img

কুষ্টিয়ার করোনা হাসপাতালে আরো ১৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ০৮:৩০, ১০ জুলাই ২০২১

কুষ্টিয়ার করোনা হাসপাতালে আরো ১৮ জনের মৃত্যু

জনমত ডেস্ক: কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরো ১৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ১৫ জন করোনায় এবং তিনজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শনিবার (১০ জুলাই) সকাল ৮টার মধ্যে মারা যান তারা। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন। এদিকে নতুন ৫৮৯ নমুনা পরীক্ষা করে ১৭৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১৭৬ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ৯৭ জন, দৌলতপুরের ১৮ জন, কুমারখালীর ১৭ জন, ভেড়ামারার ৩৭ জন, মিরপুরের তিনজন ও খোকসার চারজন রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত জেলায় ৭০ হাজার ২০৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬৭ হাজার ২৮৩ জনের। মোট শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৯ জন।

বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৭১ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৮ জন ও হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ১০৩ জন।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, অধিকাংশ রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার দরকার হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বাড়ায় অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে কাড়াকাড়ি লেগে যাচ্ছে। অনেকেই ৪০ থেকে ৭০ ভাগ অক্সিজেন স্যাচুরেশন নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। তাদের অবস্থা জটিল। তাদের কমপক্ষে এক সপ্তাহের জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি রয়েছে। এ রকম বেশির ভাগ রোগীই আসছেন জটিল অবস্থা নিয়ে। আর অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ার পর যেসব রোগী আসছেন, তাদের বাঁচানো কঠিন হচ্ছে। এ জন্য আগে থেকেই চিকিৎসাসেবা নিতে হবে। মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। অসচেতনতার কারণে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন বলেন, ২৫০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে এখন শয্যার চেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৪২২ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ২৯২ জন। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৩০ জন। এখন পর্যন্ত চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট নেই। তবে শয্যা, নার্স, আয়া ও সুইপারের অভাব রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, হাসপাতালটিকে ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণার পর থেকে রোগীর চাপ বাড়তেই আছে। প্রয়োজনের তুলনায় লোকবল কম। এ জন্য চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাই চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও রোগীর চাপ বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

img

অবশেষে চট্টগ্রাম ও ফেনীতে স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশিত :  ০৬:০৪, ০২ মে ২০২৪

সারা দেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। চলমান দাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। একটু বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকে মানুষ। অবশেণে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে  চট্টগ্রাম ও ফেনীতে দেখা মিলল স্বস্তির বৃষ্টি।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে হালকা বাতাস ছিল। এ ছাড়া বজ্রপাতও হয়েছে। তবে বৃষ্টির স্থায়িত্ব বেশি না হওয়ায় তাপমাত্রা তেমন কমেনি। বৃষ্টির সময়সীমা ছিল ৭মিনিট। ফলে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি মেলেছে। আকাশ কিছুটা মেঘলা। তবে উষ্ণতার পরিমাণ বেশি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেনী আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ জেলায় সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। হালকা বাতাস বইছে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৭৬ শতাংশ হওয়ায় গরম অনুভব হচ্ছে বেশি। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ২ মিলি. মিটার। আজও তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতর সকাল সোয়া ৯টার দিকে চট্টগ্রামে নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও এর আশপাশের এলাকায় আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই বৃষ্টির সঙ্গে চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে। রোববার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।