img

ব্রেক্সিট পার্টির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন বরিস জনসন

প্রকাশিত :  ১৬:৫৪, ০২ নভেম্বর ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:০১, ০২ নভেম্বর ২০১৯

ব্রেক্সিট পার্টির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন বরিস জনসন

জনমত ডেস্ক: আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ ও ব্রেক্সিট পার্টির জোটগতভাবে কাজ করার প্রস্তাব নাকচ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সাম্প্রতিক এক রেডিও অনুষ্ঠানে ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলাপচারিতায় দুই দলের এক হয়ে লড়াই করার প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। ট্রাম্প ও নাইজেল দুইজনই জোটগত লড়াইয়ের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে ‘এই উপদেশের জন্য কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেন জনসন। তবে জোটগত নির্বাচনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।

দীর্ঘ টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার পর সম্প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইইউ-জনসন সমঝোতা হলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তা অনুমোদন পায়নি। পার্লামেন্ট প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিলেও জনসনের পক্ষ থেকে আলোচনা তিন দিনের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার যে প্রস্তাব তোলা হয়,তা ৩২২-২০৮ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। ফলে জনসনকে তাকিয়ে থাকতে হয় ইইউর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। পরে ইইউ-এর পক্ষ থেকে ব্রেক্সিট কার্যকরের পূর্বনির্ধারিত সূচি ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ মাস বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, কনজারভেটিভ পার্টির মতো করে নাইজেল ফারাজের ব্রেক্সিট পার্টিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে সরব। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেরেমি করবিনের লেবার পার্টিকে হারাতে সমমনা কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে সমঝোতার মধ্য দিয়ে নির্বাচনে লড়াই করবে ব্রেক্সিট পার্টি। শোনা যাচ্ছে, কনজারভেটিভ পার্টির জয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কোনও আসনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে দলটি। তবে এজন্য তারা জনসনের প্রস্তাবিত চুক্তি বাতিল চায়। তবে নির্বাচনের সময় কনজারভেটিভ পার্টির সঙ্গে চুক্তি করতে চায় ব্রেক্সিট পার্টি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, জনসন ও নাইজেল এক হয়ে নির্বাচনে ‘অদম্য শক্তি’ হবে। অবশেষে এক হওয়ার ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন জনসন।

ডাউনিং স্ট্রিট সূত্র জানিয়েছে, কনজারভেটিভ পার্টি ব্রেক্সিট পার্টির সঙ্গে কাজ করার মতো কোনও পরিকল্পনা নেই। সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনও পার্টির সঙ্গে চুক্তি করার সমস্যা হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে জেরেমি করবিনকে ১০ নং-এ (ডাউনিং স্ট্রিট) যেতে দেওয়ার ঝুঁকি নেওয়া। ওইটার (নির্বাচনকালীন চুক্তি) সমস্যা হচ্ছে যে তার (করবিন) পরিকল্পনা হচ্ছে মূলত ব্রেক্সিটকে বিলম্ব ও অনিশ্চিত করা।’

সম্প্রতি ফারাজ খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি বাতিল করে সমমনাদের নিয়ে জোট গঠনে আহ্বান জানান। সে সময় তিনি ব্রেক্সিট পার্টির সমঝোতা না করলে নির্বাচনে একক প্রার্থী দেওয়ার হুমকি দেন। তবে ওই নির্বাচকালীন চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বরিস জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই কনজারভেটিভ সরকারকে ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দেওয়ার মানে হচ্ছে মূলত করবিনকে নির্বাচিত করা।’

ব্রেক্সিট এর আরও খবর

img

অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি স্টেলার আহ্বান

প্রকাশিত :  ০৭:৩১, ০৭ জানুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লন্ডনের আদালতে উইকিলিকস-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তার জীবনসঙ্গী স্টেলা মরিস। বুধবার (৬ জানুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সালের এপ্রিলে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। ওইদিনই তাকে জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন ব্রিটিশ আদালত। এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কম্পিউটার হ্যাক ও গুপ্তচর আইন লঙ্ঘনসহ ১৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার (৪ জানুয়ারি) লন্ডনের একটি আদালতে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণসংক্রান্ত মামলার রায় দেওয়া হয়। বলা হয়, তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই সপ্তাহের মধ্যে আইনি যুক্তি উপস্থাপনের কথা জানিয়েছে তারা।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেন তার জীবনসঙ্গী স্টেলা মরিস। জামিন খারিজ হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি প্রচণ্ড হতাশার। জুলিয়ানের বেলমার্শ কারাগারে থাকা ঠিক হবে না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আমি আইন বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা জুলিয়ানকে ক্ষমা করে দেয়।’

এর আগে গত এপ্রিলেও অ্যাসাঞ্জের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন স্টেলা মরিস। জামিন আবেদনের সঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে কীভাবে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছিল তাও প্রকাশ করেছিলেন এ আইন গবেষক। মরিস জানান, অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে তার দেখা হয় ২০১১ সালে। তখন তাকে সুইডিশ আইন তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে বলা হয়েছিল। মরিস বিবৃতিতে লিখেছিলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জুলিয়ান ও আমার মধ্যে ভালো রকমের বুদ্ধিভিত্তিক ও আবেগী বন্ধন গড়ে ওঠে। আমরা একে অপরের সেরা বন্ধুতে পরিণত হই।’

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বন্ধুত্ব জোরালো হতে থাকে উল্লেখ করে মরিস জানান, তাদের দুই জনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে ২০১৫ সাল থেকে। লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকার সময় তাদের দুটি সন্তানও হয়। তাদের একজনের নাম গ্যাব্রিয়েল, অপরজনের নাম ম্যাক্স। অ্যাসাঞ্জ যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা থেকে সন্তানদের আড়াল রাখতে চেয়েছিলেন বলে তখন জানান এ আইন বিশেষজ্ঞ।

ব্রেক্সিট এর আরও খবর