img

ব্রেক্সিট বিরোধী অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করলেন ৩ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এমপি

প্রকাশিত :  ০৬:১২, ১৩ নভেম্বর ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩৪, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

ব্রেক্সিট বিরোধী অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করলেন ৩ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এমপি

জনমত ডেস্ক: যুক্তরাজ্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন ব্রিটিশ এমপিই ব্রেক্সিট বিরোধী একটি কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন। তারা বলেছেন ১২ ডিসেম্বর আসন্ন নির্বাচনে তাদের আসনে জয় পেলে যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগে বাধা দেওয়ায় ভুমিকা রাখতে চান। এই সংক্রান্ত একটি অঙ্গীকারনামাতেও স্বাক্ষর করেছেন এই পার্লামেন্ট সদস্যরা।  

আগে থেকেই চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের বিরোধিতায় সরব রয়েছেন লেবার পার্টির এই এমপিরা। উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্ন থেকে দাঁড়াচ্ছেন টিউলিপ। রুপা হক দাঁড়াচ্ছেন ইলিং ও সেন্ট্রাল অ্যাকশন থেকে। আর রুশনারা আলি দাঁড়াচ্ছেন বেথনাল গ্রিন ও বাউ থেকে। লেবার পার্টির ১০০ জনেরও বেশি প্রার্থী ‘রিমেইন লেবার ক্যাম্পেইন প্লেজ’ নামের এই কার্যক্রমে স্বাক্ষর করেছে।

এমপিরা বলেন, ‘লেবার পার্টি আবার গণভোট আয়োজনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই আপনারা আপনাদের চূড়ান্ত রায় দেওয়ার সুযোগ পান। আমি পুনরায় এমপি নির্বাচিত হলে, ইইউয়ে থাকার চেষ্টা করবো। 

তিনজন এমপিই অনেক দিন ধরে ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে নিজেদের সরব অবস্থান জানিয়েচ আসছে। ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিটের সময়সীমাকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন তারা। এখন আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিকল্পনা করছেন তারা। ৩১ জানুয়ারি ২০২০ এর মধ্যে ব্রেক্সিট থামানোর লক্ষ্য তাদের।

বিরোধী দল লেবার পার্টি ব্রেক্সিট বিরোধী প্রচারণাচালিয়ে আসছে। রুপা হক বলেন, তিনি লেবার পার্টির এই অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে পেরে খুশি। তার আসনে ১৬ হাজারেও বেশি সমর্থন রয়েছে রুপার। অন্যদিকে গতবার ১৫ হাজার ভোট পাওয়া টিউলিপ সিদ্দিকী বলেন, ‘ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান পরিস্কার। আমি সংবিধানের ৫০ ধারার বিরুদ্ধে রায় দিয়ে ছায়ামন্ত্রীর দায়িত্ব হারিয়েছি।’

আর ৩৫ হাজারেরও বেশি ভোট পাওয়া রুশনারা আলি বলেন, ইউরোপের বাজার থেকে বের হয়ে আসাটা আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের ব্যবসায়ী ও তাদের কর্মীদের জন্য তা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।

ব্রেক্সিট এর আরও খবর

img

অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি স্টেলার আহ্বান

প্রকাশিত :  ০৭:৩১, ০৭ জানুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লন্ডনের আদালতে উইকিলিকস-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তার জীবনসঙ্গী স্টেলা মরিস। বুধবার (৬ জানুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সালের এপ্রিলে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। ওইদিনই তাকে জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন ব্রিটিশ আদালত। এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কম্পিউটার হ্যাক ও গুপ্তচর আইন লঙ্ঘনসহ ১৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার (৪ জানুয়ারি) লন্ডনের একটি আদালতে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণসংক্রান্ত মামলার রায় দেওয়া হয়। বলা হয়, তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই সপ্তাহের মধ্যে আইনি যুক্তি উপস্থাপনের কথা জানিয়েছে তারা।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেন তার জীবনসঙ্গী স্টেলা মরিস। জামিন খারিজ হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি প্রচণ্ড হতাশার। জুলিয়ানের বেলমার্শ কারাগারে থাকা ঠিক হবে না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আমি আইন বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা জুলিয়ানকে ক্ষমা করে দেয়।’

এর আগে গত এপ্রিলেও অ্যাসাঞ্জের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন স্টেলা মরিস। জামিন আবেদনের সঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে কীভাবে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছিল তাও প্রকাশ করেছিলেন এ আইন গবেষক। মরিস জানান, অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে তার দেখা হয় ২০১১ সালে। তখন তাকে সুইডিশ আইন তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে বলা হয়েছিল। মরিস বিবৃতিতে লিখেছিলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জুলিয়ান ও আমার মধ্যে ভালো রকমের বুদ্ধিভিত্তিক ও আবেগী বন্ধন গড়ে ওঠে। আমরা একে অপরের সেরা বন্ধুতে পরিণত হই।’

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বন্ধুত্ব জোরালো হতে থাকে উল্লেখ করে মরিস জানান, তাদের দুই জনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে ২০১৫ সাল থেকে। লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকার সময় তাদের দুটি সন্তানও হয়। তাদের একজনের নাম গ্যাব্রিয়েল, অপরজনের নাম ম্যাক্স। অ্যাসাঞ্জ যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা থেকে সন্তানদের আড়াল রাখতে চেয়েছিলেন বলে তখন জানান এ আইন বিশেষজ্ঞ।