img

ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশিত :  ০৭:৪০, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত আজ

জনমত ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাতটি বড় সরকারি কলেজের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার সভা ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা তিনটায় সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট তিনজন ডিনকে নিয়ে এই সভা হওয়ার কথা রয়েছে বলে সোমবার রাতে সাংবাদিককে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এস মাকসুদ কামাল। তিনি সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে সোমবার বেলা সোয়া দুইটায় অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর ২৪ মে থেকে দেশের সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে।

তার আগে ১৭ মে আবাসিক হলগুলো খুলবে। তবে হলের ওঠার আগেই আবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হবে। আর খোলার আগে কোনো পরীক্ষা হবে না। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা ও হল খোলার ঘোষণা দিয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তও বাতিল হবে। অবশ্য অনলাইনে ক্লাস চলবে।

সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএস মাকসুদ কামাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই ঘোষণার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের চলমান পরীক্ষাগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছে। এ অবস্থায় সাত কলেজের পরীক্ষার কী হবে, সে বিষয়টি সামনে আসে।

সাত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত (ফোকাল পয়েন্ট) ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর নিশ্চয়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এগুলোতে মোট শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ কমিয়ে শিক্ষার মান বাড়াতে কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হলেও এখনো সমস্যাগুলো দূর হয়নি।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কলেজগুলোর বড় সমস্যা হলো ঠিক সময়ে পরীক্ষা না নেওয়া এবং দেরিতে ফল প্রকাশ করা। এই সমস্যা নিরসনের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষা এর আরও খবর

img

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত :  ১২:২১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) মৌখিক পরীক্ষা ৯ জুন শুরু হবে। রোববার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৌখিক পরীক্ষার সময় সব সনদপত্র, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের মূলকপি প্রার্থীকে সঙ্গে আনতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর তৃতীয় গ্রুপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) জন্য গত ১৪ জুন বিজ্ঞাপন প্রকাশ হয়। এর আলোকে ২৯ মার্চ ২১ জেলায় (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া) লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের অবগতির জন্য জানানো হয়েছে, অনলাইনে আবেদনের আপলোডকৃত ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব ও স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, পোষ্য সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ন্যূনতম ৯ম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে। এরপর ৬ মে’র মধ্যে স্ব-স্ব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবশ্যিকভাবে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত) জমা দেওয়ার সময় এসব কাগজপত্রের মূলকপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রদর্শন করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীরা ৬ মে’র মধ্যে উপরে উল্লিখিত কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের অনুকূলে মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হবে না।

মৌখিক পরীক্ষার সময় উপরে বর্ণিত সব সনদপত্র, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের মূলকপি প্রার্থীকে সঙ্গে আনতে হবে। এবার এ নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন। গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।