img

রাষ্ট্রের দায়িত্বহীনতাই সন্ত্রাসবাদের নেপথ্য কারণ: করবিন

প্রকাশিত :  ১১:৩৮, ০২ ডিসেম্বর ২০১৯

 রাষ্ট্রের দায়িত্বহীনতাই সন্ত্রাসবাদের নেপথ্য কারণ: করবিন

স্পোর্টস ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের বিরোধী দলীয় নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, অপরাধীদের পূর্ণাঙ্গ মেয়াদ পর্যন্ত কারাবন্দি রাখলেই সন্ত্রাসবাদের বিস্তার থামানো যাবে না। এজন্য কারা-ব্যবস্থাপনায় সংস্কার আনতে হবে। লন্ডনের সাম্প্রতিক হামলা প্রসঙ্গে স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি সন্ত্রাসবাদের নেপথ্য কারণ হিসেবে রাষ্ট্রের দায়িত্বহীন ভূমিকাকে দায়ী করেছেন। করবিনের মতে, নিরাপদ সমাজ গড়ে তোলা, যথাযথ গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার নিশ্চিতের মধ্য দিয়েই সন্ত্রাসের বিস্তার রোধ করতে হবে। ব্রিটিশ বাংলাদেশি শামীমা বেগমের মতো কথিত আইএস তরুণীদের রাষ্ট্রহীন করার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তিনি বলেছেন, ব্রিটিশ সরকারেরই তাদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিলো।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে লন্ডন ব্রিজের উত্তরের অংশে ছুরি নিয়ে কয়েক ব্যক্তির ওপর হামলার পর পুলিশের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হয়। ছুরিকাঘাতে নিহতদের একজন পুরুষ ও অপরজন নারী। লন্ডন পুলিশ স্ট্যাফোর্ডশায়ারের বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক উসমান খানকে হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
২০১০ সালের লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে উসমান ২০১২ সালে ১৬ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিল। তবে সে দেশের বিদ্যমান বিধি অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে সাজা ভোগের আগেই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় সে। লন্ডন ব্রিজের হামলার পর সেই প্রসঙ্গ সামনে এলে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কেউ সন্ত্রাসী অপরাধে অভিযুক্ত হলে (আইন অনুযায়ী) তাকে পূর্ণ দণ্ড সাজা ভোগ করানো উচিত। তবে করবিন মনে করছেন, সেটার ‘কোনও প্রয়োজন নেই।’
স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করবিন বলেছেন, কাউকে আগাম মুক্তি দেওয়া যাবে কিনা, সেই সিদ্ধান্তটা দণ্ড ভোগ করার সময় কারাগারে অপরাধীর কর্মকাণ্ড ও সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় নির্ধারিত হওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, আমাদের কারা পরিষেবাগুলো অপরাধীর ক্ষেত্রে কেমনভাবে কাজ করছে আর কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তাদের সঙ্গে কী ঘটছে এসব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।
করবিন মনে করেন, রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে যথাযথ কারা-পরিষেবার অনুপস্থিতিই অপরাধীকে সংশোধিত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। উসমান প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘সম্ভবত এই সাবেক কয়েদির পর্যবেক্ষণে কোনও নীরিক্ষামূলক পরিষেবা ছিল না।’
সোফি রিজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করবিন বলেছেন, ‘কারাগারে অপরাধীরা কেমন আচরণ পাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা উচিত।’ তার মতে কারাগার কেবলমাত্র মারাত্মক অপরাধীদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার স্থান হবে না, অপরাধীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্বও নেবে।
স্কাই নিউজের সাক্ষাৎকারে শামীমা বেগমসহ সিরিয়ার কথিত আইএস কন্যাদের নাগরিকত্ব বাতিলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন করবিন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘যদি তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, তাহলে তারা কোথায় যাবে?’ করবিন বলেন, সিরিয়ার একাংশ ও লিবিয়ার মতো প্রশাসনবিহীন/সরকারহীন এলাকাগুলোতে এই রাষ্ট্রহীন হতে যাওয়া মানুষগুলো ঘুরতে থাকলে আগামী দিনে আইএস বা এর মতো অন্য সন্ত্রাসী বাহিনী সৃষ্টি করবে তারা। করবিনের মতে, ‘নিশ্চিতভাবে যে কেউ কোনও একটি রাষ্ট্রের নাগরিক হবে। ওই রাষ্ট্রই তাদের দায়িত্ব নেবে।’
সাক্ষাৎকারে মানবাধিকার রক্ষার পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন করবিন। বলেন, আপনাকে অবশ্য একটি নিরাপদ সমাজ নির্মাণ করতে হবে এবং একই সময়ে মানবাধিকার রক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে।

img

নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ৩০ দল, মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ২৭৪১

প্রকাশিত :  ১৮:০৬, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:২৮, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

 অত্যাসন্ন ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তফশিল অনুযায়ী ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী। এই নির্বাচনে মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভোটের ৫২ দিন আগে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। 

তফশিল অনুযায়ী, আজই (৩০ নভেম্বর) ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। 

রিটার্নিং অফিসে উপস্থিত হয়ে ২ হাজার ৭২০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর ২১ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসি জানিয়েছিল, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৯ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য ৩৬৯ জন নিবন্ধন করলেও শেষ দিনে (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২১ জন।