img

ওয়াসার পানি সুপেয় এমন দাবি অসত্য: বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন

প্রকাশিত :  ১৭:৩৬, ০২ ডিসেম্বর ২০১৯

ওয়াসার পানি সুপেয় এমন দাবি অসত্য: বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন

জনমত ডেস্ক: রাজধানীতে সরবরাহ করা ওয়াসার পানি সুপেয়, দাবি করে সংস্থাটির দেওয়া বক্তব্য অসত্য বলে হাইকোর্টে বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন দাখিল করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। আদালতের নির্দেশনা পেয়ে ওয়াসার পানি পরীক্ষা করে সোমবার (২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে বিশেষজ্ঞ কমিটির এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর-উস সাদিক বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটিতে ছিলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমান এবং বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম বদরুজ্জামান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ সাঈদ উর রহমানের স্বাক্ষরিত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াসার পানি সুপেয়, সংস্থাটির এমন দাবি অসত্য। ওয়াসার পানিতে মিলেছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও মলের জীবাণু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীতে ওয়াসা ও দুই সিটি করপোরেশন সমন্বিতভাবে কাজ করলে ওয়াসার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যাকটেরিয়া কিংবা জীবাণু ঢুকতো না।
এদিকে রাজধানীবাসীর জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিতে প্রতিবেদনে চারটি সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হলো-
১. পানিতে দূষণ বা জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহ লাইনগুলোর মেরামত ও লাইনগুলোর আধুনিকায়ন জরুরি। এ জন্য ওয়াসাকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
২. ঢাকা শহরে সরবরা করা পানির মান যাচাই ও মনিটরিং করার জন্য তৃতীয় কোনও পক্ষের মাধ্যমে ক্যাম্পেইন চালু করতে হবে। এছাড়া এ ক্যাম্পেইনের জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। বছরজুড়ে এ ক্যাম্পেইন অব্যাহত রাখতে হবে।
৩. ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালাতে হবে, যাতে তারা বাসা-বাড়িতে থাকা পানির ট্যাংক ও হাউসগুলো পরিষ্কার রাখে।
৪. সুপেয় পানির নিরাপদ সরবরাহ ও তা দূষণমুক্ত রাখতে অবৈধ পানির সংযোগ বন্ধ করতে হবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর-উস সাদিক বলেন, প্রতিবেদনটির ওপর চলতি সপ্তাহে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে চারটি জোন এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনিঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত পানির ৮টি নমুনায় দূষণ পেয়েছে বলে আদালতকে জানান। এইসব এলাকার পানিতে ব্যাকটেরিয়া, উচ্চ মাত্রার অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। এছাড়াও কিছু কিছু নমুনাতে মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
তবে ওই প্রতিবেদনের তথ্য পুরোপুরি অস্বীকার করে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিকে পানি পরীক্ষায় দায়িত্ব দেন হাইকোর্ট। বিশেষজ্ঞ কমিটির নতুন প্রতিবেদনেও ওয়াসার পানিতে দূষণের তথ্য উঠে এলো।

 

img

গুগলকে টেক্কা দিতে সার্চ ইঞ্জিন আনছে ওপেনএআই

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১২ মে ২০২৪

ফোনে কিংবা কম্পিউটারে গুগল সার্চ ইঞ্জিনই বেশি ব্যবহৃত হয়, যা গুগলের নিজস্ব উদ্ভাবন। এবার এই প্রতিষ্ঠানটিকে টেক্কা দিতে মাঠে নামছে চ্যাটজিপিটি ডেভেলপার ওপেনএআই। যারা চ্যাটজিপিটি সার্চ ইঞ্জিন চালু করছে। ধারণা করা হচ্ছে এই সার্চ ইঞ্জিন চালু হলে গুগলকে রীতিমতো বেকায়দায় ফেলবে।

ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) সার্চ ইঞ্জিন ফিচার নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে গুগল সার্চের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামবে কোম্পানিটি। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

আগামী সোমবার ফিচারটি উন্মোচন করতে পারে কোম্পানিটি। ব্লুমবার্গ ও দ্য ইনফরমেশনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন গুগল কোম্পানি ও নতুন এআই স্টার্টআপ পারপ্লেক্সিটির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে নতুন একটি সার্চ ইঞ্জিন তৈরির চেষ্টা করছে মাইক্রোসফট সমর্থিত ওপেনএআই।

আগামী মঙ্গলবার গুগলের বার্ষিক ডেভেলপার কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটির এআইভিত্তিক বিভিন্ন পণ্য এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হবে। তাই এই অনুষ্ঠানের আগেই ওপেনএআই নতুন সার্চ ইঞ্জিন উন্মোচন করতে পারে বলে বিভিন্ন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন।

ব্লুমবার্গের মতে, চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিরই একটি এক্সটেনশন হবে ওপেনএআইয়ের সার্চ ইঞ্জিনটি। এর মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি তথ্য ও উদ্ধৃতি তুলে ধরতে পারবে। টেক্সটের মাধ্যমে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলে চ্যাটজিপিটি চ্যাটবট মানুষের মতো উত্তর দিতে পারে।

চ্যাটজিপিটিকে অনেক আগে থেকেই অনলাইনে তথ্য জানার বিকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রযুক্তি খাতের বিশ্লেষকেরা। তবে এটি নির্ভুল ও ওয়েবসাইট থেকে সাম্প্রতিক তথ্য তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে।

মাইক্রোসফটের বিং সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। আর গুগল তার সার্চ ইঞ্জিনেই এআই জেনারেটিভ ফিচার যুক্ত করেছে। ওপেনএআই প্রাক্তন গবেষক পারপ্লেক্সিটি নামের নতুন একটি স্টার্টআপ শুরু করেন। কোম্পানিটির মূলধন এখন ১০০ কোটি ডলার। এআইভিত্তিক সার্চের ইন্টারফেসের কারণে স্টার্টআপটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল উদ্ধৃতি, টেক্সট ও ছবি দেখায়। গত জানুয়ারিতে এক ব্লগ পোস্টে কোম্পানিটি বলে, এতে ১ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে।

২০২২ সালের নভেম্বরে চালু হওয়ার পর ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাপ হিসেবে পরিণত হয় চ্যাটজিপিটি। সেসময় প্ল্যাটফর্মটিতে ১০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল। তবে গত বছর চ্যাটজিপিটিতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে-কমতে দেখা যায়। ওয়েবসাইট ট্রাফিক ও পারফরম্যান্স বিশ্লেষণকারী সংস্থা সিমিলারওয়েবের মতে, ২০২৩ সালের মে মাসে প্ল্যাটফর্মটিতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল। চ্যাটজিপিটিতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে চাপের মুখে রয়েছে কোম্পানিটি।