img

সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে কালবৈশাখীর আভাস

প্রকাশিত :  ০৭:৩৮, ১৫ এপ্রিল ২০২১

সিলেট, ময়মনসিংহ ও  রংপুর  বিভাগে কালবৈশাখীর আভাস

জনমত ডেস্ক: গত কয়েকদিন থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দেশের তিন বিভাগসহ দুই জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার থাকতে পারে। একই সাথে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এছাড়া কিছু এলাকায় বয়ে যাওয়া দাবদাহ অব্যাহত থাকবে।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাতে এক পূর্বাভাসে এই তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব গণমাধ্যমকে জানান, বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও ঝড়ের পরিমাণ বাড়তে পারে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলাসহ ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকায় ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ দিকে, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, যা কিছু কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থায় সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকায় ৩৭, ঈশ্বরদীতে ৩৮.৫, যশোরে ৩৭.৬, চুয়াডাঙ্গায় ৩৮.৭, খুলনায় ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদ-দেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ১০

প্রকাশিত :  ১৫:১৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

হবিগঞ্জে হারুন আহমেদ হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আসামিদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মো. আজিজুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।  

মোট ৪৭ আসামির মধ্যে সাজার আদেশপ্রাপ্ত একজন পলাতক। সাজাপ্রাপ্ত বাকি ১৬ জনসহ ৩৮ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলা চলাকালে মারা গেছেন আটজন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি আসামিরা খালাস পেয়েছেন।   

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হুরগাঁও গ্রামের রফিক মিয়া, আব্বাস উদ্দিন, জাকির হোসেন, ফজল মিয়া, রুহুল আমিন মিলন, জালাল মিয়া ও কুতুব উদ্দিন।

 যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-জজ মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া, ইছাক মিয়া, জিয়াউর রহমান, কালাম মিয়া, কুতুব উদ্দিন, আব্দুল মতলিব, মিজাজ মিয়া, আয়াত আলী ও সায়েদ আলী। তাদের মধ্যে আয়াত আলী পলাতক।

বিকেলে সাড়ে ৫টায় হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে ২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হুরগাঁও গ্রামে সামাজিক বিচারক ও এলাকার মুরুব্বি হারুণ মিয়াকে রাস্তায় পথরোধ করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত হারুন মিয়ার ভাই সুমন আহমেদ ৪৭ জনের নামে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আদালতপাড়ায় সহস্রাধিক মানুষের ভিড় ছিল। পরে কঠোর নিরাপত্তায় আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।