img

ব্রেক্সিট ও নির্বাচন: জনসন ও ফারাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বললেন ট্রাম্প

প্রকাশিত :  ০৭:২৩, ০৪ নভেম্বর ২০১৯

ব্রেক্সিট ও নির্বাচন: জনসন ও ফারাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বললেন ট্রাম্প

জনমত ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশটির দুই কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিককে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই দুই রাজনীতিক হলেন যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ নেতা বরিস জনসন এবং ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজ। রবিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি তাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার তাগিদ দেন। ব্রেক্সিট ইস্যুতে ডানপন্থী এ দুই রাজনীতিকের অবস্থান মোটাদাগে অভিন্ন। দুইজনই যত দ্রুত সম্ভব ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যকে বের করে নিতে চান।

 ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ব্রেক্সিট কার্যকরের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পর ওয়াশিংটন ও লন্ডনের মধ্যকার সম্প্রসারিত বাণিজ্যিক সম্ভবনার সুরক্ষায় এ দুই নেতার ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন।

সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, বরিস জনসন ও নাইজেল ফারাজ; উভয়েই তার বন্ধু। তবে এই মুহূর্তে বরিস জনসনই যথার্থ ব্যক্তি।

যুক্তরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে কাকে সমর্থন দেবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, তাদের দুইজনকেই আমি পছন্দ করি। আমি মনে করি বরিস জনসনই ঠিক আছে। উভয়েই আমার বন্ধু। আমি বলতে চাইছি, তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। আমি মনে করি এমন সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অব্যাহত বাণিজ্য সহজীকরণের জন্য ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের প্রস্থান অবশ্যই কাঠামোগত হতে হবে। দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আরও অনেক বেশি ব্যবসা করতে পারি।

যুক্তরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে জনসন ও ফারাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে ট্রাম্পের আহ্বান এটাই প্রথম নয়। এর আগে সাম্প্রতিক এক রেডিও অনুষ্ঠানে ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজের সঙ্গে ট্রাম্পের আলাপচারিতায় দুই দলের এক হয়ে লড়াই করার প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। ট্রাম্প ও নাইজেল দুইজনই জোটগত লড়াইয়ের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। ট্রাম্প বলেন, বরিস জনসন এই সময়ে যুক্তরাজ্যের জন্য উপযুক্ত প্রধানমন্ত্রী এবং যদি ব্রেক্সিট পার্টি জনসনের সঙ্গে জোট বাধে তাহলে তারা হবে অপ্রতিরোধ্য। পরে সেই প্রসঙ্গ টেনে ‘এই উপদেশের জন্য কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেন জনসন। তবে নাইজেল ফারাজের সঙ্গে জোটগত নির্বাচনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন বরিস জনসন।

অন্যদিকে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে যুক্তরাজ্য অবনতির দিকে যাবে। তার ওই মন্তব্যের সমালোচনা করে করবিন বলেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে ট্রাম্পের মাথা ঘামানোর কিছু নেই। সূত্র: রয়টার্স।

ব্রেক্সিট এর আরও খবর

img

অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি স্টেলার আহ্বান

প্রকাশিত :  ০৭:৩১, ০৭ জানুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লন্ডনের আদালতে উইকিলিকস-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তার জীবনসঙ্গী স্টেলা মরিস। বুধবার (৬ জানুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সালের এপ্রিলে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। ওইদিনই তাকে জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন ব্রিটিশ আদালত। এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কম্পিউটার হ্যাক ও গুপ্তচর আইন লঙ্ঘনসহ ১৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার (৪ জানুয়ারি) লন্ডনের একটি আদালতে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণসংক্রান্ত মামলার রায় দেওয়া হয়। বলা হয়, তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই সপ্তাহের মধ্যে আইনি যুক্তি উপস্থাপনের কথা জানিয়েছে তারা।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেন তার জীবনসঙ্গী স্টেলা মরিস। জামিন খারিজ হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি প্রচণ্ড হতাশার। জুলিয়ানের বেলমার্শ কারাগারে থাকা ঠিক হবে না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আমি আইন বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা জুলিয়ানকে ক্ষমা করে দেয়।’

এর আগে গত এপ্রিলেও অ্যাসাঞ্জের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন স্টেলা মরিস। জামিন আবেদনের সঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে কীভাবে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছিল তাও প্রকাশ করেছিলেন এ আইন গবেষক। মরিস জানান, অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে তার দেখা হয় ২০১১ সালে। তখন তাকে সুইডিশ আইন তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে বলা হয়েছিল। মরিস বিবৃতিতে লিখেছিলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জুলিয়ান ও আমার মধ্যে ভালো রকমের বুদ্ধিভিত্তিক ও আবেগী বন্ধন গড়ে ওঠে। আমরা একে অপরের সেরা বন্ধুতে পরিণত হই।’

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বন্ধুত্ব জোরালো হতে থাকে উল্লেখ করে মরিস জানান, তাদের দুই জনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে ২০১৫ সাল থেকে। লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকার সময় তাদের দুটি সন্তানও হয়। তাদের একজনের নাম গ্যাব্রিয়েল, অপরজনের নাম ম্যাক্স। অ্যাসাঞ্জ যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা থেকে সন্তানদের আড়াল রাখতে চেয়েছিলেন বলে তখন জানান এ আইন বিশেষজ্ঞ।