img

কুলাউড়ায় দাখিল পরীক্ষায় বিলম্বে প্রশ্নপত্র দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ১৬ নভেম্বর ২০২১

 কুলাউড়ায় দাখিল পরীক্ষায় বিলম্বে প্রশ্নপত্র দেওয়ার অভিযোগ

জনমত ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র দিতে ২৩ মিনিট বিলম্বের অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার মনসুর মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এবং ভুক্তভূগী শিক্ষার্থীরা একই উপজেলার শ্রীপুর জালালীয়া মাদ্রাসার শিক্ষাথী ও দাখিল পরিক্ষার্থী।
এতে ভুক্তভূগীরা ফলাফল বিপর্যয়ের আশঙ্কায় পড়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে সোমবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভূগী পরীক্ষার্থীরা।
অভিযোগ ও ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (১৪ নভেম্বর) দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্র মনসুর মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৩নং কক্ষে পরীক্ষা দিতে যান ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দাখিল কোরআন মাজিদ পরীক্ষা ছিলো। পরীক্ষা শুরুর সময় সকাল দশটার দিকে এমসিকিউ প্রশ্ন দেওয়া হয়। পনেরো মিনিট পরে আবার সেটি নিয়ে যাওয়া হয়। তখন লিখিত পরীক্ষার খাতা দেওয়া হলেও প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়নি। ২৩ মিনিট পর প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। তখন কর্তৃপক্ষ আমাদের সময় বাড়িয়ে দেওয়ার সান্তনা দেন। কিন্তু পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ে আবার খাতাগুলো নিয়ে যাওয়া হয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। এ সময় পরীক্ষার্থীরা বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে আরো কিছু সময় চাইলে তাদের সে সুযোগ দেওয়া হয়নি।
ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. আবুল হাজালাত, মো. রেদওয়ানুল হক রাহেল ও আশরাফুল ইসলামসহ একাধিক পরীক্ষার্থী জানান, মনসুর মোহাম্মদীয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৩নং কক্ষে আমরা দুই মাদ্রসার ৩৮জন পরীক্ষার্থী ছিলাম। পরীক্ষার প্রথম দিন কোরআন মজিদ পরীক্ষা ছিলো। নির্ধারিত সময়ের ২৩ মিনিট পরে প্রশ্নপত্র দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে হল সুপারসহ কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বাস দেন বিলম্ব সময় পুষিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ে আমাদের খাতাগুলো তুলে নেন হলের দায়িত্বরত শিক্ষকরা। বিলম্বের কারণে পাশের উত্তর লিখতে পারিনি।  তখন আমরা কেন্দ্র সচিব এ এইচ এম বজলুল রহমানের কাছে গিয়ে অনেক অনুরোধ করলেও তিনি কোন সুরাহা দেননি। ফলে আমরা আমাদের ফলাফল বিপর্যের আশঙ্কায় পড়েছি। বিষয়টি আমাদের মাদ্রসার সুপারসহ সবাইকে জানাই তাৎক্ষণিক।
এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব এ এইচ এম বজলুল রহমানের মুঠোফোনে সোমবার বিকেল ৩টার দিকে যোগাযোগ করা হলে তার স্ত্রী আরফাহ আক্তার ফোনকল রিসিভ করে বলেন, ‘আমার স্বামী ভুলে বাড়িতে মোবাইল রেখে গেছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

img

বিশ্বনাথে মেয়র ও কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশিত :  ১৩:০০, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম ও মেয়র মুহিবুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পথচারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের সমর্থকেরা সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশা ও দোকানপাট ভাঙচুর করেছেন।


রোববার বেলা তিনটার দিকে পৌরসভার নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে উভয় পক্ষের লোকজন একই এলাকায় প্রায় ১০০ গজের ভেতরে পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ সভা ডাকেন। ওই সভা ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই জেরে সমাবেশ শুরুর আগে ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর রাসনা বেগম উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। তিনি ২৪ এপ্রিল মেয়র মুহিবুর রহমান, দুই কাউন্সিলরসহ আটজনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা করেন। এরপর মেয়র পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই পৌর শহরে উত্তেজনা চলছে।

বেলা তিনটায় নতুন বাজার এলাকায় মেয়র পক্ষের লোকজন ‘মিথ্যা মামলার’ প্রতিবাদে সভা ডাকেন। একই সময় প্রায় ১০০ গজ দূরে মেয়রকে গ্রেপ্তারের দাবিতে নারী কাউন্সিলরের পক্ষে আরেকটি সমাবেশ ডাকে পৌর আওয়ামী লীগ। সমাবেশ শুরুর আগে উভয় পক্ষের লোকজন জড়ো হলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে পথচারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরে উভয় পক্ষের কেউ কোনো সভা করেনি।

এ ব্যাপারে কথা বলতে মেয়র মুহিবুর রহমানের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি। অন্যদিকে রাসনা বেগম ফোন ধরলেও এ বিষয়ে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের লোকজনের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কেউই থানায় লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ করেননি।