img

সাড়ে ৪ লাখ ডলারে বিক্রি হলো ব্র্যাডম্যানের ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ

প্রকাশিত :  ০৭:৪৮, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

সাড়ে ৪ লাখ ডলারে বিক্রি হলো ব্র্যাডম্যানের ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ

জনমত ডেস্ক : বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান স্যার ডন ব্র্যাডমান। সম্প্রতি বিক্রি হয়েছে তার অভিষেক টেস্টের ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ। যা বিক্রি হয় সাড়ে ৪ লাখ ডলারে। ক্যাপটি কিনেছেন ব্যবসায়ী পিটার ফ্রিডম্যান।

এর মধ্য দিয়ে ব্র্যাডম্যানের এই ক্যাপটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি ক্রিকেট স্মারক হিসেবে বিক্রি হলো। সবচেয়ে বেশি দামে ক্রিকেট স্মারক বিক্রিতে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্ন।

এই বছরের শুরুতে ওয়ার্নের ব্যাগি গ্রিন ক্যাপটি বিক্রি হয়েছিল ১০ লাখ ৭ হাজার ৫০০ ডলারে। দাবানলে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় নিলামে পাওয়া ঐ অর্থের পুরোটাই দান করেছিলেন ওয়ার্ন।

ব্র্যাডম্যানের ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ কেনার আগে এই বছরের শুরুতে চমক দেখিয়েছিলেন ফ্রিডম্যান। নিলামে নির্ভানার গিটারিস্ট ও ভোকাল কার্ট কোবেইনের গিটার ৯০ লাখ ডলারে কিনেছিলেন তিনি। ব্র্যাডম্যানের ক্যাপটি অস্ট্রেলিয়া জুড়ে প্রর্দশনের পরিকল্পনা রয়েছে ফ্রিডম্যানের।

নিলামে ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ পেয়ে ফ্রিডম্যান বলেন, ‘স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ক্রিকেটের কিংবদিন্ত। তিনি কেবলমাত্র ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমাদের অন্যতম বড় প্রতিভাই নন। বরং সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ, অস্ট্রেলিয়ার বড় আইকন।’

এবারের আগে ২০০৩ সালে ব্র্যাডম্যানের ১৯৪৮ অ্যাশেজের ব্যাগি গ্রিন ক্যাপটি নিলামে বিক্রি হয়েছিল ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারে।

img

মেসির চুক্তির সেই ন্যাপকিনের দাম ১১ কোটি

প্রকাশিত :  ০৬:৪৬, ১৮ মে ২০২৪

নিলামে বিক্রি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির বিখ্যাত সেই ন্যাপকিন পেপার । পেপারটি নিলামে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে। যার বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। 

শুক্রবার (১৮ মে) ন্যাপকিনটি নিলামে বিক্রয় হয়েছে।

ব্রিটিশ নিলাম হাউস বোনহামসে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিলামে ন্যাপকিন পেপারের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩ লাখ ডলার। ধারণা চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে এই নেপকিন পেপারটি।

আর্জেন্টাইন এজেন্ট হোরাশিও গ্যাগিওলি প্রথমে মেসির নাম সুপারিশ করেছিলেন। তার উপস্থিতিতে ন্যাপকিন পেপারে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। বোনহামস জানিয়েছে, ন্যাপকিন পেপারটি গ্যাগিওলির কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি নিলামে যে দামে বিক্রি হয়েছে, সেখান থেকে একটি অংশ অনলাইন নিলামের প্রশাসনিক ফি হিসেবে দিতে হবে—এটি ‘ক্রেতার প্রিমিয়াম’।

ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপার। বার্সার সঙ্গে মেসির প্রথম চুক্তিপত্র হিসেবে এই ন্যাপকিন পেপারকে বিবেচনা করা হয়।

১৩ বছর বয়সী মেসি এই ন্যাপকিন পেপারে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রায়ালের জন্য পরিবারের সঙ্গে বার্সেলোনায় যান মেসি। সঙ্গে ছিলেন দুই আর্জেন্টাইন প্রতিনিধি ফাবিয়ান সোলদিনি ও মার্তিন মনতেরো এবং গাজ্জোলি। ট্রায়ালে সবাইকে চমকে দেন মেসি। তাই চুক্তির আশা নিয়ে রোসারিওতে ফেরে তার পরিবার।

সেই সময়ের বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান গাসপার্ত অবশ্য হরমোনজনিত সমস্যায় ভোগা ১৩ বছর বয়সী একটি ছেলের সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছিলেন। তাকে রাজি করানোর জন্য বার্সেলোনার তখনকার টেকনিক্যাল সেক্রেটারি কার্লো রেক্সাসকে চাপ দেন গাজ্জোলি ও মিনগেলা। শেষ পর্যন্ত চুক্তির কথা লেখা হয়েছিল ওই ন্যাপকিন পেপারে।