img

কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতির নিকট বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

প্রকাশিত :  ০৮:১৬, ০৬ জুলাই ২০২১

কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতির নিকট বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

জনমত ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম গত ৩০ জুন কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কলম্বিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ইভান ডুকে মারকুয়েজের নিকট অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন ।

কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠককালে  রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌছে দেন। বাংলাদেশ ও কলম্বিয়ার মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান উল্লেখ করে তিনি বলেন উভয় দেশ আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অনেক আন্তর্জাতিক ইস্যুতে অভিন্ন মত পোষণ করে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য দুদেশের সহযোগিতা বৃ্দ্ধির সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ কাজে লাগানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সমর্থন প্রদান করার জন্য কলম্বিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান। দুদেশের জনগণের মধ্যে সহযোগিতা ও সামগ্রিক সম্পর্ক গভীরতর করার লক্ষ্যে তিনি কাজ করবেন বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি মারকুয়েজ জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফাইন্যান্স সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নিতে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিতব্য উক্ত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবে বাংলাদেশ।

কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি মারকুয়েজ দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসাবে রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে দু’দেশ তাদের অভিন্ন লক্ষ্য এবং আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করতে একযোগে কাজ করবে।

এর আগে, রাষ্ট্রদূত কলম্বিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্টা লুসিয়া রামিরেজের আমন্ত্রণে এক মধ্যাহ্নভোজে অংশ গ্রহণ করেন। তারা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ, কোভিড অতিমারীর সাথে আগত সংকটসমূহ মোকাবিলা, ভ্যাকসিন সহযোগিতা, রোহিঙ্গা সমস্যা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে রাষ্ট্রদূত কলম্বিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সিসকো এচেভেরি লারা এবং দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের আলোচনা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত :  ১০:৩৪, ০৫ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫২, ০৫ মে ২০২৪

গাজা যুদ্ধে প্রথম দুই মাসে পরিবেশের ক্ষতি ২০টি দেশের বার্ষিক কার্বন নিঃসরণের সমান

জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটকালে পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে গণমাধ্যমের বিশাল ভূমিকা রয়েছে । বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে 'পরিবেশ সংকটে সাংবাদিকতা' শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলার পাশাপাশি পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য কর্মক্ষেত্রের স্বাধীনতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

৩ মে, শুক্রবার লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব অফিসে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  এতে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সিনিয়র সাংবাদিক, প্রথম আলোর সাবেক কনসাল্টিং এডিটর কামাল আহমেদ ও এটিনএন বাংলার প্রেজেন্টার মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ঊর্মি মাজহার ।

প্রেস ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি ও সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক তাইসির মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ জুবায়ের।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সাংবাদিক কামাল আহমেদ বলেন, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস বিষয়ে আলোচনা করার আগে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের স্মরণ করা এবং তাদের হত্যার বিচারের দাবি জানানো বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, গাজা এবং ইসরাইলের সংঘাতে গাজায় যতজন সাংবাদিক মারা গেছেন এক দশকেও তত সাংবাদিক মারা যাননি।  গাজা-ইসরাইল সংঘাত

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কী পরিমান প্রভাব পড়ছে সেই বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের কুইন মেরি কলেজের এক গবেষণার কথা তুলে ধরে কামাল আহমেদ জানান, গাজা যুদ্ধের প্রথম দুই মাসে আকাশপথে বা সাগরে উষ্ণায়নের জন্য দায়ী ক্ষতিকর কার্বন গ্যাসের যতটা উদ্‌গিরণ ঘটেছে, তা জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ২০টি দেশের বার্ষিক কার্বন নিঃসরণের সমান।

সাংবাদিক কামাল আহমেদ আরো বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সাংবাদিকতা করতে গিয়ে বাংলাদেশে অন্তত ১০ জন সাংবাদিক ক্ষমতাসীনদের প্রভাবে নিগ্রহের শিকার হয়েছেন।

সাংবাদিক ও টিভি প্রেজেন্টার উর্মি-মাজহার বলেন, পরিবেশ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা অনেক সময় প্রতিবন্ধকতার শিকার হন । কখনো কখনো সমাজের রাঘব বোয়ালরা এমনকি সরকারও এর প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের নির্যাতনের উদাহরণও তুলে ধরেন তিনি । উর্মি-মাজহার আরো বলেন, পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকতার জন্য পড়াশোনার প্রয়োজন রয়েছে।  

ক্লাব প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ জুবায়ের বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সর্বক্ষেত্র থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে সাংবাদিকতার পাশা-পাশি টিভিতে লাইভ প্রোগ্রাম ও কমিউনিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

ক্লাব সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদ বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা আমাদের অধিকার । তবে সৎ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাও সময়ের দাবী । সাংবাদিকতা পেশায় অর্ধসত্য মিথ্যার চেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়ায়।  তিনি কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) এর সাম্প্রতিক প্রকশিত তথ্য উল্লেখ করে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩ মে পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৯৭জন সাংবাদিক মারা গেছেন । এরমধ্যে ৯২জনই হচ্ছেন ফিলিস্তিনী সাংবাদিক।

অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটন, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসিক দর্পণ সম্পাদক রহমত আলী, কবি ও সাংবাদিক হামিদ মোহাম্মদ, বায়ান্ন বাংলা টিভির এডিটর আনোয়ারুল ইসলাম অভি, কবি ও কমিউনিটি নেতা মজিবুল হক মনি, ক্লাবের সাবেক নির্বাহী সদস্য আহাদ চৌধুরীর বাবু  ও সদস্য জি আর সোহেল।

আলোচনা শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের গাজায় নিহত সাংবাদিকদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়‌।

অনুষ্ঠানে ক্লাবের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রেজাউল করিম মৃধা, অর্গানাইজিং এবং ট্রেনিং সেক্রেটারি আকরামুল হোসাইন, মিডিয়া এবং আইটি সেক্রেটারি মোঃ আব্দুল হান্নান, এক্সিকিউটিভ মেম্বার আনোয়ার শাহজাহান ও ফয়সল মাহমুদ। অনুষ্ঠান শেষে ক্লাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিক কামাল আহমদের হাতে কিছু উপহার তুলে দেওয়া হয়।


কমিউনিটি এর আরও খবর