নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না ব্রেক্সিট পার্টির নেতা ফারাজ
জনমত ডেস্ক: ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না ব্রিটেনের ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজ । প্রার্থী না হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ব্রেক্সিট চুক্তির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রচারণা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
দীর্ঘ টানাপড়েন আর অনিশ্চয়তার পর সম্প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে ইইউ-জনসন সমঝোতা হলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তা অনুমোদন পায়নি। পার্লামেন্ট প্রস্তাবিত খসড়া নিয়ে আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিলেও জনসনের পক্ষ থেকে আলোচনা তিন দিনের মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার যে প্রস্তাব তোলা হয়,তা ৩২২-২০৮ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। ফলে জনসনকে তাকিয়ে থাকতে হয় ইইউর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। পরে ইইউ-এর পক্ষ থেকে ব্রেক্সিট কার্যকরের পূর্বনির্ধারিত সূচি ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ মাস বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।
সম্প্রতি ফারাজ খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি বাতিল করে সমমনাদের নিয়ে জোট গঠনে আহ্বান জানান। সে সময় তিনি ব্রেক্সিট পার্টির সমঝোতা না করলে নির্বাচনে একক প্রার্থী দেওয়ার হুমকি দেন। তবে ওই নির্বাচকালীন চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বরিস জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই কনজারভেটিভ সরকারকে ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দেওয়ার মানে হচ্ছে মূলত করবিনকে নির্বাচিত করা।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র সাংবাদিক অ্যান্ড্রিউ মারকে রবিবার নাইজেল ফারাজ বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনেক ভেবেছি আমি: কীভাবে ব্রেক্সিটের জন্য সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারি? আমি কি একটি আসন নিয়ে নিজেকে পার্লামেন্টে নিয়ে যাব অথবা যুক্তরাজ্যজুড়ে ৬০০ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাব। আমি দ্বিতীয়টিই সঠিক বলে বেছে নিয়েছি।
ফারাজ আরও বলেন, আমরা জনগণের কাছে ব্যাখ্যা করব কেন জনসনের প্রস্তাব ১৭.৪ মিলিয়ন মানুষের আশার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটে প্রস্তাবের পক্ষে ১৭.৪ মিলিয়ন মানুষ ভোট দিয়েছিলেন।
যুক্তরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে কনজারভেটিভ ও ব্রেক্সিট পার্টির জোটগতভাবে কাজ করার প্রস্তাব নাকচ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সাম্প্রতিক এক রেডিও অনুষ্ঠানে ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলাপচারিতায় দুই দলের এক হয়ে লড়াই করার প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। ট্রাম্প ও নাইজেল দুইজনই জোটগত লড়াইয়ের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে ‘এই উপদেশের জন্য কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেন জনসন। তবে জোটগত নির্বাচনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।