img

কোচবিহারে সুইসাইড নোট লিখে স্ত্রী-ছেলেকে হত্যার পর শিক্ষকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত :  ১৭:১৪, ১৮ নভেম্বর ২০২১

কোচবিহারে সুইসাইড নোট লিখে স্ত্রী-ছেলেকে হত্যার পর শিক্ষকের আত্মহত্যা

জনমত ডেস্ক : হেডফোনের তার দিয়ে হাত বাঁধা শিক্ষকের মরদেহ ঝুলছে সিলিং ফ্যানে। তার স্ত্রী ও ছেলের মরদেহ পাশের ঘরে। একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের কোচবিহার শহরে গুঞ্জবাড়ি এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, কোচবিহারে আদতে দিনহাটার গোসানিবাড়ির বাসিন্দা ছিলেন উৎপল বর্মন (৩৮)। তিনি কোচবিহারের এ বি এন শীল কলেজে অস্থায়ী শিক্ষক পদে চাকরি করতেন। শহরের গুঞ্জবাড়ি একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন উৎপল। সঙ্গে স্ত্রী অঞ্জনা ও একমাত্র ছেলে অদৃশ।
পরিবারের সূত্র জানায়, মঙ্গলবার মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ওই অস্থায়ী শিক্ষক। খুব তাড়াতাড়ি গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল উৎপল বর্মণের ।
গ্রামের পরিবারের সদস্যরা উৎপলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহার শহরে গুঞ্জবাড়ি এলাকায় উৎপলের ভাড়া বাড়িতে আসেন তারা। কিন্তু বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। বাইরে থেকে ডাকাডাকিও করে কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়েই দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন উৎপলের স্বজনরা। তখনই দেখা যায় একটি ঘরে সিলিং ফ্যানে ঝুলছে উৎপলের দেহ! তার হাত আবার হেডফোনের তার দিয়ে বাঁধা ছিল। স্ত্রী অঞ্জনা ও ছেলে অদৃশ? পাশের ঘর থেকে উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়। তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কীভাবে মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে ১২ পাতার একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। সেই সুইসাইড নোটে উৎপল বর্মণ নাকি লিখেছেন, কীভাবে স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করার পর তিনি নিজে আত্মহত্যা করেছেন। জীবনে কী পেয়েছেন, আর কী পাননি, সে কথাও লিখেছেন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বর্মণ পরিবারের সম্ভবত আর্থিক অনটন চলছিল। সেই কারণে এই ঘটনা। তবে বাড়ির লোকেরা যদি অভিযোগ করেন, সে ক্ষেত্রে পুলিশ তদন্ত করবে।

img

চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতার হতে পারেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত :  ১২:৩২, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:২৫, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

গাজায় একের পর এক যুদ্ধাপরাধ ও মানবিকতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে নেদার‌ল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় একের পর এক যুদ্ধাপরাধ ও মানবিকতাবিরোধী অপরাধের কারণে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার মন্ত্রিপরিষদ। সেজন্য নেদার‌ল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহুসহ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। সম্ভাব্য সেই পরোয়ানা এড়াতে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা।

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, এ প্রসঙ্গে আইসিসির সাথে যোগাযোগ করেছেন এনবিসির সাংবাদিকরা। জবাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মুক্ত ও অবাধ তদন্ত পরিচালনা করছি। এই কাজের সুবিধার্থে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে হতে পারে। কিন্তু বিষয়টি যেহেতু তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই।’