img

টিকা কিনতে ৯৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

প্রকাশিত :  ০৯:৫৩, ২৩ জুন ২০২১

টিকা কিনতে ৯৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

জনমত ডেস্ক: করোনার ভ্যাকসিন কিনতে বাংলাদেশের জন্য ৯৪ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ঋণের পরিমাণ সাত হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (২২ জুন) ম্যানিলাভিত্তিক এই ঋণদাতা সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে সহযোগিতা করার জন্য গত ডিসেম্বরে ৯০০ কোটি ডলারের ‘এশিয়া-প্যাসিফিক ভ্যাকসিন একসেস ফ্যাসিলিটি চালু করেছিল এডিবি। তার আওতায় এই অর্থ পাবে বাংলাদেশ।

গত এপ্রিলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এডিবি এই ঋণের বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছিল। করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে ঋণ হিসেবে এটাই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সহায়তা।

করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে এডিবির কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার চেয়ে গত নভেম্বরে চিঠি দিয়েছিল সরকার। তবে আলোচনার ভিত্তিতে তারচেয়ে বেশিই পাচ্ছে বাংলাদেশ।

ঋণের এই ৯৪ কোটি ডলারের অর্ধেক, অর্থাৎ ৪৭ কোটি ডলারের জন্য বাংলাদেশকে নিয়মিত হারে (২ শতাংশ) সুদ দিতে হবে। বাকি ৪৭ কোটি ডলারের জন্য সুদের হার ঠিক হয়েছে আলোচনার ভিত্তিতে, তবে সেই হার কত তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়নি।

সেখানে বলা হয়, এই ঋণের টাকায় বাংলাদেশ আনুমানিক ৪ কোটি ৪৭ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে পারবে। ২০২৪ সালের মধ্যে দুই কোটির বেশি মানুষকে ওই টিকা দেওয়া যাবে।

এই ঋণের অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ কোভিড টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স বা জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফের মাধ্যমে অথবা সরাসরি উৎপাদনকারীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় টিকা কিনতে পারবে।


img

বাজেটের আকার কমিয়ে রাজস্ব বাড়ানোর পরামর্শ আইএমএফের

প্রকাশিত :  ১৫:০৭, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৩৯, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে । পাশাপাশি বাজেটের ঘাটতি কমানো ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

আইএমএফের বিশেষ প্রতিনিধি দলের চলমান সিরিজ বৈঠকে এসব কথা উঠে আসে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ঢাকা সফররত আইএমএফের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল। সেই বৈঠকে আইএমএফের পক্ষ থেকে এমন পরামর্শ উঠে এসেছে। মূলত বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের শর্ত পর্যালোচনা করতে ঢাকায় এসেছে প্রতিনিধিদলটি।  

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমেই আইএমএফ প্রতিনিধিদল আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। তাদের পরামর্শ বাজার আকার ও ঘাটতি কমিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর। পাশাপাশি তারা ভর্তুকির পরিমাণ কমানোর তাগিদ দিয়েছে। 

আইএমএফের পরামর্শ আগামী বাজেটে দরিদ্রদের ভাতা বাড়ানো; বর্তমানে ভাতার পরিমাণ কোনোটা ৫০০, আবার কোনোটা ৫৫০ ও ৬০০ টাকা। আইএমএফের পরামর্শ এ ভাতার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করা হোক। 

এ সময় অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়েছে, বাজেট বাজেটের মতো চলবে। এটি যেহেতু রাজনৈতিক সরকারের বাজেট, তাই বাজেট প্রণয়নের সময় ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহার ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকেও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে।

বৈঠক বাজেটের আকারের পাশাপাশি বাজেট ঘাটতি ও রাজস্ব সংগ্রহ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে পর্যন্ত আইএমএফের দলটি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে সংস্থাটি। 

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। সে সময় রাজস্ব বৃদ্ধি, ব্যাংক খাত সংস্কারসহ বিভিন্ন শর্ত দেয় সংস্থাটি। ইতিমধ্যে দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ছাড় করেছে। তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়ার কথা আগামী মাসের শেষ দিকে।