img

ভাষানটেকে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ০৭:৫৭, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:০৯, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

ভাষানটেকে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

রাজধানীর ভাষানটেকে গ‍্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ মো. লিটন (৫২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লিটন। এ ঘটনায় দুই নারীসহ মোট তিনজনের মৃত্যু হলো। 

লিটনের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম থানার চান্দগাও গ্রামে। তিনি ওই এলাকার আলী নেওয়াজের ছেলে। 

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, মিরপুরের ভাষানটেক থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী শিশুসহ ছয়জনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে লিটন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে আজ সকালে মারা যান। তার শরীরের ৬৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

তিনি বলেন, একই ঘটনায় লামিয়ার (৭) শরীর ৫৫ শতাংশ, লিজার (১৮) শরীর ৩০ শতাংশ ও সুজনের (৮) শরীর ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়। তারা সবাই বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। শরীরের বেশি অংশ পুড়ে যাওয়ায় তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোরের দিকে ভাষানটেকের ১৩ নম্বর কালবাট রোড এলাকায় কয়েল ধরতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুন ধরে যায়। পরে ভোর সোয়া ৫টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় ছয়জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। 

পরে শনিবার (১৩ এপ্রিল) মেহেরুন্নেছা (৬৫) নামের দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু হয়। রোববার (১৫ এপ্রিল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সূর্য বানু (৩০) নামের আরেক নারী। 

img

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ডাকা অর্ধদিবস অবরোধ চলছে

প্রকাশিত :  ০৫:০৩, ২০ মে ২০২৪

পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কর্মী ও এক সমর্থককে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে  খুনিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে রাঙামাটির লংগদুতে অর্ধদিবস অবরোধ চলছে। 

সোমবার (২০ মে) সকাল ৬টা থেকে ইউপিডিএফের অবরোধ শুরু হয়।

অবরোধের প্রভাবে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অবরোধ সমর্থনে রাঙামাটি শহরে কোনো ধরনের পিকেটিং চোখে না পড়লেও রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কুতুকছড়ি, ঘিলাছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ কর্মীরা অবস্থান নিয়ে রাস্তায় গাছ জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এসময় রাস্তায় কিছু পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে। তবে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (১৮ মে) সকালে লংগদুতে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যা ধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এই ঘটনায় ইউপিডিএফ সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। তবে সংগঠনটির নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে এটি ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দের বহিঃপ্রকাশ বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে।