img

রামেক হাসপাতালে করোনা কেড়ে নিল আরো ২১ প্রাণ

প্রকাশিত :  ০৬:৩৩, ২৭ জুলাই ২০২১

রামেক হাসপাতালে করোনা কেড়ে নিল আরো ২১ প্রাণ

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে তারা মারা যান। গত ২৮ জুন ও ১৪ জুলাই দুদিন সর্বোচ্চ ২৫ জন করে মারা যান।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, নতুন করে মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে ১০ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। বাকি ১১ জন মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে।  

মৃত ২১ জনের মধ্যে রাজশাহীর সাতজন, পাবনার পাঁচ, নাটোরের তিন, নওগাঁর চার এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ঝিনাইদহের একজন করে রোগী ছিলেন।

চলতি মাসের ২৭  দিনে ৪৬৪ জনের মৃত্যু হলো। এর আগে জুন মাসে করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৩৫৪ জন।

হাসপাতাল পরিচালক শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৫ জন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন ৩৯৯ জন। হাসপাতালে মোট করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা এখন ৫১৩টি।

img

রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১০:৫৮, ০২ মে ২০২৪

রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭ জন। এছাড়া মারা গেছে একটি গরু। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার সদর উপজেলা ও বাঘাইছড়িতে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে রাঙ্গামাটি শহরের সিলেটি পাড়া ও বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপাকারী ইউনিয়ন ও সাজেকের লংথিয়ান পাড়ায় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন রাঙ্গামাটি শহরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির আহমেদ (৫০), বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন রুপাকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লকের বাসিন্দা বাহারজান বেগম (৫৫) ও সাজেক ইউনিয়নের বেটলিং মৌজার লংথিয়ান পাড়ার বাসিন্দা তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭)।

জানা গেছে, রাঙ্গামাটি শহরসংলগ্ন সিলেটি পাড়া এলাকায় কাপ্তাই হ্রদে বরশি দিয়ে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন নজির আহাম্মেদ (৫০) নামের এক ব্যক্তি। পরে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যাসমিন চাকমা জানান, ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মুসলিম ব্লকের বাসিন্দা লাল মিয়ার স্ত্রী বাহারজান বেগম গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন। এসময় একটি ছাগলও মারা যায়। অন্যদিকে সাজেক ইউনিয়নের বেটলিং মৌজার লংথিয়ান পাড়ার বাসিন্দা তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭) ঘরে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিহত হন।

রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. শওকত আকবর খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নজির আহাম্মদ নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান।’

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, অনেক দিন পর বৃহস্পাতিবার সকালে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হয়। এতে বাহারজান বেগম ও সাজেকে তনিবালা ত্রিপুরা নামে দুজন নিহত হন। নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

অন্যদিকে প্রায় এক মাস ধরে তীব্র গরমের পর রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বুধবার (১ মে) গভীর রাত থেকে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হয়। এরপর ভোর থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। মাঝে মাঝে বজ্রপাত হচ্ছে। হালকা বাতাসের ঠান্ডার পরশ জনজীবনের শাস্তি নিয়ে আসে। বৃষ্টির কারণে গরমও কমে এসেছে। শহর জুড়ে শীতলতার পরশ নেমে এসেছে।

অন্যদিকে, গত কয়েক দিনের তীব্র গরমের পর এরকম স্বস্তির বৃষ্টিতে অনেককে দেখা গেছে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে অফিসে যাচ্ছেন। অনেকে দেখা গেছে বাড়ির ছাদে উঠে বৃষ্টিতে ভিজছেন। বৃষ্টির ফলে জনমনে স্বস্তি নেমে আসে; যদিও বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল অল্প সময়।

আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, রাঙ্গামাটিসহ উপজেলাগুলোর অনেক অংশে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিসহ বজ্রপাতের সম্ভাবনা আছে।