img

সহকারী প্রকৌশলীকে মেঝেতে ফেলে বুকে চেপে বসলেন প্রকৌশলী

প্রকাশিত :  ১৭:১১, ২৪ নভেম্বর ২০২১

সহকারী প্রকৌশলীকে মেঝেতে ফেলে বুকে চেপে বসলেন প্রকৌশলী

জনমত ডেস্ক : কথা না শোনায় রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদের কক্ষে উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রনিকে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। সে সময় নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রনির গলা ধাক্কা দিয়ে চেয়ারসহ ফ্লোরে ফেলে দেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার (২৪ নেভেম্বর) বিকেলে মো. রনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে মো. রনি নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদের কক্ষে প্রবেশ করে চেয়ারে বসে। এ সময় দুইজন তর্ক করে। একপর্যায়ে আব্দুল আহাদ চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে রিনকে গলা ধাক্কা দিয়ে চেয়ার থেকে ফেলে বুকের ওপর চেপে বসে ও গালাগাল করতে থাকে। পরে পাশে থাকে একজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে নিবৃত্ত করে।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ আলী বলেন, \'রনি দীর্ঘদিন ধরে আমার কোনো কথা শুনতো না। আর এ ঘটনা আমি রাগের মাথায় করে ফেলেছি। আমার ঠিক হয়নি।\'

img

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি

প্রকাশিত :  ১৮:৫৬, ০১ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:১১, ০১ মে ২০২৪

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে রিমান্ডে নিয়ে তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন ডিবি প্রধান।
এর আগে, ১ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ।  

ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে আমরা অজস্র অভিযোগ পেয়েছি। তিনি বলেছেন, তার দুটো আশ্রম রয়েছে। সাভারের আশ্রমে ৫০০ থেকে ৭০০ লোক রয়েছেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে ২০-৩০ জনের বেশি লোক নেই। আমরা তাকে নিয়ে এসেছি। কিছু অভিযোগকারী রয়েছে তারাও মামলার রুজু করবে। আমরা মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব, কত সংখ্যক মানুষকে চিকিৎসা দিয়েছিল। কত সংখ্যক মানুষ মারা গেল। তার আশ্রমে যে অপারেশন থিয়েটার রয়েছে এর মাধ্যমে কিডনি বিক্রি করেছেন কিনা সেটাও তদন্ত করা হবে।

হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টনের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। নিজের বাবাকে পিটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকা ছাড়া করেছিল। পরবর্তীতে মিঠু হালদার নামে একটি নার্সকে তিনি বিয়ে করেন। এরপর তিনি ও তার স্ত্রী মিলে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার স্থাপন করেন। পরে এ কেন্দ্রিক সেবা দিতে শুরু করেন।  সোশ্যাল মিডিয়াতে এসেছে তার প্রতিষ্ঠানে অপারেশন থিয়েটার আছে। তবে তার সেই থিয়েটারের কোনো লাইসেন্স নেই। আরও অভিযোগ রয়েছে, তিনি রাতে লাশ দাফন করে থাকেন। মিল্টন ইতোমধ্যে ৯০০ লাশ দাফন করেছে বলে মিডিয়ায় এসেছে। এর মধ্যে ৮৩৫টি লাশেরই কোনো ডকুমেন্ট তিনিদেখাতে পারেননি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অজস্র রিপোর্ট আছে।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আরও বলেন, মিল্টন সমাদ্দার নিজেই কেন ডেথ সার্টিফিকেট নিজের সাক্ষরে তৈরি করেছেন এবং সেখানে ডাক্তারের কোনো সিগনেচার কেন নেন নাই সেগুলো খুঁজে বের করা হবে। আমরা সবকিছু তদন্ত করে পরবর্তী সময়ে আপনাদের জানাব। আমরা তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পেয়েছি সেগুলো তদন্ত করে তাকে রিমান্ডে নিয়ে পরবর্তী বিষয়গুলো জানাব।

এদিকে, সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে, সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরা।