img

দিনে ৫ ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার আনতে পারে মানসিক অবসাদ

প্রকাশিত :  ১২:১৯, ০১ আগষ্ট ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:০৬, ০১ আগষ্ট ২০২১

দিনে ৫ ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার আনতে পারে মানসিক অবসাদ

জনমত ডেস্ক: আপনি কি মানসিক আবসাদে ভুগছেন? সারাদিনে আপনি ৫ ঘণ্টা ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে মগ্ন থাকেন কি? এটি আপনার মানসিক অবসাদের কারণ হতে পারে। সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। মিররে প্রকাশিত একটি তথ্য অনুসারে দেখা গিয়েছে ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার থেকে শুরু করে বর্তমানে প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনের সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়া যুক্ত।

তবে নতুন একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, সারাদিনে যদি ৫ ঘণ্টা ধরে সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে মানসিক অবসাদ আপনার বাড়বে। আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই তথ্য ই দিয়েছেন। তারা বলছেন, এর ফলে মাত্র ছমাসের মধ্যে আপনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত হতে পারেন।

ডক্টর ব্রায়ান প্রিমাক এবিষয়ে বলেছেন, মানুষের মন নানা কারণেই অবসাদগ্রস্ত হতে পারে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব বর্তমানে অনেকটাই বেশি।

অন্যের উন্নতি ডেকে আনতে পারে আপনার সর্বনাশ। এক হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সেখান থেকেই উঠে এসেছে এই তথ্যে।

সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, যারা দিনে যতবেশি সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করেন, তারা তত বেশি মানসিক অবসাদের শিকার হন। শুধু সময়ের অপচয়ই নয়, মনের গভীরে প্রভাব ফেলে এই সোশ্যাল মিডিয়া। দিনের অনেকটা সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে কাটানোর বদলে যদি ব্যক্তি তার নিজের উন্নতিতে কাজ করেন তাহলে তিনি জীবনে অনেক বেশি উন্নতি লাভ করবেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার যে শুধু খারাপ দিকই রয়েছে তা নয়, আধুনিক জীবনকে অন্য  একটি স্তরে নিয়ে গেছে এই মাধ্যমগুলি। তবে তাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। করোনার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার অন্যতম হাতিয়ার ছিল কিন্তু এই সামাজিক মাধ্যমই। তাই গবেষকদের মতে, প্রতিটি মানুষের উচিত সোশ্যাল মিডিয়াকে তার শক্তি করা, তার শিকার হয়ে যাওয়া নয়। 


img

গরমে বাইক চালাতে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩০, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে এই প্রচণ্ড রোদে অনেককে বাইরে বের হতে হচ্ছে । অনেকের ক্ষেত্রে চলাচলের জন্য মাধ্যম হলো বাইক বা মোটর সাইকেল। সূর্যের কড়া তাপে তাদের বাইক চালাতে হয়। কেবল রোদই নয়, সেইসঙ্গে থাকে গরম বাতাসও। যারা প্রতিদিন তীব্র রোদে বাইক চালাচ্ছেন, তাদের কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে।

হেলমেট ব্যবহার করুন

বাইক চালানোর সময় নিরাপত্তার জন্য তো বটেই, এছাড়া রোদ থেকে বাঁচার জন্যও হেলমেট ব্যবহার করুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলোতে কালার চেঞ্জিং গ্লাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যে কারণে তীব্র রোদে চোখও আরাম পায়। সেইসঙ্গে ফুলহাতা ও সুতির পোশাক পরলে রোদের তাপ থেকেও বাঁচতে পারবেন।

ফুয়েল ট্যাঙ্ক

গরমের সময়ে বাইকের ফুয়েল ট্যাঙ্ক পুরোপুরি ভরবেন না। কারণ তাপ সৃষ্টি হলে ডিজেল কিংবা পেট্রল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তেল লিক করলে তা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই গরমের সময়ে ফুয়েল ট্যাঙ্কের অর্ধেক বা চার ভাগের তিন ভাগ তেল নিন।

হাইড্রেটেড থাকুন

মোটরসাইকেল হোক বা সাইকেল, গিয়ারের চাপে গরম অসহ্য হবেই। এজন্য সঙ্গে পানি রাখুন। তীব্র রোদে গাড়ি চালালে ত্বকের ক্ষতি হয়। সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন সানস্ক্রিন। গরমে দীর্ঘসময় বাইরে থাকলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই হিট স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন। 

বাইকের কুল্যান্ট নিয়ে ভাবুন

গরমের সময় বাইকের কুল্যান্ট ঠিক আছে কী না দেখা জরুরি। এই কুল্যান্ট আসলে কী। কুল্যান্ট এক ধরনের তরল যা বাইকের ইঞ্জিনের মধ্যে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সোজা ভাষায় এটি বাইকে কুলিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিফ্রিজ ও পানির মিশ্রণে তৈরি এই তরল গরমে বাইক সুরক্ষিত রাখে। এ কুল্যান্টের অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখুন। কুল্যান্ট খারাপ হলে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ইলেকট্রিক পার্টস

তাপদাহে বাইকের ইলেকট্রিক পার্টস ক্ষতি হতে পারে। কমিউটার মোটরসাইকেল হোক অথবা স্পোর্টস বাইক সব রকম টু হুইলারে থাকে একাধিক ইলেকট্রিক পার্টস। তাই রাইড করার সময় অতিরিক্ত ফিউজ সঙ্গে রাখতে পারেন। ব্যাটারির বিষয়টিও মনে রাখবেন।

টায়ারের ক্ষতি হতে সাবধান

গরমে টায়ার প্রেশার সাধারণ সময়ের থেকে একটু কম রাখা ভালো। চাকায় যদি বাতাসের বেগ বেশি থাকে তাহলে গরমকালে চাকা ফেটে যেতে পারে। যারা হাই স্পিডে বাইক চালান তাদের চাকা সরাসরি রাস্তার সংস্পর্শে আসলে অত্যধিক হিট তৈরি হয়। তাই সাবধান না থাকলে টায়ারের ক্ষতি হতে পারে।

ফুয়েল ট্যাংক

গরমে ফুয়েল ট্যাংকের দিকে বাড়তি নজর দিন। গরমের সময় ফুয়েল ট্যাংক সম্পূর্ণ পূর্ণ করা উচিত নয়। কারণ তাপ সৃষ্টি হলে পেট্রল কিংবা ডিজেল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গ্রীষ্মকালে ফুয়েল ট্যাংক ভরা থাকলে জ্বালানি উপচে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই গরমকালে ফুয়েল ট্যাংক অর্ধেক অথবা চার ভাগের তিন ভাগ পূর্ণ করার চেষ্টা করুন।

চেইন লুব্রিকেট

গরমের সময় বাতাসে ধুলাবালি একটু বেশি থাকে। তাই কিছুদিন পর পর বাইকের চেইন পরিষ্কার ও লুব্রিকেট করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটি করার ফলে বাইক আরও মসৃণভাবে চালানো যায়। লুব্রিকেটিং করার আগে বাইকের সব মোটরপার্টস অবশ্যই পরিষ্কার করে নিতে হবে।