img

জামায়াত সেক্রেটারিসহ ৫ নেতা আবারো রিমান্ডে

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫৩, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

জামায়াত সেক্রেটারিসহ ৫ নেতা আবারো রিমান্ডে

জনমত ডেস্ক: সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ পাঁচজনের আবারো দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) চারদিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আবারো তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী ওয়াজেদ আলী।

ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমানের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসেন ও ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত।

এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর নয় আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার তাদের প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ভাটারা থানায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ নয়জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় অনেককে। সেদিনই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান সেদিন বলেন, ‘গ্রেপ্তার জামায়াত নেতারা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। বৈঠকে তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। গোপন সংবাদে বৈঠকের খবর জানতে পেরে তাদের আটক করি। তাদের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার বৈঠক থেকে আলামত হিসেবে কিছু বই আমরা জব্দ করি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি, কেন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। আমরা ধারণা করছি, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে মিলিত হয়েছিলেন। রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করার জন্য এটা তাদের গোপন বৈঠক ছিল।’

img

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

প্রকাশিত :  ১১:২৪, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৩৩, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

তীব্র তাপদাহে রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ হাসফাস করছে। বিশেষত চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ যেন কমছেই না। প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। এবার দেশে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ জেলায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে জেলায় চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৬ এপ্রিল দুপুর ৩টায় ওই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে এ জেলায় ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। সে হিসাবে ১০ বছর পর চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ ৪৩ ডিগ্রিতে উঠলো।

এমন তাপমাত্রার ফলে টানা খরতাপে জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে জনজীবন ওষ্ঠাগত। ভুগছে প্রাণীকূলও। দিন রাতের তাপমাত্রার পার্থক্যও থাকছে কম। দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদ আর সন্ধ্যার পর ভ্যাপসা গরম নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবনে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেলা ১২টা থেকে দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। যারাওবা বের হচ্ছেন, তাদের ছাতা মাথায় দেখা গেছে।

এই তাপপ্রবাহে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর এবং ভ্যান ও রিকশা শ্রমিকেরা। গরমে ঘেমে-নেয়ে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন।

এদিকে তীব্র তাপদাহে মাঠের ফল-ফসলও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছে। কোথাও কোথাও ফসল ঝলসে যাওয়ার খবর মিলেছে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, এ রকম তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে আরও কয়েকদিন। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টির কোনো আভাস নেই।