img

সাইনোসাইটিসের সমস্যায় যা করণীয়

প্রকাশিত :  ১৩:১১, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সাইনোসাইটিসের সমস্যায় যা করণীয়

জনমত ডেস্ক ।। সাইনোসাইটিসের (সাইনাসের সমস্যা) সমস্যা আছে অনেকেরই । আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় সাইনাসের সমস্যা বাড়ে। অনেকসময় ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশের জন্যও এটা হয়। সাইনোসাইটিস হলে সারাক্ষণ মাথায় অস্বস্তি, নাকের মধ্যে ভারী লাগা, কপালে অস্বস্তিসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। সাইনাসের সমস্যা থেকে মুক্তির বেশ কিছু উপায় রয়েছে। যেমন-

১. প্রতিদিন খালি পেটে ১ চামচ করে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মধু শ্বাসনালীর নানা সমস্যা দূর করে এবং সেই সঙ্গে সাইনাসের সমস্যাও কমায়।

২. সাইনোসাইটিসের সমস্যা হলে প্রচুর পানি পান করুন। প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে মিউকাস পাতলা হয়ে আসে। তখন নিজে নিজেই তা বের হয়ে যায়।। 

৩. সাইনাসের কারণে অনেকেরই নাক বন্ধ থাকে। বেশি সমস্যা অনুভব করলে সামান্য গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে নাক দিয়ে টানার অভ্যাস করুন। নাকের একপাশ দিয়ে টেনে অন্য পাশ দিয়ে বের করার চেষ্টা করুন। এতে জমে থাকা মিউকাস সহজেই বের হয়ে যাবে।

৪. হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন এটা পানের অভ্যাস করুন। এ ছাড়াও গ্রিন টি পানের অভ্যাস করতে পারেন।এতে উপকার পাবেন।

৫. সাইনোসাইটিস সমস্যায় গরম পানির ভাপ বা সেঁক (Vapour) নেওয়া একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। গরম পানির ভাপ নিলে নাকের ভেতরে ভেজা থাকবে এবং সহজেই মিউকাস বের হয়ে আসবে। 

৬. ঘুমের সমস্যার সঙ্গে সাইনাসের সমস্যা জড়িত। এ কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিন এবং যতটা সম্ভব মানসিক চাপ দূরে রাখুন।

img

শীতে খুশকি-চুল পড়া, যেভাবে চুল ঝলমলে রাখবেন

প্রকাশিত :  ১২:৫৫, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শীত আসলেই চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও খুশকির মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। প্রথমেই শীতের কারণে চুলের যত্নের ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা দরকার। শীতকালে বেশিরভাগ সময়ই বাইরে ঠাণ্ডা বাতাসে থাকার ফলে চুল দ্রুত শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং ভেঙে যেতে শুরু করে। এজন্য শীতকালীন শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত, যা চুলকে আর্দ্র এবং কোমল রাখে। 

শীতকালে চুলে তেলের ব্যবহারও বৃদ্ধি করা উচিত। সপ্তাহে অন্তত একদিন তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। তেল চুলের শিকড়ে পুষ্টি প্রদান করে, যা চুলের মজবুত করে এবং শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে।

এছাড়া শীতকালে হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া উচিত, যাতে চুলের প্রাকৃতিক তেল অক্ষুণ্ণ থাকে। খুব গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে গিয়ে চুল আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। 

কন্ডিশনার ব্যবহারের পর চুলে প্রাকৃতিক তেলের জন্য ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত, যেমন আলোভেরা বা নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়াও চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পুষ্টির খেয়াল রাখতে হবে। 

শীতকালে খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন E, Omega-3 এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন বাদাম, মাছ, ডিম, এবং শাকসবজি রাখা উচিত। এই পুষ্টিগুলি চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত সহায়ক।

চুলের ভেতর ময়লা জমে গেলে বা চুলের গোড়া বন্ধ হয়ে গেলে চুলের বৃদ্ধি কমে যেতে পারে। তাই নিয়মিত চুলে পরিষ্কার রাখা জরুরি। এছাড়া চুলে অতিরিক্ত হিট ব্যবহার যেমন হেয়ার ড্রায়ার বা স্ট্রেইটনার কম ব্যবহার করা উচিত, কারণ এগুলি চুলকে আরও শুষ্ক করে ফেলতে পারে। 

চুলের যত্নে পরিধানযোগ্য হেডক্যাপ বা স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন, যা শীতের ঠাণ্ডা বাতাস থেকে চুলকে রক্ষা করবে।

শীতকালে চুলের যত্নের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নিয়মিত চুল কাটানো। চুলের ডগা ফাটলে তা চুলের বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, তাই প্রতি ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর পর চুল কাটানো উচিত। 

সবশেষে, শীতকালে চুলকে ঝলমলে রাখার জন্য সঠিক যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ধৈর্য রাখা জরুরি। সময়মতো পুষ্টি, তেল, সঠিক শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহারের মাধ্যমে চুল থাকবে মজবুত, ঝলমলে এবং শীতেও আপনার আত্মবিশ্বাস বজায় থাকবে। 

যদি মনে হয় সমস্যাগুলো দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী হচ্ছে তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চর্ম ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

লেখক: চিকিৎসক (এম.বি.বি.এস) শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।