টি ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। 

তালিকায় এরপরেও যুগ্মভাবে আছেন দুজন। জয় পাওয়ার হিসেবে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সুরেশ রায়না ও দীনেশ কার্তিক। রায়না মোট ২০৫টি আইপিএল ম্যাচে মাঠে নেমে ১২৫টি ম্যাচ জয়ের সাক্ষী থেকেছেন। আর বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে থাকা দীনেশ কার্তিক ২৫২টি আইপিএল ম্যাচে মাঠে নেমে ১২৫টি ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়েন।

আইপিএলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড অবশ্য মহেন্দ্র সিং ধোনির দখলেই রয়েছে। সব থেকে বেশি জয়ের রেকর্ডও আগে থেকেই তার কাছে ছিল। এছাড়া, ধোনি ক্যাপ্টেন হিসেবে ১৩৩টি আইপিএল ম্যাচ জিতেছেন। আর কোনও ক্রিকেটার আইপিএলে নেতৃত্ব দিতে নেমে ১০০ ম্যাচ জয়ের গণ্ডিও স্পর্শ করতে পারেননি এখন পর্যন্ত।