img

সুনামগঞ্জে বাসা থেকে শিক্ষিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত :  ০৬:১৮, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

 সুনামগঞ্জে বাসা থেকে শিক্ষিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সুনামগঞ্জ শহরের জামতলার একটি ভাড়া বাসা থেকে উপজেলার মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সমাপ্তি পালের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার সুনামগঞ্জ পৌর শহরের জামতলায় দ্বিতল একটি বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষ থেকে সমাপ্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। তার পরিবার সিলেটের টিলাগড় এলাকায় থাকেন।

প্রতিবেশীরা জানান, স্কুল শিক্ষিকা একাই এ বাসায় থাকতেন। রোববার সকালে তার মামাতো ভাই এসে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর আশপাশের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশে খবর দেন।

মামাতো ভাই তপু পাল বলেন, ‘সকালে স্কুলে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে সমাপ্তির স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোন দেন। খোঁজ নিতে তার ভাড়া বাসায় এসে দেখি দরজা বন্ধ। খোলার চেষ্টা করার সময় দেখি দরজা টেবিল দিয়ে আটকানো এবং ভেতরে সমাপ্তির দেহ ঝুলছে।’

সমাপ্তির ছোট বোন বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে সমাপ্তি আমাকে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েছে। ঘুমে থাকায় ফোন ধরতে পারিনি। পরে সকালে তার মৃত্যুর খবর পাই।’

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, লাশের সুরতহাল শেষ হলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষে বাকি তথ্য জানা যাবে।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ১০

প্রকাশিত :  ১৫:১৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

হবিগঞ্জে হারুন আহমেদ হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আসামিদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মো. আজিজুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।  

মোট ৪৭ আসামির মধ্যে সাজার আদেশপ্রাপ্ত একজন পলাতক। সাজাপ্রাপ্ত বাকি ১৬ জনসহ ৩৮ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলা চলাকালে মারা গেছেন আটজন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি আসামিরা খালাস পেয়েছেন।   

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হুরগাঁও গ্রামের রফিক মিয়া, আব্বাস উদ্দিন, জাকির হোসেন, ফজল মিয়া, রুহুল আমিন মিলন, জালাল মিয়া ও কুতুব উদ্দিন।

 যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-জজ মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া, ইছাক মিয়া, জিয়াউর রহমান, কালাম মিয়া, কুতুব উদ্দিন, আব্দুল মতলিব, মিজাজ মিয়া, আয়াত আলী ও সায়েদ আলী। তাদের মধ্যে আয়াত আলী পলাতক।

বিকেলে সাড়ে ৫টায় হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে ২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হুরগাঁও গ্রামে সামাজিক বিচারক ও এলাকার মুরুব্বি হারুণ মিয়াকে রাস্তায় পথরোধ করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত হারুন মিয়ার ভাই সুমন আহমেদ ৪৭ জনের নামে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আদালতপাড়ায় সহস্রাধিক মানুষের ভিড় ছিল। পরে কঠোর নিরাপত্তায় আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।