ব্রেক্সিট জটিলতা

আইরিশ সীমান্ত নিয়ে ইইউ-যুক্তরাজ্য বিরোধ

প্রকাশিত :  ১৯:৪২, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ২০:০৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আইরিশ সীমান্ত নিয়ে ইইউ-যুক্তরাজ্য বিরোধ

জনমত ডেস্ক ।। ব্রিটিশ মন্ত্রী ক্রিস গ্রেলিং জানিয়েছেন, নর্দান আয়ারল্যান্ড সীমান্ত নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা নমনীয় না হলে কোনো চু্ক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্য ইইউ ছেড়ে দিবে । প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বৃহস্পতিবার সলসবুর্গে ইইউ নেতাদের সঙ্গে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠক করেন।
অনানুষ্ঠানিক ওই বৈঠক শেষে ইইউ নেতারা বলেন, তারা অক্টোবরের মধ্যে একটি ব্রেক্সিট চুক্তিতে উপনীত হতে চান।
তবে মে যদি ‘বাণিজ্য ও আইরিশ সীমান্ত নিয়ে ছাড় না দেন, তবে কোনো চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্যকে বেরিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়ে দিতে প্রস্তুত আছেন বলেও সতর্ক করেছেন।

 এ বিষয়ে গ্রেলিং বলেন, “এই মুহূর্তে তারা নর্দান আয়ারল্যান্ড বিষয়ে যে দাবি করছেন তা যুক্তরাজ্যের যেকোনো সরকারের পক্ষে পূরণ করা একবারেই অসম্ভব। সত্যি বলতে যদি তারা তাদের অবস্থানে অনড় থাকেন তবে কোনো চুক্তিই সম্ভব নয়।
“বৈঠকে অনেক তর্ক-বিতর্ক হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত একমত হওয়া গেছে। যার ভিত্তিতে আমরা শিগগিরই একটি চুক্তিতে উপনীত হতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।”

যুক্তরাজ্যকে ইইউ থেকে ২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে  বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
হাতে মাত্র ছয় মাস সময় আছে। অথচ এখনও পর্যন্ত বিচ্ছেদ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।

গত ৬ জুলাই মে’র তার মন্ত্রিসভায় একটি‘বাণিজ্যবান্ধব’ ব্রেক্সিট পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন এবং চরম বিভাজনের পরও তা অনুমোদন পায়।
যদিও ওই প্রস্তাব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দুইদিনের মাথায় প্রথমে ডেভিড ডেভিস ব্রেক্সিটমন্ত্রীর পদ থেকে এবং পরে বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

মে’র পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেনসাবেক ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডেভিস নিজের পদত্যাগপত্রে । মে’র দল কনজারভেটিভ পার্টির অনেক এমপিও ‘চেকারস প্ল্যান’ পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন। নতুবা ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে তারা ভোট দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।

ক্যান্সারের আক্রান্ত ব্রিটিশ রাজকুমারী কেট

প্রকাশিত :  ০৯:১৪, ২৩ মার্চ ২০২৪

ব্রিটিশ রাজবধূ প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় নিজেই এই তথ্য জানান তিনি। বর্তমানে তিনি প্রতিরোধমূলক কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। 

বুধবার উইন্ডসরে বিবিসি স্টুডিওর রেকর্ড করা একটি ভিডিও বার্তায় কেট বলেন, গত জানুয়ারিতে তার পেটে অস্ত্রোপচারের পরে তার ক্যানসার ধরা পড়ে।

তিনি বলেন, ‘অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তবে অপারেশনের পর পরীক্ষায় ক্যান্সার পাওয়া গেছে। তাই আমার মেডিকেল টিম পরামর্শ দিয়েছে যে আমাকে প্রতিরোধমূলক কেমোথেরাপির কোর্স করা উচিত এবং আমি এখন সেই চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’

তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে কয়েক সপ্তাহ ধরে জল্পনা-কল্পনার বিষয়ে কেট আরও বলেন, তিনি এবং তার স্বামী প্রিন্স উইলিয়াম তাদের সন্তানদের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার জন্য সময় প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটি একটি বিশাল ধাক্কা হিসাবে এসেছিল আমাদের কাছে এবং উইলিয়াম এবং আমি আমাদের সন্তান ও পরিবারের স্বার্থে ব্যক্তিগতভাবে এটি প্রক্রিয়াকরণ এবং পরিচালনা করার জন্য আমরা যা যা করতে পারি তা করছি।’

প্রিন্সেস অব ওয়েলস আরও বলেন, ‘আমার কাজ সবসময় আমাকে আনন্দের গভীর অনুভূতি এনেছে এবং আমি যখন সক্ষম হব তখন আমি ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি, কিন্তু আপাতত আমাকে এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, এই নিয়ে গত তিন মাসের মধ্যে ব্রিটিশ রাজপরিবারের তিন সদস্যের ক্যানসারের খবর পাওয়া গেলো। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ রাজা চার্লস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এর আগে জানুয়ারিতে, প্রিস অ্যান্ড্রুর সাবেক স্ত্রী ডাচেস অব ইয়র্ক সারাহ ফার্গুসন স্কিন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানা যায়।