img

সর্বাত্মক বিধিনিষেধে' সংক্রমণ কমবে না, দাবি বিশেষজ্ঞদের

প্রকাশিত :  ১৮:২৪, ১২ এপ্রিল ২০২১

সর্বাত্মক বিধিনিষেধে' সংক্রমণ কমবে না, দাবি বিশেষজ্ঞদের

বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে ৭ দিনের ‘সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে বিধিনিষেধ’ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সোমবার (১২ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১৩ দফা নির্দেশনাসহ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,  ১৩ দফার এ নির্দেশনা দিয়ে মানুষকে ঘরে রাখা যাবে না। আর তাতে করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিও রোধ করা যাবে না।

এদিকে সংক্রমণ কমানোর জন্য পরিপূর্ণভাবে অন্তত দুই সপ্তাহের লকডাউনের যে সুপারিশ করেছিল কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি, তার কোনও প্রতিফলনও দেখা যায়নি প্রজ্ঞাপনে। কমিটি জানায়, করোনা নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ দেওয়া হয় ৮ দফা। কিন্তু এসব নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। আর না মানার ফলে সংক্রমণের হার বাড়ছে। নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ আরও শক্তভাবে অনুসরণ করা দরকার মনে করে অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন ছাড়া এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে সভায় মতামত জানান কমিটির সদস্যরা।

বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় পূর্ণ লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। দুই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলেও মতামত দিয়েছে কমিটি।

সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে মানুষকে ঘরে রাখার বেঁধে ফেলার মতো ব্যবস্থা রাখতে হবে, সেখানে কাঁচাবাজার, হোটেল খোলা রাখলে মানুষ ঘরে থাকবে না মন্তব্য করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠিত পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ বিধিনিষেধ দিয়ে সংক্রমণের প্রবাহ  রোধ করা যাবে না। যেহেতু একদম ঢালাওভবে সবকিছু বন্ধ করা যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে সরকারের উচিত ছিল যেখানে সংক্রমণ বেশি সেখানে ক্লাস্টার লকডাউন দেওয়া।

আবু জামিল ফয়সাল বলেন, কারখানাগুলোকে যদি খোলা রাখতেই হয়, তাহলে সেখানেও লকডাউন দিতে হবে। কারখানার ভেতরেই তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, আর সেটাও যদি সম্ভব না হয় হয় কারখানার আশেপাশে তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। যেন তাদের বাইরে বের হবার দরকার না হয়। যাতে তারা  ওই জায়গা থেকে তারা অন্য কোথাও যেতে না পারে। অন্য কোথাও থেকে বাইরের কেউ সেখানে আসতে না পারে।

তিনি আরও বলেন, গতবার যেমন গ্রিন জোন- রেড জোন-ইয়োলা জোন করা হয়েছিল তেমন একটা প্রসেসও করা যেত। গতবার রাজাবাজার, ওয়ারি লকডাউন করা হয়েছিল। তার ভেতরে কিছুটা ঘাটতি ছিল, কিন্তু তাই বলে এরকম ছিল না যে দোকান রেস্তোরা, কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। আবু জামিল ফয়সাল বলেন, বিভিন্ন ধরনের মার্কেট সমিতির চাপে পরে সরকার এই কাজ করলো। এটা একেবারেই উচিত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এই বিধিনিষেধ দিয়ে কিছু হবে না। এভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ করা যাবে না। করোনার প্রবাহকে থামাতে হলে লকডাউনের সঙ্গে রোগী শনাক্ত করে তাদের আইসোলেশন, রোগীর সংর্স্পশে আসাদের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। নয়তো কিছু হবে না।

কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এগুলো দিয়ে মানুষকে ঘরে রাখা যাবে না। এই বিধিনিষেধকে সবাই কঠিন কেন বলছে সেটাই তো বুঝতে পারছি না। আগেও তো এমনই ছিল।

তার মতে, লকডাউন মানে হচ্ছে কোনও এলাকাকে একেবারেই লক করে ফেলা, যেখানে বাইরের কেউ আসবে না, যেখান থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবে না। যাতে করে সে এলাকাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হবার পর তার থেকে অন্য কেউ সংক্রমিত হতে পারে। মানে হচ্ছে, মানুষের চলাচল সীমিত করে দিতে হবে।

অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, কাঁচাবাজার, হোটেল খোলা রেখে মানুষের চলাচল সীমিত করা যাবে না, তাতে করে ভাইরাসকে আটকে রাখা যাবে না। এই সংক্রমণের বিস্তার এই বিধিনিষেধ দিয়ে রোধ করা যাবে না।

img

পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ১৫০০ কোটি টাকা

প্রকাশিত :  ১২:১৫, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৯, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা টোল আদায়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে পদ্মা সেতু। সেতু চালু হওয়ার পর থেকে রবিবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার হওয়া যানবাহন থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, শনিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সেতু উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময় সেতুটি দিয়ে ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ ৯৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।

২০২৩ সালের ২৫ জুন সেতুটি প্রথম যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

ট্রাফিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রায় ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২টি যানবাহন মাওয়া পয়েন্ট দিয়ে এবং ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি যানবাহন জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে অতিক্রম করে।

চলতি বছরের ৯ এপ্রিল ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন থেকে ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা আয় করে সেতুটি একদিনে সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড গড়ে।
২০২৩ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং পরদিন সকালে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়, যা দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সম্প্রসারণে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়।

জাতীয় এর আরও খবর