ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে জনসনের সমালোচনা করলেন ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ব্রেক্সিট চুক্তির সমালোচনা করেছেন । তিনি বলেন, এই চুক্তির ফলে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভবিষ্যতে বাণিজ্য কঠিন হয়ে পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের। এছাড়া লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের সমালোচনাও করেছেন তিনি।
দীর্ঘ টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার পর সম্প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইইউ-জনসন সমঝোতা হলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তা অনুমোদন পায়নি। পার্লামেন্ট প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিলেও জনসনের পক্ষ থেকে আলোচনা তিন দিনের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার যে প্রস্তাব তোলা হয়,তা ৩২২-২০৮ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। ফলে জনসনকে তাকিয়ে থাকতে হয় ইইউর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। সোমবার ইইউ-এর পক্ষ থেকে ব্রেক্সিট কার্যকরের পূর্বনির্ধারিত সূচি ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ মাস বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।
ট্রাম্পের দাবি, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে চাই এবং তারা আমাদের সঙ্গে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সত্যি বলতে কি এই চুক্তির কারণে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক সীমিত হয়ে পড়বে।
এদিকে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের হস্তক্ষেপের চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন। তাকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি (করবিন) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খুবই খারাপ হবেন।’
ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে চলতি বছরের মে মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন থেরেসা মে। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন। আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন তিনি। প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নেরও ইঙ্গিত দেন জনসন। পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ব্রেক্সিট কার্যকরের সময় বাড়াতে আবেদন করে যুক্তরাজ্য।