ই-ফাইলিং উদ্বোধন

img

ই-জুডিশিয়ারির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে বিচার বিভাগ : আনিসুল হক

প্রকাশিত :  ০৯:৫২, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

ই-জুডিশিয়ারির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে বিচার বিভাগ : আনিসুল হক

 জনমত ডেস্ক ।। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশের বিচার বিভাগ পর্যায়ক্রমে ই-জুডিশিয়ারির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।’

সুপ্রিমকোর্টের সলিসিটর ভবনে ই-ফাইলিং সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আজ এ কথা বলেন।

আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের \r\nসভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন-এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, \r\nসলিসিটর জেসমিন আরাসহ প্রমুখ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের লক্ষ্যে আইন, \r\nবিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ এ \r\nঅনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির যেমন ব্যাপক প্রসার ঘটছে তেমনি এখনো অপরাধও হচ্ছে। এ অপরাধ মোকাবেলায় প্রয়োজন হয় কঠোর আইনের।

আনিসুল হক বলেন, ‘প্রযুক্তির সঙ্গে \r\nআইনমন্ত্রণালয়, সলিসিটর আজ সংযুক্ত হলো। এই প্রযুক্তির সঙ্গে যদি আমরা \r\nসংযুক্ত না হতাম তাহলে কিন্তু পিছিয়ে থাকতাম। পিছিয়ে থাকলে বিচার \r\nপ্রার্থীদের কাছে তরিৎ বিচার পৌঁছে দেয়া সম্ভব হতো না। সুষ্ঠ বিচার যদি \r\nআমরা পৌছে দিতে না পারি, তাহলে সেটা হবে বিচার বিভাগের ব্যর্থতা। আর এতে \r\nজনগণ বিচার বিভাগের কাছে আসবে না।’

আইন মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগের উপর ন্যায়\r\n বিচার নির্ভর করে উল্লে করে আইনমন্ত্রী বলেন, ই-জুডিশিয়ারির একটা ধাপ \r\n‘ই-ফাইলিং’ চালু হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় খুব ধীর গতিতে এই প্রযুক্তির সঙ্গে \r\nসম্পৃক্ত হবে এই কারনে যে আইনের বিষয়গুলি সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে পারবো কিনা \r\nসেটা আগে আমাদের শিখতে হবে। আমাদের হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। আমরা অত্যন্ত \r\nসতর্কতার সঙ্গে এগুচ্ছি।

তিনি বলেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশের বিচার বিভাগ\r\n পর্যায়ক্রমে ই জুডিশিয়ারি সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। তবে এই প্রযুক্তির কিছু \r\nবিড়ম্বনাও আছে। সেই কারনে আমাদেরকে সতর্কতার সঙ্গে এগুতে হবে। যেমন \r\nহ্যাকিং। এসব সাইবার ক্রাইম মোকাবেলা করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি \r\nকরা হয়েছে।’
আগামী এক মাসের মধ্যে এটর্নি জেনারেল অফিস ও সলিসিটর অফিস সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলেও আইনমন্ত্রী জানান।

\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n

এর আগে আইনমন্ত্রী ই-ফাইলিং পদ্ধতি উদ্বোধন করেন।

img

হ্যাক হতে পারে ওয়াইফাই রাউটার, নিরাপদ থাকতে ১০টি টিপস

প্রকাশিত :  ১২:৩০, ১৮ মে ২০২৪

আমরা একাধিক ডিভাইসে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগের জন্য ওয়াইফাই রাউটার ব্যবহার করি। তবে রাউটার নেটওয়ার্কও হ্যাক করে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা। তাই আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। 

প্রযুক্তিভিত্তিক সাইট সিনেটের প্রতিবেদন থেকে ওয়াইফাই রাউটার হ্যাক হওয়ার থেকে রক্ষা পেতে কিছু প্রয়োজনীয় কৌশল জানা গেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই কৌশলগুলো।

ওয়াইফাইয়ের জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করুন: ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড যত শক্তিশালী হবে তত হ্যাকারদের হ্যাক করা কঠিন হয়ে যাবে। কিছুদিন পরপর বা অন্তত ছয় মাসে একবার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তনও করা জরুরি। আর পাসওয়ার্ড হিসেবে জন্মদিনের তারিখ, ১২৩৪ সংখ্যা, ফোন নম্বর, জন্মস্থান ইত্যাদি ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ হ্যাকাররা খুব সহজেই এসব পাসওয়ার্ড অনুমান করতে পারে। ক্যাপিটাল বর্ণ, সংখ্যা, বিভিন্ন সংকেতের সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। 

গেস্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করুন: অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বাসায় আসা অতিথিদের জন্য আলাদাভাবে গেস্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করুন। অতিথিরা ওয়াইফাই দিয়ে নিজস্ব ডিভাইসে বিভিন্ন কনটেন্ট ডাউনলোড করার সময় ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার আপনার নেটওয়ার্ককে আক্রমণ করতে পারে। বিভিন্ন আইওটি ডিভাইসের জন্যও গেস্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করা ভালো। কারণ ওয়াইফাই ক্যামেরা, স্মার্ট স্পিকারের মতো আইওটি ডিভাইসের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেও হ্যাক করা যেতে পারে। 

রাউটারের লগইন ডেটা পরিবর্তন করুন: রাউটারের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ও অ্যাডমিনের নাম ব্যবহার করতে হয়। এই পাসওয়ার্ড ও ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড একই বিষয় নয়। রাউটারের সেটিংস থেকে অ্যাডমিন নাম ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা যায়। এ জন্য কোনো ব্রাউজারে রাউটারের আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে সার্চ করুন। আইপি অ্যাড্রেস রাউটারের গায়ে লেখা থাকে বা ম্যানুয়াল গাইডে লেখা থাকে। এরপর ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে রাউটারের সেটিংস প্রবেশ করতে হবে। সেটিংস থেকে পাসওয়ার্ড ও ইউজানর নেম পরিবর্তন করতে হবে। আগের ইজার নেম ও পাসওয়ার্ড না জানা থাকলে সংশ্লিষ্ট ওয়াইফাই সেবাদাতাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। 

রিমোট রাউটার অ্যাকসেস ফিচার বন্ধ রাখুন: ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে দূরবর্তী অবস্থান থেকে ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রিমোট রাউটার অ্যাকসেস ফিচারের মাধ্যমে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে প্রয়োজন না হলে ফিচারটি বন্ধ করে রাখাই ভালো। ফিচারটি বন্ধ করার জন্য রাউটারের অ্যাডমিন সেটিংস থেকে পরিবর্তন করতে হবে। 

ঘরের মাঝামাঝি জায়গায় রাউটার রাখুন: রাউটার নিরাপদে ব্যবহার করার জন্য ঘরের মাঝামাঝি জায়গায় রাউটার রাখুন। এর ফলে ঘরের সব জায়গায় নেটওয়ার্ক সমানভাবে পৌঁছাবে। ঘরের মধ্যেই ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সীমাবদ্ধ থাকবে, বাইরে যাবে না। ফলে হ্যাকাররা এটি সহজে হ্যাকও করতে পারবে না।

ফায়ারওয়াল ও ওয়াইফাই এনক্রিপশন চালু করুন: হ্যাকিং বন্ধে ও রাউটারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অনেক রাউটারেই ফায়ারওয়াল ও ওয়াইফাই এনক্রিপশন ফিচার রয়েছে। এগুলো সাধারণত ডিফল্টভাবে চালু থাকে। তবে ফিচারগুলো চালু রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য রাউটারের সেটিংসে লগ ইন করুন। এরপর ফায়ারওয়াল ও ওয়াই-ফাই এনক্রিপশন ফিচার চালু রয়েছে কি না, তা দেখে নিতে হবে। ফিচারগুলো বন্ধ থাকলে চালু করে নিতে হবে। 

ডাব্লুএপিএ ৩ রাউটার কিনুন: ডাব্লুএপিএ ৩ হলো রাউটারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উন্নত নিরাপত্তা প্রোটোকল। এটি ওয়াইফাইয়ের নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। নতুন রাউটার কেনার সময় ওয়াইপিএ ৩-এর সমর্থন রয়েছে কি না, তা দেখতে হবে। 

ডিভাইসের ভ্যারিফিকেশন: নিজের রাউটারের ওয়াফাইয়ের সঙ্গে কোন কোন ডিভাইস যুক্ত, তা মাঝে মাঝে লক্ষ করতে হবে। কোনো ডিভাইস নিয়ে সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে। 

ভিপিএন ব্যবহার করুন: ভালো মানের ভিপিএন ব্যবহার করলে এটি হ্যাকারদের কাছ থেকে রাউটারের আইপি অ্যাড্রেস লুকিয়ে রাখবে। এছাড়া ওয়াইফাই ব্যবহার করে আপনি কী কী করছেন তাও জানতে পারবে না। অনেকেই যাচাই-বাছাই না করেই বিনা মূল্যের ভিপিএন ব্যবহার করেন, তা করা উচিত হবে না। কারণ এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

রাউটার ও ডিভাইসের সফটওয়্যারের আপডেট রাখুন: রাউটার ও সংযুক্ত ডিভাইসকে সুরক্ষা দিতে এবং ত্রুটি দূর করতে কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সফটওয়্যারের আপডেট দেয়। এগুলো ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। সেটিংস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেটের ফিচারটি চালু করে রাখুন।

আপনার রাউটারটি ২০১৮ সালের আগে কেনা হলে এতে ওয়াইপিএ ২-প্রযুক্তি থাকারই সম্ভাবনা বেশি।