প্রেস ব্রিফিংয়ে পিবিআই

img

অধ্যক্ষের নির্দেশে নুসরাতকে পোড়ানোর মিশনে অংশ নেয় ৫ জন

প্রকাশিত :  ১০:০৪, ১৩ এপ্রিল ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:১১, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

অধ্যক্ষের নির্দেশে নুসরাতকে পোড়ানোর মিশনে অংশ নেয় ৫ জন

জনমত রিপোর্ট ।। ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ড মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার নির্দেশে ঘটেছে বলে আজ শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।   

নুসরাত জাহান রাফীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় শাহাদত হোসেন শামীম। সে ছাড়াও এই ঘটনায় জড়িত ছিলো আরো দুইজন ছাত্র ও দুই ছাত্রী। এদের মধ্যেই একজন নুসরাতকে ছাদে ডেকে আনে।   

আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআইয়ের সদর দফতরে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।  সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে নুর উদ্দিন। ঘটনাটি পরিকল্পিত বলেও জানিয়েছেন তিনি। জবানবন্দিতে সে জানায়, অপারেশনে চারজন বোরখা পরিহিতের মধ্যে দুই জন ছেলে আর বাকি দুইজন মেয়ে ছিল। তারা সবাই ওই মাদরাসার শিক্ষার্থী।  মিশনে অংশ নেয়া চারজনের মধ্যে ছাত্রলীগ সভাপতি শাহদাত হোসেন শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর শম্পা বা চম্পা নামে যে ছিল সে বাইরে এসে বলছিল নুসরাতকে মারছে। সেই শম্পা বা চম্পাও গ্রেপ্তার হয়েছে।  সম্মেলনে পিবিআই আরো জানায়, এ ঘটনায় জড়িত মোট ১৩। এখন পর্যন্ত ৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। সিরাজ উদ দৌলার নির্দেশই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে শামীম ও নুর উদ্দিন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গতরাতে ধরা পড়া শামীম, এস এম সিরাজ উদ দৌলা, নুর উদ্দিন, কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, জুবায়ের আহম্মেদ, জাবেদ হোসেন এবং আফছার উদ্দিন। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

  গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত। সেদিনই নুসরাতকে পরীক্ষা কেন্দ্রের ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে ৪ জন বোরকা পরিহিত অবস্থায় ছিল। তারা মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ওই দিনই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচদিন পর ১০ এপ্রিল রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল রাতে অধ্যক্ষ ও পৌর কাউন্সিলরসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। 

img

দেশের ৫ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত :  ১৬:০২, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকাসহ পাঁচ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

জেলাগুলো হলো—ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলা। 

তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়েরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে এ পাঁচ জেলায় কিংবা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, এমন অন্যান্য জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে কিনা- সেই সিদ্ধান্ত সোমবার জানিয়ে দেওয়া হবে।

ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছুটি বাড়ানো হয়। সেই ছুটি শেষে আজ (রোববার) সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছিল। কিন্তু তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের পাঁচ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধের সিদ্ধান্ত এলো।