img

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউগিনি

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউগিনি

শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে পাপুয়া নিউগিনিতে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

অবশ্য ভূমিকম্পের জেরে সুনামির কোনও হুমকি দেখা দেয়নি। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে পাপুয়া নিউ গিনির উত্তরাঞ্চলে ৬.৫-মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, তবে সুনামির কোনও হুমকি নেই বলে মার্কিন ভূমিকম্পবিদরা জানিয়েছেন।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫৬ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নিউ ব্রিটেনের দ্বীপের কিম্বে থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার (৬৮ মাইল) পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে, ভূপৃষ্ঠের ৬৪ কিলোমিটার গভীরে।

এদিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সুনামির কোনো হুমকি নেই’। অবশ্য স্থানীয়ভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত মাসে পাপুয়া নিউ গিনিতে রিখটার স্কেলে শক্তিশালী ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভয়াবহ সেই ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত পাঁচজন নিহত ও সহস্রাধিক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। 

উল্লেখ্য, পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিকম্পের ঘটনা বেশ সাধারণ। এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত। এছাড়া টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে ঘর্ষণের কারণে ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের জন্য এই অঞ্চলটি একটি হটস্পট।

এর আগে গত মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপে পাপুয়া নিউগিনি। সেসময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির কিম্বে শহরের দক্ষিণ-পূর্বে গভীর রাতে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

এছাড়া গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। যদিও ভূমিকম্পের জেরে সেসময় সুনামির কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।

এর আগে গত বছরের এপ্রিলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটির একটি জঙ্গল ঘেরা এলাকায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়। আর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে দেশটিতে প্রাণ হারান ১০ জন।

তারও আগে ২০১৮ সালে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পাপুয়া নিউগিনিতে। সেসময় দেশটিতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায় এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


img

২৬ চীনা কোম্পানির তুলায় নিষেধজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত :  ১০:২৫, ১৭ মে ২০২৪

সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর বেইজিংয়ের কথিত গণহত্যা এবং উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করার অভিযোগ তুলে চীনের ২৬টি চীনা তুলা রপ্তানিকারী কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেজান্দ্রো মায়োরকাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নীতিগতভাবে গণহত্যাবিরোধী; আর আমাদের জাতির সরবরাহ চেইনে বাধ্যতামূলক শ্রমের মাধ্যতে তৈরি পণ্য প্রবেশ করবে— তা আমরা বরদাস্ত করব না।’

চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ে বসবাসকারী সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর বেইজিং নির্মম অত্যাচার করছে বলে গত কয়েক বছর ধরে অভিযোগ করে আসছে ওয়াশিংটন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় এই ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্কে ব্যাপকমাত্রায় টানাপোড়েন চলেছে।

চীনের কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে উইঘুর গণহত্যা এবং সেখানকার কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করার অভিযোগ করে আসছে ওয়াশিংটন। তবে বেইজিং বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

কাপড়ের সুতা তৈরির উপযোগী তুলা উৎপাদনের জন্য জিনজিয়াং বিখ্যাত। যে ২৬ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর সবই জিনজিয়াংভিত্তিক। এগুলোর মধ্যে ৫টি জিনজিয়াং থেকে তুলা কেনা এবং বাকি ২১টি সেই তুলা যুক্তরাষ্ট্রের পাইকারি বাজারে রপ্তানি করে।

বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে আলেজান্দ্রো মায়োরকাস জানিয়েছেন, উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট (ইউএফএলপিএ) নামের একটি মার্কিন আইনের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে এ পদক্ষেপ। এই আইনের আওতায় এর আগে ২০২১ সালে মার্কিন আমদানিকারকদের জিনজিয়াং থেকে তুলা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারির পর তাকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন পার্লামেন্টের কয়েকজন জনপ্রতিনিধি। তাদের মধ্যে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান— উভয় দলের সদস্যর রয়েছেন।

অন্যদিকে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে অসন্তোষ জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কতিপয় রাজনীতিবিদ দীর্ঘদিন ধরে জিনজিয়াংয়ের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ সেই প্রচেষ্টার অংশ।’