img

বিরোধী দলের আন্দোলনে সরকারে বইছে সুবাতাস

প্রকাশিত :  ১৭:৫১, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

বিরোধী দলের আন্দোলনে সরকারে বইছে সুবাতাস

বিএনপি এবং তাদের সহযোগী অঙ্গ সংগঠনগুলো একের পর এক ঢাকা কেন্দ্রীক সভা সমাবেশ করেই যাচ্ছে। তাদের বিশ্বাস যদি ঢাকার লোকজনকে তাদের বক্তব্য দিয়ে খুশী করতে পারে তাহলেই সরকারের বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন সফল মনে করে তৃপ্তির ঢেকুর ফেলে একদিন তারা ঘরে ফিরে যেতে পারবে।  তারা যেসব ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করছে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে মূল্যহীন। 

গত ২১ জানুয়ারী ঢাকার পুরানা পল্টনে  গণফোরাম কার্য্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভায় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলে আগামী নির্বাচনকে  অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার দাবিতে দেশব্যাপী জনমত গঠনে কার্য্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ড. কামাল হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি, গ্যাস বিদ্যুৎ সহ জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে জনজীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ নেমে এসেছে। 

সংবাদের হেড লাইন দেখে আমি ভেবেছিলাম, ড. কামাল হোসেনের  বক্তব্যটি হয়তো নতুনত্ব দিয়ে একটা কিছু উপদেশ নিয়ে আসবে,  তাই মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখি, নাহ, সে তো জনাব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেরই হুবহু। দীর্ঘদিন থেকে বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে অথচ ড. কামাল হোসেনের নীরবতা আমাকে একটু ভাবিয়ে তুলেছিলো এ কারণে যে, তিনি অন্য কোন পন্থা বের করে সরকার হটানোর কোন একটা আল্টিমেটাম দেবেন কি না! যাতে তাঁর নেতৃত্বে গত নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী জোটের বন্ধুরা তাঁকে আবার বুকে টেনে নিয়ে আগের মতোই ইমামের মর্য্যাদা দিয়ে নেতৃত্বে বসাবেন। 

বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ গত নির্বাচনের সময়ে ড. কামাল হোসেনকে বিশ্বাস করে তাঁর উপর যে দায়িত্বভার অর্পন করেছিলেন তার প্রতিফল হিসেবে পেয়েছিলেন কপালে কলঙ্ক লেপন। যার খেসারত গত ১৪ বছর ধরে দিতে হচ্ছে বিএনপি’কে।  শুধু জোটের নেতৃবৃন্দরাই নন, তিনি তাদের জোটে আরও নিয়েছিলেন এক সময়ে সারা বাংলাদেশের গর্ব, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবীর বাঘা কাদের সিদ্দিকী এবং এক সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোর  ছাত্রলীগ নেতা সাবেক ভিপি বিশিষ্ট  আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকেও। তারা ড. কামাল হোসেনকে বিশ্বাস করে তার জোটে যোগ দিয়ে তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছেন।  বঙ্গবীর বাঘা কাদের সিদ্দিকী একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশবাসীর কাছে তিনি একজন শ্রদ্ধার পাত্র। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে তাঁর গভীর সম্পর্ক। কিছুদিন আগে স্বপরিবারে তিনি তাঁর বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে বিগত দিনে তার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। বঙ্গবীর সব সময়ই শেখ হাসিনাকে বোন হিসেবেই দেখে আসছিলেন, সেটা তিনি দেশবাসীর কাছে প্রমাণ দিলেন সেদিনের সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে। আমার সবচেয়ে ভালো লাগছে যে, এত বড় মাপের একজন মানুষ হয়েও তিনি নির্দ্ধিধায় তাঁর ভূলের কথা অকপটে স্বীকার করে নিলেন তাঁর বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে, এর চেয়ে বড় মনের মহৎ কাজ আর কি হতে পারে?  

ড. কামাল হোসেন এখন জনাব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সাথে সুর মিলিয়ে বক্তব্য দিয়ে কি আবারও তাদের দলে ভিড়তে চান? আমার মনে হয় তাদের কাছে আর তাঁর জায়গা হবেনা। কথায় আছে ’ন্যাড়া একবারই বেল তলায় যায়’। 

বিএনপি’র এই আন্দোলন এবং তাদের ইস্যুগুলো বিশ্বের সব দেশের নেতৃবৃন্দরাই গুরুত্ব দিয়ে পর্য্যবেক্ষণ করছেন। তারা ভালো করেই এখন বুঝতে পারছেন যে, বিএনপি যেসব ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করছে সেগুলো মূল্যহীন। তাদের ইস্যুগুলোতে— তারা যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে দেশ কিভাবে চালাবে, দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তারা কি কি কাজ করবে, দেশের উন্নয়নের কোন রূপরেখা নেই অথবা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের সাথে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক কেমন হবে তার কোন ব্যাখ্যা নেই। তাদের একটা লক্ষ্যই হলো ক্ষমতায় যাওয়া।

গত কয়েক মাসে বিশ্বের কয়েকটি দেশের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ যারা বাংলাদেশ সফর করে গেছেন, তারা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে তাদের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে গেছেন। 

গত ২১ জানুয়ারী ইউকেবিডিটিভি’তে প্রকাশিত খবরে প্রকাশ, উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পেঁৗছাতে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন) এক্সেল ভন টর্টসেনবার্গ। এ সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও প্রসংশা করেন তিনি। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক সভায় এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি। 

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপেরও প্রসংশা করেন। বাংলাদেশের উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের অভীষ্ট লক্ষ্যে পেঁৗছাতে বিশ্বব্যাংকের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। সভায় বিশ্বব্যাংকের খসড়া কান্ট্রিূ পার্টনারশীপ ফ্রেমওয়ার্ক (সিপিএফ) নিয়েও আলোচনা হয়। এক্সেল ভন টর্টসেনবার্গ জানান, সিপিএফ—এ বাংলাদেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। 

 এর আগে আইএমএফের উপ—ব্যবস্থাপনা পরিচালক অন্তোনিয়েতে মোনসিও সাইয়েহ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং উচ্চ আয়ের দেশে পি্রণত হতে চায়। এই আকাঙ্খা পূরণে আইএমএফ পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, আইএমএফ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করছে। আমি এই সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে এসেছি। 

 এছাড়াও জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডোনাল্ড লু । ১৪ জানুয়ারী রোববার রাতে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসন খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছে। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মুক্তভাবে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা এবং এক বা সম্মিলিত ভাবে মতামত, আইডিয়া কিংবা চিন্তা জনসমক্ষে শেয়ার করার স্বাধীনতার পক্ষেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। 

সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিে্বর বক্তব্যের মাঝামাঝি সালাম দিয়ে শুরু করা বক্তব্যে ডোনাল্ড লু বাংলায় বলেন, মনোমুগ্ধকর নদীমাতৃক এবং অতিথিপরায়ন মানুষের দেশ বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি এখানে এসেছি, আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে, যখন বিশ্ব শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম চলছে। 

একদিকে চলছে বিএনপি সহ তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোর আন্দোলন আর অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন সেক্টরের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একজন সৎ এবং ন্যায়পরায়ন, আরাম আয়েশকে প্রাধান্য না দিয়ে বরং দেশের মানুষের মানোন্নয়নে কাজ করে তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছার এক সংগ্রামী নেত্রী বলেই স্বীকার করে নিয়েছেন। এ কারনেই তারা সবাই বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে উত্তরণে সর্বাত্মক সাহায্য প্রদানের আশ্বাস দিয়ে গেছেন। 

বিএনপি যদি শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যায় তাহলে একদিন বিশ্বনেতৃবৃন্দের কাছে তারাও হয়তো বিরোধী দল হিসেবে উপযুক্ত সম্মান পাবে আর যদি বিশৃঙ্খলার পথে যায় তাহলে তারা হবে ধিকৃত। তাই বলছিলাম, বিরোধী দলের আন্দোলনের কারণে সুবাতাস বইছে আওয়ামী লীগে। শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগিতাও ততদিন থাকবে, ইহাই হচ্ছে বিশ্বনেতৃবৃন্দের ঘোষণা। 


img

আইনে শ্রমিকের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

প্রকাশিত :  ০৯:০৬, ০১ মে ২০২৪

আজ মহান মে দিবস। পৃথিবীর ইতিহাসে এই দিনটি উজ্জ্বল হয়ে আছে। শ্রমিকের মর্যাদা রক্ষা ও ন্যায্য পাওনা আদায় তথা অধিকার আদায়ের দিন আজ। শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম আর সংহতির দিন। ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে শ্রমিকেরা আট ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে জীবন দিয়েছিলেন। সেই আত্মদানের পথ ধরেই পৃথিবীর দেশে দেশে শ্রমজীবী মানুষ ন্যায্য মজুরি, অবকাশ, মানবিক আচরণ, স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ কর্মপরিবেশের দাবিতে এখনো আন্দোলন করছেন।

বাংলাদেশের শ্রমিকেরাও এর বাইরে নন। নিজেদের অধিকার আদায়ের দাবির পাশাপাশি এ দেশের শ্রমিকেরা প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদে আছে, ‘রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব হইবে মেহনতী মানুষকে—কৃষক ও শ্রমিককে এবং জনগণের অনগ্রসর অংশসমূহকে সকল প্রকার শোষণ হইতে মুক্তি দান করা।’ 

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও ন্যায্য দাবি আদায়ে শ্রমিকদের আন্দোলন করতে হচ্ছে, আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে জেল–জুলুমেরও শিকার হয়েছেন। পূর্বাপর সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে অধিকাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপুলসংখ্যক শ্রমিক বেকার হয়েছেন। যদিও সংশ্লিষ্ট খাতের সরকারি প্রতিষ্ঠানে যেসব পদাধিকারী ছিলেন, তাঁরা বহাল তবিয়তে আছেন।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, তার পেছনে শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। সরকার ও শিল্পমালিকেরা যদি এই উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে চান, তাহলে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি, চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের ঠকিয়ে কোনো শিল্প এগোতে পারে না। কিন্তু বাস্তবতা কী? দু–একটি ব্যতিক্রম ছাড়া বেশির ভাগ খাতের শ্রমিকেরা চরমভাবে বঞ্চিত। দিনরাত পরিশ্রম করেও অনেকে পরিবার–পরিজন নিয়ে ভালোভাবে বেঁচে থাকার ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছেন না। তৈরি পোশাকশিল্পসহ কয়েকটি খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরিকাঠামো থাকলেও মূল্যস্ফীতির কারণে তাঁদের প্রকৃত মজুরি কমে গেছে।

বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) চলতি অধিবেশনে পশ্চিমা দেশগুলো প্রশ্ন তুলেছে। শ্রম অধিকারচর্চা, শ্রমিকদের ওপর হামলা-নির্যাতন বন্ধসহ শ্রম আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছে তারা।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ন্যূনতম মজুরি সবচেয়ে কম বাংলাদেশে। শ্রমিকদের কম মজুরি দিয়ে এবং অনিরাপদ কর্মপরিবেশে উপযুক্ত কাজ আশা করা যায় না। যেসব দেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দ্রুত ও টেকসই উন্নতি করেছে, সেসব দেশের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরিও নিশ্চিত করা হয়েছে।

এবার মে দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’। স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হলে শ্রমিকদের জীবনমানও স্মার্ট করা জরুরি। দেশের অর্থনীতির সুষম বিকাশের স্বার্থে দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাপনের ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা প্রয়োজন। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতে যেসব শ্রমিক কাজ করছেন, তঁাদের সবার চাকরির নিশ্চয়তা থাকতে হবে।

বাংলাদেশে মে দিবস পালন তখনই সার্থক হবে, যখন শ্রমিকদের সব ধরনের শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্ত রাখা যাবে। মালিকদের মনে রাখতে হবে, শ্রমিকদের ঠকিয়ে শিল্পের বিকাশ বা বাড়তি মুনাফা করা যাবে না। শ্রমিক বাঁচলেই শিল্প বাঁচবে, আর শিল্প বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আশা করি, এই মনোভাব নিয়ে সরকার ও শিল্পমালিকেরা কাজ করবেন এবং শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট থাকবেন।



মতামত এর আরও খবর