img

ইসলামি বিশেষজ্ঞ ইউসুফ আল—কারজাভির ইন্তেকাল

প্রকাশিত :  ১৪:২০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

ইসলামি বিশেষজ্ঞ ইউসুফ আল—কারজাভির ইন্তেকাল

খ্যাতিমান ইসলামি ব্যক্তিত্ব ইউসুফ আল—কারজাভি ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। সারা বিশ্বে একজন ইসলামি বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

সুন্নি মুসলিমদের মধ্যে অত্যন্ত প্রভাবশালী ধর্মীয় পণ্ডিত আল—কারজাভি একজন মিসরীয়; থাকতেন কাতারে। তিনি ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্সের চেয়ারম্যান। পাশাপাশি ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের আধ্যাত্মিক নেতা।

আল—কারজাভির ইন্তেকালের বিষয়টি সোমবার তাঁর আনুষ্ঠানিক টুইটার অ্যাকাউন্টে ঘোষণা করা হয়।

বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয়ে নিয়মিত আলোচনা করার জন্য আল—জাজিরা অ্যারাবিকে আল—কারজাভি ছিলেন একজন পরিচিত মুখ। মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বিজয়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ২০১৩ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে মোহাম্মদ মুরসিও ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের একজন সদস্য। তাঁর প্রতি ছিল ব্রাদারহুডের ব্যাপক সমর্থন।

মিসরের প্রেসিডেন্ট মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আল—কারজাভি আর নিজ দেশে ফিরতে পারেননি। কেননা মিসরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল—সিসির  কর্মকাণ্ডের ঘোর বিরোধী ছিলেন আল—কারজাভি। 

মুসলিম ব্রাদারহুড মিসরভিত্তিক হলেও প্রতিবেশী দেশগুলোয় এর সক্রিয় শাখা রয়েছে। ২০১১ সালে মধ্যপ্রাচ্য অশান্ত হয়ে ওঠার পেছনে সংগঠনটির বড় ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। মিসরে আল—কারজাভির অনুপস্থিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন, বিচারসম্পন্ন ও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।


img

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা থামছেই না, নিহত বেড়ে প্রায় ৩৪৬০০

প্রকাশিত :  ০৪:২৯, ০৩ মে ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলা থামছেই না। গত ২৪ ঘন্টায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩৪ হাজার ৬০০ জনে।

এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৫৯৬ জনে। এছাড়া ইসরায়েলি বর্বর আক্রমণে আরও ৭৭ হাজার ৮১৬ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও ৫১ জন আহত হয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।’

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক অন্তর্বর্তী রায়ে এই আদালত তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।