img

প্রতিবেশী দেশ হতে বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ০৬:৫৬, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

প্রতিবেশী দেশ হতে বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারবে বাংলাদেশ

জনমত রিপের্ট ।। ভারত, বিদ্যুৎ আমদানি ও রপ্তানি (ক্রস বর্ডার) নির্দেশিকা-২০১৮ প্রকাশ করায় এবং নতুন এ নির্দেশিকা অনুমোদিত হওয়ায় ভারত হয়ে প্রতিবেশী দেশসমূহ হতে বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারবে বাংলাদেশ।

ভারতের ‘ক্রস বর্ডার ট্রেড অভ্ ইলেকট্রিসিটি’ (৫ ডিসেম্বর ২০১৬)-এর নির্দেশিকার ৩.১ ধারায় বলা ছিল, ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে যে কোন ক্রস বর্ডার লেনদেন ভারতীয় সত্তা সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট দেশের কোন সত্তা ও সংস্থার সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে অনুমোদিত হবে যা দেশগুলোর মধ্যে সামগ্রিক কাঠামোর অধীনে চুক্তি দ্বারা স্বাক্ষরিত। 

সম্প্রতি সংশোধন করে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুটি আলাদা দেশ নিজেদের মধ্যেও বিদ্যুৎ কেনাবেচা করতে পারবে যেখানে ভারত ত্রিপাক্ষিক চুক্তি দ্বারা তাতে অংশগ্রহণ বা অনুমোদন করবে । 

আঞ্চলিক সহযোগিতার কাঠামোর মধ্যে বিদ্যুৎখাতে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঠিত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভায় নেপাল, ভুটান (বা প্রতিবেশী দেশ) থেকে ভারত হয়ে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয় আলোচনা হয়। 

আলোচনার প্রেক্ষিতে প্রণীত ভারতের নতুন এ নির্দেশিকা প্রতিবেশী দেশ হতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির পথ প্রশস্ত করবে।
ইতিমধ্যে নেপালের সাথে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানি সংক্রান্ত সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ৩ থেকে ৪ ডিসেম্বর ২০১৮ প্রথম জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভা কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়।

img

বাজেটের আকার কমিয়ে রাজস্ব বাড়ানোর পরামর্শ আইএমএফের

প্রকাশিত :  ১৫:০৭, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৩৯, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ দিয়েছে । পাশাপাশি বাজেটের ঘাটতি কমানো ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

আইএমএফের বিশেষ প্রতিনিধি দলের চলমান সিরিজ বৈঠকে এসব কথা উঠে আসে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ঢাকা সফররত আইএমএফের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল। সেই বৈঠকে আইএমএফের পক্ষ থেকে এমন পরামর্শ উঠে এসেছে। মূলত বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের শর্ত পর্যালোচনা করতে ঢাকায় এসেছে প্রতিনিধিদলটি।  

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমেই আইএমএফ প্রতিনিধিদল আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। তাদের পরামর্শ বাজার আকার ও ঘাটতি কমিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর। পাশাপাশি তারা ভর্তুকির পরিমাণ কমানোর তাগিদ দিয়েছে। 

আইএমএফের পরামর্শ আগামী বাজেটে দরিদ্রদের ভাতা বাড়ানো; বর্তমানে ভাতার পরিমাণ কোনোটা ৫০০, আবার কোনোটা ৫৫০ ও ৬০০ টাকা। আইএমএফের পরামর্শ এ ভাতার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করা হোক। 

এ সময় অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়েছে, বাজেট বাজেটের মতো চলবে। এটি যেহেতু রাজনৈতিক সরকারের বাজেট, তাই বাজেট প্রণয়নের সময় ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহার ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকেও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে।

বৈঠক বাজেটের আকারের পাশাপাশি বাজেট ঘাটতি ও রাজস্ব সংগ্রহ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে পর্যন্ত আইএমএফের দলটি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে সংস্থাটি। 

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। সে সময় রাজস্ব বৃদ্ধি, ব্যাংক খাত সংস্কারসহ বিভিন্ন শর্ত দেয় সংস্থাটি। ইতিমধ্যে দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ছাড় করেছে। তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়ার কথা আগামী মাসের শেষ দিকে।