’ট্রাফিকের গায়ে ক্যামেরা থাকবে, অনৈতিক সুবিধায় ব্যবস্থা’

প্রকাশিত :  ০৭:৩৪, ০৪ নভেম্বর ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:১৫, ০৪ নভেম্বর ২০১৯

’ট্রাফিকের গায়ে ক্যামেরা থাকবে, অনৈতিক সুবিধায় ব্যবস্থা’

জনমত ডেস্ক: ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ নিয়ে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কেউ অবৈধভাবে সুবিধা নিতে চাইলে, মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা নিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রত্যেক ট্রাফিকের গায়ে ক্যামেরা লাগানো থাকবে। মামলা দেওয়ার সময় ছবি তোলতে হবে। ছবি না তোলা থাকলে সেই ট্রাফিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ নিয়ে মিডিয়া ব্রিফিংকালে ডিএমপি কমিশনার এসব তথ্য জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ট্রাফিক আইন নিয়ে কেউ সুবিধা নিতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন কার্যকরের আগে কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ করেছে ডিএমপি। সচেতন করা হচ্ছে, প্রচারণা চালানো হচ্ছে, লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে মামলা-জরিমানার নতুন পদ্ধতি কার্যকর করা হবে।

‘নতুন আইনে সাজা বাড়ানো হয়েছে। সাজার ভয়ে আইন মানবে মানুষ। চালকদের পয়েন্ট সিস্টেম রাখা হয়েছে। চালকদের পয়েন্ট কমতে থাকলে একটা পর্যায় লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। সেই চালক আর পরে লাইসেন্স নিতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, আইন পুরোদমে বাস্তবায়ন শুরু হলে সড়কের ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। সব মামলা সার্ভারে জমা হবে। ট্রাফিকের কেউ আইন অমান্য করলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথমবার কেউ অমান্য করলে অল্প জরিমানা করা হবে। পরেরবার তাকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে লিফলেটও দেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেসব সড়কে ফুটওভার ব্রিজ নেই সেখানে পথচারীদের সড়ক পারাপারে সহযোগিতা করবে ট্রাফিক পুলিশ। আর যেসব সড়কের ফুটওভার ব্রিজ আছে সেখানে ব্রিজ ব্যবহার না করা হলে পথচারীদের শাস্তি দেওয়া হবে।


ডিপফেক ভিডিও থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ১০:১৪, ২৮ মার্চ ২০২৪

বিজ্ঞানের উৎকর্ষকালে প্রযুক্তি যেমন মানুষের উপকার করছে, তেমনি কিছু প্রযুক্তি মানুষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি প্রযুক্তি হলো ডিপফেক প্রযুক্তি বা ডিপফেক ইন্টেলিজেন্সি।

অনেকে ডিপফেক এআইকে একুশ শতকের ফটোশপিং বলে থাকে। সহজ ভাষায় ডিপফেক হলো এআই নির্ভর এমন এক প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে যেকোনো ভিডিও, ছবি এবং অডিও রেকর্ডিংয়ে বিশ্বাসযোগ্যভাবে মানুষের মুখমণ্ডল বা কণ্ঠস্বর নকল করা যায়।

দিন দিন বাড়ছে ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহারের সংখ্যা। প্রথম প্রথম বিশ্বের নামকরা সেলিব্রিটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ডিপফেক ইন্টেলিজেন্সি দিয়ে তৈরি নকল ভিডিও দ্বারা হেনস্তার শিকার হন।

ডিপফেক প্রযুক্তি থেকে নিজের ডেটার সুরক্ষার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। সেগুলো উঠে এসেছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে। 

১. যতদূর সম্ভব নিজের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রাইভেসি সেটিংসগুলো সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। 

২. শক্তিশালী ও অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইন অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। ফলে ছবি ও ভিডিওগুলোয় অননুমোদিত অ্যাকসেস লাভ করা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে এবং ডিপফেক প্রযুক্তি দিয়ে নিজের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের সম্ভাবনা কমে যায়। 

৩. কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডেটা ও ছবি চুরি করতে পারে। এসব ডেটা ও ছবি দিয়ে ডিপফেক কনটেন্ট তৈরি করে হ্যাকাররা। এজন্য কম্পিউটারে ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। এভাবে ব্যক্তিগত মিডিয়াতে ক্ষতিকারক টুলগুলোর অ্যাকসেস পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

৪. ডিপফেক কনটেন্টের সাধারণ লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। যদি কোনো ভিডিও, ছবি ও কণ্ঠ খুবই নিখুঁত বা অবাস্তব বলে মনে হয় তবে এটি শেয়ার করা বা বিশ্বাস করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে এ ধরনের কারসাজি ভিডিও শনাক্ত করা যাবে। 

৫. নিজের ছবি ও ভিডিওতে জলছাপ বা ওয়াটারমার্ক যুক্ত করুন। এসব ওয়াটারমার্ক অনেক সময় সম্পূর্ণ মুছে ফেলা যায় না। আর সম্পূর্ণ মুছে ফেলার সময় ছবি ও ভিডিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে এসব ছবি ও ভিডিও দিয়ে ডিপফেক তৈরি কঠিন হয়ে পড়ে। জলছাপ একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে।

৬. নিজের ফাইলগুলোয় মেটাডেটা সঠিকভাবে এম্বেড করা হয়েছে নাকি তা নিশ্চিত করতে হবে। মেটাডেটা হলো ফাইল সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক তথ্য। যেমন- কে তৈরি করেছে, কবে তৈরি করা হয়, কোথায় তৈরি হয়েছে, কবে এডিট করা হয়েছে, টাইটেল ইত্যাদি। মিডিয়া ফাইল ব্যবহার নিয়ে বিরোধ বা দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে এটি মালিকানার প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে। 

তবে এসব পদ্ধতি নিজের ডেটা সুরক্ষা দেবে তার শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।