img

মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার হুমকি ইরানের

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ১৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৫৭, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার হুমকি ইরানের

এবার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার হুমকি দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যেসব দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, তাদের আকাশসীমা বা ভূখণ্ড যদি ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয় তাহলে ওই ঘাঁটিতে নিশ্চিত হামলা হবে। খবর তাসনিম নিউজের।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান রোববার তেহরানে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন।  এ সময় তিনি ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি দূতাবাসের কনস্যুলার সেকশনে ইসরাইলি বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে রোববার ভোরে ইরান যে শাস্তিমূলক মিশন 'অপারেশন ট্রু প্রমিজ' চালিয়েছে তার ব্যাখ্যা দেন।

তিনি বলেন, অভিযানের প্রায় ৭২ ঘণ্টা আগে আঞ্চলিক দেশগুলোতে থাকা ইরানের বন্ধুদের জানানো হয়েছিল, আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার অনুযায়ী ইরান অবশ্যই ইসরাইলকে জবাব দেবে।

এ অঞ্চলের নিরাপত্তায় ইরান যে গুরুত্ব দেয় তা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আঞ্চলিক দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে এমন ভাই ও বন্ধুদের জানিয়েছি, আমাদের বৈধ প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসরাইলি সরকারকে শুধু শাস্তি দেওয়া।

এরপর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরান মার্কিন ঘাঁটি স্থাপনকারী দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তাদের আকাশসীমা বা মাটি যদি ইহুদিবাদী সরকারকে রক্ষা বা সমর্থন দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করে তবে ওই দেশগুলোতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে অনিবার্যভাবে আঘাত হানা হবে।

img

২৬ চীনা কোম্পানির তুলায় নিষেধজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত :  ১০:২৫, ১৭ মে ২০২৪

সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর বেইজিংয়ের কথিত গণহত্যা এবং উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করার অভিযোগ তুলে চীনের ২৬টি চীনা তুলা রপ্তানিকারী কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেজান্দ্রো মায়োরকাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নীতিগতভাবে গণহত্যাবিরোধী; আর আমাদের জাতির সরবরাহ চেইনে বাধ্যতামূলক শ্রমের মাধ্যতে তৈরি পণ্য প্রবেশ করবে— তা আমরা বরদাস্ত করব না।’

চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ে বসবাসকারী সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর বেইজিং নির্মম অত্যাচার করছে বলে গত কয়েক বছর ধরে অভিযোগ করে আসছে ওয়াশিংটন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় এই ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্কে ব্যাপকমাত্রায় টানাপোড়েন চলেছে।

চীনের কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে উইঘুর গণহত্যা এবং সেখানকার কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করার অভিযোগ করে আসছে ওয়াশিংটন। তবে বেইজিং বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

কাপড়ের সুতা তৈরির উপযোগী তুলা উৎপাদনের জন্য জিনজিয়াং বিখ্যাত। যে ২৬ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর সবই জিনজিয়াংভিত্তিক। এগুলোর মধ্যে ৫টি জিনজিয়াং থেকে তুলা কেনা এবং বাকি ২১টি সেই তুলা যুক্তরাষ্ট্রের পাইকারি বাজারে রপ্তানি করে।

বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে আলেজান্দ্রো মায়োরকাস জানিয়েছেন, উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট (ইউএফএলপিএ) নামের একটি মার্কিন আইনের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে এ পদক্ষেপ। এই আইনের আওতায় এর আগে ২০২১ সালে মার্কিন আমদানিকারকদের জিনজিয়াং থেকে তুলা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারির পর তাকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন পার্লামেন্টের কয়েকজন জনপ্রতিনিধি। তাদের মধ্যে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান— উভয় দলের সদস্যর রয়েছেন।

অন্যদিকে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে অসন্তোষ জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কতিপয় রাজনীতিবিদ দীর্ঘদিন ধরে জিনজিয়াংয়ের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপ সেই প্রচেষ্টার অংশ।’