img

দ্বিতীয়বার ব্রেক্সিট গণভোট হলে নিরপেক্ষ থাকবো: করবিন

প্রকাশিত :  ০৬:০৫, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

দ্বিতীয়বার ব্রেক্সিট গণভোট হলে নিরপেক্ষ থাকবো: করবিন

জনমত ডেস্ক: ব্রেক্সিট নিয়ে দ্বিতীয়বার গণভোট হলে নিরপেক্ষ থাকবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। ভোটের ফলাফল বিশ্বাসযোগ্য রাখতে এবং দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে নিরপেক্ষ থাকবেন বলে শুক্রবার জানিয়েছেন তিনি। তবে এই ইস্যুতে দলের অবস্থান বিশেষ সম্মেলনে নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন ৭০ বছর বয়সী এই নেতা।

২০১৬ সালে এক গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দেয় যুক্তরাজ্যের ভোটাররা। ব্রেক্সিট পরবর্তীকালে ইইউ’র সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের শর্ত নির্দিষ্ট করে কয়েক দফায় তৈরি হয় ব্রেক্সিট চুক্তি। তবে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এসব চুক্তি অনুমোদন করেনি। ফলে আগামী ১২ ডিসেম্বর দেশটিতে অনুষ্ঠিত হবে নতুন সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন।

রক্ষণশীল দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্মত হওয়া চুক্তি বজায় রেখে আগামী বছরের জানুয়ারিতেই ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে চান। অপর দিকে বিরোধী দল লেবার পার্টি ইইউ-এর সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে দরকষাকষি করতে চায়। এছাড়া আগামী বছর তার ওপর গণভোট আয়োজনেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।

শুক্রবার বিবিসি টিভিতে সম্প্রচারিত এক প্রশ্নোত্তর পর্বে জেরেমি করবিন বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হবো, যদি আমি তা হই তাহলে ইইউ ও ব্রেক্সিট নিয়ে অন্তহীন বিতর্ক চলতে দেয়ার চেয়ে ওই সময় আমি নিরপেক্ষ অবস্থান নেব। তাতে আমাদের জনগোষ্ঠী ও দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে বিশ্বাসযোগ্যভাবে (গণভোটের) ফলাফল প্রকাশ করতে পারবো।

জেরেমি করবেন আগে থেকেই বলে আসছেন বিশেষ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এই ইস্যুতে লেবার পার্টির অবস্থান নির্ধারণ করা হবে। তবে ব্রেক্সিট নিয়ে লেবার পার্টির অভ্যন্তরে মতবিরোধ রয়েছে। অনেক সিনিয়র নেতা প্রকাশ্যে বলে আসছেন তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে যাওয়ার পক্ষে প্রচারণা চালাবেন।


img

নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ৩০ দল, মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ২৭৪১

প্রকাশিত :  ১৮:০৬, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:২৮, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

 অত্যাসন্ন ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তফশিল অনুযায়ী ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী। এই নির্বাচনে মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভোটের ৫২ দিন আগে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। 

তফশিল অনুযায়ী, আজই (৩০ নভেম্বর) ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। 

রিটার্নিং অফিসে উপস্থিত হয়ে ২ হাজার ৭২০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর ২১ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসি জানিয়েছিল, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৯ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য ৩৬৯ জন নিবন্ধন করলেও শেষ দিনে (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২১ জন।