img

পুঁজিবাজার কত নিচে যেতে পারে আমি দেখতে চাই : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১০:১৭, ২৯ মার্চ ২০১৯

পুঁজিবাজার কত নিচে যেতে পারে আমি দেখতে চাই : অর্থমন্ত্রী

জনমত রিপোর্ট ।। পুঁজিবাজার কত নিচে যেতে \r\nপারে আমি দেখতে চাই। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ। আপনারা নিজেদের ওপর বিশ্বাস \r\nরাখবেন। আমার ওপর বিশ্বাস রাখবেন। বাজারের ইন্ডেক্স কত হবে তা আমি বলবো না,\r\n ঠিক করে দিবে অর্থনীতি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা \r\nকামাল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন \r\nকেন্দ্রে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা কনফারেন্সে ২০১৯ এর প্রধান অতিথির \r\nবক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অতীতে আমার কোম্পানির (সিএমসি কামাল) শেয়ার দাম \r\nবেড়েছিল। কিন্তু আমার কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লে আমার কি লাভ। আমি তো \r\nকোম্পানির শেয়ার বিক্রি করি না। বিনিয়োগকারী আমাদের বিশ্বাস করে প্রচুর \r\nবিনিয়োগ করেছেন তাদের ওপর আস্থা রেখে আমি কিন্তু শেয়ার বিক্রি করিনি। এক \r\nসময় আমার শেয়ার দাম তিন হাজার টাকা হয়ে গেছে, আমি কয়েক হাজার কোটি টাকা \r\nমার্কেট থেকে নিতে পারতাম। তখন আমি একটা শেয়ার বিক্রি করিনি পরবর্তীতে \r\nসিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে অনুমতি নিয়ে আমার সব শেয়ার বিক্রি করেছি।\r\n কিন্তু আমি চাইলে অনেক প্রফিট করতে পারতাম। তবে সেটা হতো অন্যায়।

তিনি বলেন, আমরা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য মিথ্যা রটনার মাধ্যমে অন্যকে\r\n ঠকাই। নিজের পরিবারের সদস্যের মতো আর একজন ব্যবসায়ীকে ঠকায়, এটা ঠিক না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জন্য শিক্ষা নিতে হবে। \r\nপ্রথমে ঠিক করতে হবে আমরা কোথায় যাচ্ছি। এটা মাছ বাজার নয়, এটা কাঁচা \r\nবাজার নয়। এ বাজার আমাদের দ্বারাই পরিচালিত আমরাই খরিদ্দার আমরাই \r\nবিক্রেতা। আমাদের মধ্যে সবাই ভালো আমি বলবো না। এখানে কেউ কেউ আসে চিন্তা \r\nকরে কিভাবে কত তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়া যায়। এটা ঠিক না।

বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আমার ওপর বিশ্বাস করে \r\nবিনিয়োগ করবেন না। বুঝে বিনিয়োগ করবেন এবং বুঝে সমন্বয় করে বিনিয়োগ \r\nকরবেন।

তিনি বলেন, লাভবান কিছু মানুষ আছে কান কথা বলে। মিথ্যা কথা বলে। এটা না করে আমাদের সবাইকে মিলেমিশে লাভবান হতে হবে।

এ সময় বিনিয়োগকারীদের যাকাত দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম।

\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n

বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে \r\nকমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী, ড. স্বপন কুমার বালা এবং \r\nকামালুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

img

একদিনের ব্যবধানে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত :  ১৪:৪৩, ০৫ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:২১, ০৫ মে ২০২৪

একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ফের বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৭৩৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। কাল থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গতকাল শনিবার প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। ফলে দুদিনে ভরিতে সোনার দাম বাড়লো ১ হাজার ৭৮৫ টাকা। এই দাম বাড়ার আগে আট দফায় সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়।

এর মধ্যে ৩ মে ১ হাজার ৮৭৮ টাকা, ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা সোমবার (৬ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৫৯৫ টাকা বাড়িয়ে ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৫০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৪ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে ৪ মে ঘোষণা দিয়ে ৫ মে থেকে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৬৩ টাকা বাড়িয়ে ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭১২ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ৯৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

রোববার সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৪ হাজার ৯৮৯ টাকায় বিক্রি হয়।