img

যৌন আনন্দের জন্য বাড়ছে গাঁজার ব্যবহার

প্রকাশিত :  ১৮:১৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:২১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

যৌন আনন্দের জন্য বাড়ছে গাঁজার ব্যবহার

জনমত ডেস্ক ।।সম্প্রতি ‘বিনোদনমূলক নেশার সামগ্রী’ হিসেবে গাঁজা বৈধ করা হয়েছে কানাডায়, আরো অনেক দেশেই ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা বিতর্ক চলছে। এর মধ্যেই এক ধরনের গাঁজাসেবী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে- যারা গাঁজা ব্যবহার করছেন যৌন আনন্দ বাড়ানোর জন্য।

এই ধরণের লোকদের বলা হচ্ছে ‘ক্যানাসেক্সুয়াল’ – শব্দটা তৈরি হয়েছে গাঁজার ইংরেজি নাম ক্যানাবিসের প্রথম অংশটা নিয়ে। এর বিচিত্র সব পদ্ধতি অবলম্বন করছেন – যার মধ্যে আছে শয়নকক্ষে গাঁজা মেশানো মোমবাতি জ্বালানো, বা মেয়েদের গোপন অঙ্গে গাঁজার তেল ছিটিয়ে দেয়া।

বিবিসির প্রতিবেদক আয়মান আল-জুজি লিখছেন, শুনতে অদ্ভুত শোনালেও অনলাইনে এ ধরনের নানা রকম পণ্য বিক্রি ক্রমশই বাড়ছে – যার মধ্যে আছে গাঁজা থেকে তৈরি তেল, স্প্রে, মোমবাতি, এমনকি গাঁজা গাছের ফুল।

সত্যিকথা বলতে কি, যৌন সুখের জন্য গাঁজার ব্যবহার বহু প্রাচীন। ভারতবর্ষে ঐতিহ্যাশ্রয়ী হিন্দুদের অনেকে বিশ্বাস করেন গাঁজা থেকে তৈরি পানীয়- যাকে বলা হয় ‘ভাঙ লাচ্ছি’ – তা পান করলে যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়।

প্রাচীন মিশরে নারীরা তাদের যৌনাঙ্গে প্রয়োগ করতেন গাঁজা মেশানো মধু- যার উদ্দেশ্য ছিল তাদের ভাষায় ‘জরায়ুকে ঠান্ডা করা।’

তার মানে কি ‘ক্যানাসেক্সুয়াল’ মোটেও নতুন ব্যাপার নয়?

ক্যানাসেক্সুয়াল কথাটা প্রথম ব্যবহার করেন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাশলি ম্যান্টা। তিনি ২০১৩ সালে গাঁজা নামের ‘যাদুকরী ক্ষমতাসম্পন্ন’ গাছের ওপর ভিত্তি করে নানা ধরনের সেক্স থেরাপি সেবা চালু করেছিলেন। তখনও গাঁজা যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রেরও বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রথম তোলা হয় উরুগুয়েতে, আর যুক্তরাজ্যে চিকিৎসার ক্ষেত্রে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করার ব্যাপারটা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।

ব্রিটেনের লুটন শহরের বাসিন্দা অ্যাডাম এবং ডোনিয়া (ছদ্ম নাম)। তারা গত তিন বছর ধরেই ক্যানাসেক্সুয়াল- অর্থাৎ যারা গাঁজা-জাত সামগ্রীকে যৌন আনন্দ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করছেন।

ডোনিয়া বলেন, ‘আমার শরীরের গঠন নিখুঁত নয়। কিন্তু গাঁজা ব্যবহার করলে আমার এসব চিন্তা মাথা থেকে চলে যায়, দেহ-মনে প্রশান্তি আসে। আমি একটা উত্তাপ অনুভব করি, যৌনমিলনে অধিকতর আনন্দ অনুভব করি।’

ইন্টারনেটে পাওয়া নির্দেশিকা দেখে তিনি নিজেই গাঁজা-মেশানো অলিভ অয়েল তৈরি করে নিয়েছেন।

আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠান বলছে, এসবের চাহিদা এত বাড়ছে যে তারা সরবরাহ করে কুলাতে পারছে না। কিন্তু গাঁজার এ ধরনের ব্যবহার সম্পর্কে কোন জরিপ হয়নি, এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও প্রমাণিত নয়।

বরং কিছু জরিপে দেখা গেছে উল্টোটা। একটি জরিপে দেখা গেছে, পুরুষরা গাঁজা ব্যবহার করলে তাদের যৌন মিলনের সক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।

আরেকটি জরিপ বলেছে, যারা প্রতিদিন গাঁজা খান তাদের যৌন সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

ব্রিটিশ যৌন স্বাস্থ্য এবং এইচআইভি সমিতির একজন কনসালট্যান্ট ড. মার্ক লটন বলছেন, যৌন মিলনের সময় অ্যালকোহল বা অন্য কোন ধরনের মাদকদ্রব্য ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত।

অবশ্য অ্যাশলি ম্যান্টা মন করেন, এটা ঠিক যে এ ব্যাপারে আরো গবেষণা দরকার, এবং এসব পদ্ধতি হয়তো সবার জন্য নয়। কিন্তু তিনি বলেন, তার নিজের যৌনজীবনে গাঁজা ব্যবহার করে তিনি ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছেন।

Print

img

ঘরের সাজে পূজার আমেজ

প্রকাশিত :  ০৮:২০, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

সনাতনী বিশ্বাস অনুযায়ী দুর্গতিনাশিনীর আগমনে নিজেকে সাজানোর পাশাপাশি ধুয়ে-মুছে সাফসুতরো হয়ে ঘরও সেজে উঠুক। প্রাকৃতিক নানা উপাদান দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। ফুল, লতাপাতা, গাছের ডাল, ছোট-বড় ইনডোর প্লান্ট ভিন্নতা যোগ করবে। এ ছাড়া ঘরে থাকা নানা অনুষঙ্গও ব্যবহার করুন।

নান্দনিক হয়ে উঠবে ঘর। তবে গৃহসজ্জার আগে ঘরের রং, আলো, আকার ভাবনায় রেখে ইন্টেরিয়র পরিকল্পনা করতে হবে।

ঘরের আকার

প্রথমেই নজর দিতে হবে ঘরের পরিধির দিকে। পরিকল্পনা করতে হবে সে অনুযায়ী।

দেয়ালের রং, প্রাকৃতিক আলোর প্রবেশ গৃহসজ্জায় বেশ জরুরি। ঘর ছোট হলে সাজসজ্জা বেশি ভারী বা জটিল না করাই ভালো। উজ্জ্বল রং ও হালকা সাজের মাধ্যমে সাজালে ছোট ঘর বড় দেখাবে। দেয়ালে গাঢ় রং ব্যবহার করলে বেশি আলো প্রয়োজন হয়।

সে ক্ষেত্রে উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ রং বেছে নিন। ঘরের পরিবেশ প্রাণবন্ত লাগবে। দিনে প্রাকৃতিক আলোর আনাগোনার সঙ্গে মৃদু আলো ও ক্যান্ডেললাইট ব্যবহার করুন। এতে বিশেষ আবহ তৈরি হবে। রাতে অবশ্যই উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করুন।

ফুল-পাতায় সজ্জা

বসার ঘরের টিপয়ের ওপর, কোনায় রাখা টুলের ওপর কাঁসা-পিতলের থালায় কলাপাতা পেতে তাতে শিউলি, জবা, অলকানন্দা, কাঠগোলাপ কিংবা জুঁই রেখে দিন। ফুলের সুবাস বলে দেবে দিনগুলো বিশেষ। ফুলদানিতে লম্বা ধরনের কোনো পাতার সমন্বয়ে সাজাতে পারেন রজনীগন্ধা, গোলাপ, লিলি, জারবেরা, অর্কিড। সন্ধ্যার আবহে একটা মাটির পাত্রে পানি ঢেলে গাঁদা ও গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন। তার ওপর বসিয়ে দিন ভাসমান মোম বা মাটির প্রদীপ। গৃহে উত্সবমুখর পরিবেশ ফুটে উঠবে।

শোলার ফুল পাখি

বিভিন্ন রঙের শোলার তৈরি ফুল পাখি বা মালা ঝুলিয়ে দিন মূল দরজাসহ অন্যান্য দরজায়। বাসায় আসা অতিথিদের নজর কাড়বে। মূল দরজার পাশে পোড়ামাটির প্রদীপের মতো শোলার কাস্তা তৈরি করে তাতে মোমবাতি বা প্রদীপ রাখুন। সুন্দর আলো ছড়াবে।  

আলপনা বা রঙ্গোলি

দরজার সামনের মেঝেতে আলপনা কিংবা রংবেরঙের রঙ্গোলি তৈরি করতে পারেন। এর ফাঁকে ফাঁকে বসাতে পারেন মাটির প্রদীপ। ঘরে আলো-আঁধারীর শৈল্পিক আবহ যোগ হবে।

ইনডোর প্লান্ট ও লতাপাতা

স্কাইডার প্লান্ট, পোটাসসহ অনেক ইনডোর প্লান্ট কম আলোতেও বেড়ে উঠতে পারে। এই ইনডোর প্লান্টগুলো ঘরে ঠাঁই দিতে পারেন। পিস লিলির মতো প্লান্ট ঘরে শান্তি ও সৌন্দর্য এনে দেবে। লতাপাতা ও ফার্নজাতীয় উদ্ভিদ ঘরের কোণে সুন্দর দেখাবে। ভাইনস দিয়ে দেয়ালে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। সবুজ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি হবে। বড় গাছের পাতা বা গাছ ব্যবহার করে একটি জঙ্গল বা সবুজ বন তৈরি করতে পারেন। কাঠের তৈরি কিছু ডিজাইন বা মূর্তি ব্যাক ড্রপে যুক্ত করলে ঐতিহ্যবাহী ভাব ফুটে উঠবে।

পরিবার ও ব্যক্তিত্ব

পরিবারের সবার পছন্দের বিষয়গুলো মাথায় রেখে ঘর সাজানো উচিত। এতে সবার মাঝে পারিবারিক ঐক্য বাড়বে। যে ঘরে যিনি থাকেন তাঁর স্টাইল ও পছন্দের উপাদান ব্যবহার করুন। পরিবারের পুরনো সামগ্রী বা শিল্পকর্ম ব্যবহার করতে পারেন। যেমন—দিদিমার বানানো হাতের কাজ বা ঠাকুরমার আঁকা পুরনো ছবি। পূজার অন্দরসজ্জায় ব্যক্তিগত পছন্দ ও পরিবারের ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিন।