img

জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই : মিয়ানমার সেনাপ্রধান

প্রকাশিত :  ১৫:৪৩, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৫৩, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই : মিয়ানমার সেনাপ্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো ‘গণহত্যার’ জন্য শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। এর এক সপ্তাহের মাথায় দেশটির সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং জাতিসংঘের উদ্দেশে একপ্রকার হুমকির সুরেই বলেছেন, ‘তার দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কোনো দেশ, সংস্থা বা গোষ্ঠীর নেই।’

হার ভাষায়, মিয়ানমারে গণতন্ত্র বিকাশের পথ তৈরি করতে ‘সশস্ত্র সংঘাত থামিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার’ কাজ সেনাবাহিনী চালিয়ে যাবে এবং রাখাইনের ঘটনা নিয়ে ‘অগ্রহণযোগ্য কোনো দাবি’ সেনাবাহিনী মেনে নেবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) রাখাইনের ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরুর পর এই প্রথম জেনারেল মিন অং হ্লাইং প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কথা বললেন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা মায়াবতির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার নে পি দোতে সেনাবাহিনীর এক অনুষ্ঠানে গণতন্ত্র, জাতিসংঘ ও রাখাইন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

তিনি বলেন, বিশ্বের একেক দেশের গণতন্ত্র চর্চার ধরন একেক রকম। একটি দেশ সেই ধরনের গণতন্ত্রের চর্চা করে, যা তার জন্য উপযুক্ত। সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারও স্বাধীন একটি পররাষ্ট্র নীতির চর্চা করে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ একটি অবস্থান বজায় রেখে চলে।

‘তাছাড়া জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমার জাতিসংঘের যেসব চুক্তিতে সই করেছে, সেগুলো প্রতিপালন করে। প্রতিটি দেশ যেহেতু নিজের মত করে আলাদা মানদণ্ড ও আদর্শ নির্ধারণ করে, সেহেতু তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার বা তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কোনো দেশ, কোনো সংস্থা বা কোনো গোষ্ঠীর নেই।’

অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলতে গেলে যেমন ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে, একইভাবে কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রেও একই ফল হতে পারে বলে সতর্ক করেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান।

২০১৭ সালের ২৫ অগাস্টের পর রাখাইনে সেনাবাহিনীর যে অভিযানের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে, সেই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে জাতিসংঘ।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে উপস্থাপন করা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধান এবং জ্যেষ্ঠ পাঁচ জেনারেলকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) বা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে বিচারের মুখোমুখি করার কথা বলা হয়েছে।

এদিকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তও শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। আন্তর্জাতিক চাপে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গতবছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও এখনও প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি।

 কয়েকশ বছর ধরে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বসবাসের ইতিহাস থাকলেও ১৯৮২ সালে এক আইনের মাধ্যমে তাদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সরকার রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ না করে বোঝাতে চায় যে, ওই নামে কোনো জাতিগোষ্ঠী মিয়ানমারে নেই। এর বদলে রোহিঙ্গাদের তারা বর্ণনা করে ‘বাঙালি ‘ বা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে।

জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলছেন, ‘বাঙালিসহ’ সবার ক্ষেত্রেই ওই আইন প্রযোজ্য। মিয়ানমারে থাকতে হলে ওই আইন মেনেই চলতে হবে। যারা অন্য দেশে পালিয়ে গেছে, এ আইনে যাচাই করেই তাদের ফেরত নেওয়া হবে।
 

img

মুম্বাইয়ে ঝড়ে বিলবোর্ড ভেঙে নিহত ১২

প্রকাশিত :  ০৩:১৬, ১৪ মে ২০২৪

ভারতের মুম্বাইয়ে ধুলিঝড়ে একটি দৈত্যাকার বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬০ জনের মতো। আরও অর্ধশতাধিক মানুষকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের ঘাটকোপার এলাকায় একটি ফুয়েল স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির। 

দৈত্যাকার বিলবোর্ডটি ফুয়েল স্টেশনটির বিপরীতে ছিল। বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়ে ঠিক ফুয়েল স্টেশনটির মাঝখানে এসে পড়ে। এতে মানুষের পাশাপাশি চাপা পড়ে পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু গাড়িও।

দুর্ঘটনার পর ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী (এনডিআরএফ) ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালায়। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ধ্বংসস্তূপ অনেকাংশে সরানো সম্ভব হয়।

ভারতের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) পরিদর্শক গৌরব চৌহান জানান, নিহতদের মধ্যে আটজনের মরদেহ ‍উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

আকস্মিক এ দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন, মহরাষ্ট্রের রাজ্য সরকার বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।