এপ্রিলের মধ্যে দেশে আসছে সাত কোটি টিকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিত :
১৫:৩৯, ১৫ জুলাই ২০২১
জনমত ডেস্ক: আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে দেশে সাত কোটি করোনার টিকা আসছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। নিজের ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
মো. শাহরিয়ার আলম জানান, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আসবে অক্সফোর্ডের ২৯ লাখ ভ্যাকসিন। জুলাইয়ের শেষ দিকে আসবে ৩০ লাখ করোনার ভ্যাকসিন। আর আগস্টের শুরুতে কোভ্যাক্সের ১০ লাখ ডোজ করোনার টিকা আসবে।
তিনি আরো জানান, ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে দেশে আসবে সাত কোটি করোনা ভ্যাকসিন। তিনি ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, দেশের ৮০ শতাংশ জনগণকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
প্রকাশিত :
১০:৪৩, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪৪, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শক্তির যেমন কোনো ধ্বংস বা বিনাশ নাই তেমনি পানি ব্যবহারে ও পানির কোনো কমতি বা বাড়তি নাই । আদিকালে পানির পরিমাণ যা ছিল এখনো তাই আছে । শুধু ভূপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমন্ডলে কিছু পানি যায় আবার বৃষ্টিরুপে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে।পানিচক্র সংঘটিত করে মূলত সৌর শক্তি। পৃথিবীতে বাষ্পীভূত হওয়া পানির ৮৬ শতাংশই সমুদ্রের পানি, যা পৃথিবীর তাপমাত্রা শীতল রাখতে অবদান রাখে।
সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি) একদল বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন, কোনো রকম তাপ ছাড়াই শুধু আলো ব্যবহার করে পানি বাষ্পীভবন করা সম্ভব। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মেঘ কীভাবে সূর্যের কাছ থেকে বেশি আলো শোষণ করে, তা নিয়ে বহু বছর ধরে বিভ্রান্তিতে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই নতুন আবিষ্কারের ফলে প্রায় ৮০ বছরের পুরনো একটি রহস্যের সমাধান হতে পারে।
পারডু ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক শিউলিন রুয়ান বলেন, ‘তাপের পরিবর্তে আলোর মাধ্যমে পানির বাষ্পীভবন হওয়ার প্রক্রিয়াটি পানি ও আলোর মিথষ্ক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের নতুন জ্ঞানের সন্ধান দেবে। এই আবিষ্কার সত্যিই অসাধারণ।’
এই শিক্ষক আরও বলেন, ‘সূর্যের আলো কীভাবে মেঘ, কুয়াশা, সাগর, মহাসাগর ও অন্যান্য জলাশয়ের পানির ও আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানতে এই আবিষ্কার সহায়তা করবে।’
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই আবিষ্কার জলবায়ু পরিবর্তন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, বিশুদ্ধ পানির প্রাকৃতিক উপাদান ইত্যাদি বিষয়ে জানতে নতুন পথ উন্মোচন করবে।
গবেষণার সঙ্গে জড়িত এমআইটি অধ্যাপক গ্যাং চেন বলেন, ‘আমরা এই গবেষণার বিভিন্ন দিক নিয়ে ভেবেছি। এটি নিঃসন্দেহে মৌলিক বিজ্ঞানকে প্রভাবিত করবে। এর মাধ্যমে জলবায়ুর ওপর মেঘের প্রভাব সম্পর্কে বিশদ জানা যাবে।’
‘ফটোমোলিকুলার ইফেক্ট: ভিজিবল লাইট ইন্টারফেস উইথ এয়ার-ওয়াটার ইন্টারফেস’ শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধটি ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসে (পিএনএএস) প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা প্রবন্ধটিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা এ গবেষণার জন্য ১৪টি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে শ্রমসাধ্য পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়েছেন। এর পর নিশ্চিত হয়েছেন যে, দৃশ্যমান আলোর বর্ণালি থেকে ফোটনগুলো বাতাসের সংস্পর্শে আসা পানির ক্লাস্টারগুলোকে ‘ছিন্ন’ করতে পারে।