img

ছেলেকে পাশে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে রূপাঞ্জনা

প্রকাশিত :  ০৫:৩৩, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৪৫, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ছেলেকে পাশে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে রূপাঞ্জনা

গেল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গোধূলি লগ্নে পরিচালক প্রেমিক রাতুল মুখার্জির সাতপাকে বাঁধা পড়েন টলিউড অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। দীর্ঘদিনের লিভ-ইন সম্পর্কের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তিনি। অভিনেত্রীর বিয়েতে হাজির ছিলেন তার একমাত্র ছেলে রিয়ান। ছেলেকে পাশে রেখেই সাতপাক, শুভদৃষ্টি, সিঁদুর দান সবই সম্পন্ন করেন রূপাঞ্জনা।


এর আগে ২০০৭ সালে রিজাউল হককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। এটি রূপাঞ্জনার দ্বিতীয় বিয়ে। ভিন্ন ধর্মের বলে বাড়ির অমতেই বিয়ে করতে হয় রূপাঞ্জনাকে। সে সময় দু’জনের ঘর আলো করে জন্ম নেয় পুত্র রিয়ান। 

প্রথমবার ভালবেসে বিয়ে করলেও সংসার করতে পারেননি আনন্দে। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীনই প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরে তাদের মাঝে। পরে ২০১৭ সালে আইনিভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাদের। 

এরপরই রাতুল মুখার্জির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রূপাঞ্জনা। প্রায় ৬ বছরের লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন এই জুটি। ছেলে রিয়ানও মায়ের কাছেই বেড়ে উঠেছেন। রাতুলের সঙ্গেও তার বেশ ভালো সম্পর্ক। 

বয়সে অভিনেত্রীর চেয়ে ছয় বছরের ছোট রাতুল। যে কারণে এই পরিচালকের সঙ্গে প্রেম নিয়ে কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি রূপাঞ্জনাকে। কিন্তু বয়সের ফারাক তাদের সম্পর্কের মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি কখনও। 


এক সাক্ষাৎকারে রূপাঞ্জনা মিত্র বলেছিলেন— ‘আমি মিষ্টি একটি সম্পর্কে রয়েছি। এই সম্পর্ক আমার কাছে খুবই বিশেষ। রাতুল এবং আমার বয়সের ফারাক রয়েছে ঠিকই। তবে বয়স অনুপাতে ও অনেক ম্যাচিওর। এই সম্পর্ক পূর্ণতা পাক সেটা আমি চাই। বিয়ে করতেও আমার আপত্তি নেই।’

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিরিকের ডন বস্কো চার্চে আংটি বদলটা সেরেছিলেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। চলতি মাসেই সেরে নিলেন বিয়ে। বিয়েতে লাল রঙের পাঞ্জাবী গায়ে মায়ের পাশে ছিলেন রিয়ান। বেশ হাসিখুশিই দেখা মিলেছে তাদেরকে।

‘পালক’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালনায় হাতেখড়ি হয় রাতুল মুখার্জির। এ সিনেমায় শাশ্বত চ্যাটার্জি ও রূপাঞ্জনা মিত্র প্রধান চরিত্রে দেখা যায়। ‘বাঘ বন্দি খেলা’ শিরোনামের টিভি সিরিয়ালে যুক্ত ছিলেন রাতুল।

img

সাহিত্যসভায় বিব্রত মাহিরা খান

প্রকাশিত :  ১২:৩৪, ১৮ মে ২০২৪

সম্প্রতি দেশটির এক সাহিত্যসভায় যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী মাহিরা খান। সেখানেই তাকে অশোভনীয় একটি ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। ফলশ্রুতিতে রাগে ফেটে পড়েন অভিনেত্রী। দর্শকাসনে বসে থাকা কিছু লোক তাকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন জিনিসপত্র ছুঁড়তে থাকেন। বিরক্ত হয়ে মঞ্চ থেকেই প্রতিবাদ জানান এই অভিনেত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তানে একটি সাহিত্য সভায় যোগ দিতে যান মাহিরা খান। সেখানেই মঞ্চে বসেছিলেন অভিনেত্রী। তখন দর্শকাসন থেকে তার দিকে ছোঁড়া হয়ে বেশ কিছু জিনিস। তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করেন অভিনেত্রী। বিরক্ত হয়ে মাহিরা বলেন, ‘এটা কিন্তু গ্রহণযোগ্য নয়।’ এ ঘটনায় রীতিমতো ভয় পেয়ে যান মাহিরা। তবে একটি সিদ্ধান্তও নিয়েছেন এর প্রেক্ষিতে।

এ দিনের অনুষ্ঠানের ভিডিও শেয়ার করে হতাশার সঙ্গে লেখেন, ‘মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন কোনও কিছুই ছোঁড়া ঠিক নয়। কাগজে মোড়ানো ফুল হলেও তা মঞ্চে ছোঁড়া যায় না। পুরো ঘটনাটা খুব ভুল একটা নজির স্থাপন করেছে, এটা কখনও মেনে নেওয়া যায় না।’

অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘এ ঘটনায় আমি সত্যিই খুব ভয় পেয়ে যাই। না, শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যদের কথা ভেবেও। আমার মতো এ পরিস্থিতিতে অন্য কাউকেও তো পড়তে হতে পারে!’ তবে এ ঘটনার পরও মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যাননি তিনি। ভালোবাসায় বিশ্বাসী মাহিরা- হয়তো তাই। সেদিন অনুষ্ঠানে প্রায় ১০ হাজার দর্শক হাজির ছিলেন।

মাহিরা এ দিনের ঘটনার পর ঠিক করেছেন, এ রকম আরও অনুষ্ঠান তিনি করবেন। কারণ হিসেবে মাহিরা বলেন, ‘পাকিস্তানের অনেক শহরে এ ধরনের অনুষ্ঠানের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ আপনি যত বেশি সব কিছু নিয়ে আলোচনা করবেন, ততই আপনি সচেতন এবং শিক্ষিত হবেন। ততই আমাদের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও বোঝাপড়া আরও বাড়বে। কারণ এখনো ঐক্যবদ্ধতার অভাব রয়েছে। এ ধরনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠবে।’